আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
211 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (16 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম হুজুর।
১।যদি এমন হয় যে কোন কারনে  কোন স্বামী স্ত্রীর মধ্যে  ১ তালাকে  বায়ে* পতিত হয়ে থাকে।   এবং তারা ইজাব কবুল বলেনি৷ কিন্তু একদিন মেয়ের শাশুড়ী মেয়েকে কয়েকজন এর সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল যে এটি আমার ছেলের বউ। এই ক্ষেত্রে মেয়ে ওই মানুষদের সাথে কথা বলে সালাম দিয়ে৷ এতে মেয়ের সম্মতি প্রকাশ পাবে??এখানে সামনে মেয়েটির স্বামীও ছিল। সম্ভবত স্বামী কিছু বলেনি। শাশুড়ী ডাক দিয়েছিল বলে প্রবল ধারণা হয়। এইখানে কি ইজাব কবুল হয়ে যাবে?? তারা জানতো না এইভাবে ইজাব কবুল হয়। এইখানে উপস্থিত ছিল তার শাশুড়ী যিনি পরিচয় করিয়েছিল,   মেয়ের স্বামী সে দাড়িয়ে ছিল চুপ করে(স্বামী কিছু বলেছিল কিনা মনে নেই, প্রবল ধারণা হয় বলেনি কিছু) আর ছিল একজন পুরুষ ১ জন মহিলা যাদের সাথে পরিচয় করানো হয়।  এই ঘটনার মাধ্যমে কি ইজাব কবুল হবে?? এইখানে স্বামী পরিচয় করিয়ে দেয়নি কিন্তু সে সামনেই ছিল৷ স্বামী  কিছু বলেছিল কিনা মনে না করতে পারলেও কি ইজাব কবুল হবে??

২।একজন স্ত্রী তার  স্বামীকে অনেকদিন আগে জিজ্ঞেস করে সে কোনোদিন কেনায়া বাক্য বলার সময় তাকে ছেড়ে যাওয়ার চিন্তা করেছে কিনা। সে উত্তর দেয় কখনো সে এই নিয়তে কিছু বলেনি। এবং স্ত্রী  এই প্রশ্ন করলে সে বিরক্ত হতো। বলেছিল আর কোনদিন এই প্রশ্ন না করতে। তারপর স্ত্রী ওয়াসওয়াসার জন্য তাকে আরেকদিন তাকে জিজ্ঞেস করে তুমি কখনো কোন কেনায়া বাক্য বলার সমত আমাকে সত্যি সত্যি  ছেড়ে যাওয়ার জন্য/ তালাকের নিয়ত করে   বলো নি তো? সে এতটাই বিরক্ত ও রাগান্বিত হয় সে বলে, "হ্যাঁ বলেছি, আবার জিজ্ঞেস করলে কিন্তু  মন থেকে বলবো। " তার এ কথা শুনে সে খুবই ভয় পায়৷ সে খুবই বিরক্ত ছিল স্ত্রীর কথায় তাই এই উত্তর দিয়েছে। তার এই কথা কি মিথ্যা স্বীকারোক্তি হয়ে যাবে?? একটু পরে আবার সে বলে যে সকালেও তুমি এই প্রশ্ন করেছো আমি উত্তর দিয়েছি কখনো নিয়ত করিনি, তাও এখন আবারও একই প্রশ্ন করলা। এইসব কথা সে খুবই রাগ করে বলছিল । সে বলেছে আবার জিজ্ঞেস করলে মন থেকে বলবে তার মানে প্রথমে মন থেকে বলেনি।

৩। তারপর কিছুক্ষন পর স্ত্রী  কান্না করে, স্বামী  জিজ্ঞেস করে এখন কেন কান্না করছো আবার। স্ত্রী  বললো  তুমি তখন প্রশ্ন করার পর কেন বললা হ্যাঁ বলছি,? তারপর সে আবার ও রাগ করে আর অনেক জোড়ে বলে ""হ্যাঁ বলছি, বলছি আবার জিজ্ঞেস করলে আবারও বলবো৷ তোমাকে এতবার বলেছি যে আমি কোন নিয়ত করে কখনোই কিছু বলিনি তাও আজকে এই প্রশ্ন করেছো,  তাহলে আমি আর কি বলতে পারি??""

 এইখানে স্ত্রী  তাকে তালাকের প্রশ্ন করেনি তাও সে আগের ঘটনার প্রেক্ষিতে আবার ও হ্যাঁ বলছি বলার কারনে কি আবারও মিথ্যা স্বীকারোক্তি হবে??
এই ঘটনার কিছুক্ষন পরেই সব ঠিক হয়ে যায় এবং স্ত্রী  বলে তাকে কখনোই এইসব জিজ্ঞেস করবে না। এবং সে বলেছে হ্যাঁ বলেছি কথাটাও সে সম্পূর্ণ বিরক্ত হয়ে বলেছে কারন সে স্ত্রীর উত্তর দিয়েছে আগেও।

৪। কোন স্বামী যদি কোন একটা কথা বলার সময় তার তালাকের নিয়ত থেকে থাকে, এবং স্ত্রী জিজ্ঞেস করলে বলে নিয়ত নেই কারন স্বামীর মনে এটাই প্রবল ধারণা হয় বা সে নিয়ত সম্পর্কে ভুলে যায়। তাহলে কি আল্লাহ ক্ষমা করবেন??

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَسْأَلُوا عَنْ أَشْيَاءَ إِن تُبْدَ لَكُمْ تَسُؤْكُمْ وَإِن تَسْأَلُوا عَنْهَا حِينَ يُنَزَّلُ الْقُرْآنُ تُبْدَ لَكُمْ عَفَا اللَّهُ عَنْهَا ۗ وَاللَّهُ غَفُورٌ حَلِيمٌ
হে মুমিণগন, এমন কথাবার্তা জিজ্ঞেস করো না, যা তোমাদের কাছে পরিব্যক্ত হলে তোমাদের খারাপ লাগবে। যদি কোরআন অবতরণকালে তোমরা এসব বিষয় জিজ্ঞেস কর, তবে তা তোমাদের জন্যে প্রকাশ করা হবে। অতীত বিষয় আল্লাহ ক্ষমা করেছেন আল্লাহ ক্ষমাশীল, সহনশীল। (সূরায়ে মায়েদা-১০১-১০২)

হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত তিনি বলেন,
عن أبي هريرة رضي الله عنه قال : سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول : ما نهيتكم عنه ، فاجتنبوه ، وما أمرتكم به فأتوا منه ما استطعتم ، فإنما أهلك الذين من قبلكم كثرة مسائلهم واختلافهم على أنبيائهم . رواه البخاري ومسلم .
আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছি যে,তিনি বলেন, আমি তোমাদেরকে যে সমস্ত জিনিষ থেকে নিষেধ করেছি, সে সমস্ত জিনিষ থেকে বিরত থাকো,এবং যে সমস্ত জিনিষের আদেশ করেছি, যথাসম্ভব সেগুলো পালন করার চেষ্টা করো। তোমাদের পূর্ববর্তীগণ তাদের অধিক প্রশ্ন এবং মতপার্থক্যর কারণেই ধংস হয়েছে।(বোখারী-মুসলিম)

https://www.ifatwa.info/1379 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
তালাকের ওয়াসওয়াসা আসলে মাথা নাড়ালে তালাক পতিত হবে না।
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৯১,সহীহ মুসলিম-১২৭)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনি এ বিষয়ে ফোনে কথা বলবেন।অযথা একই বিষয় নিয়ে বারংবার প্রশ্ন না করার জন্য অনুরোধজ্ঞাপন করছি।
(১)
এখানে শাশুড়ির ডাকার দরুণ ইজাব কবুল হবে না।কেননা আপনি তো সন্তুষজনক কোনো বাক্যকে মুখ দ্বারা উচ্ছারণ করে বলেননি।

(২)
যেহেতু স্বামী কেনায়া শব্দ ব্যবহারের সময় নিয়তকে অস্বীকার করছে, তাই তালাক পতিত হবে না।

(৩)
তালাক হবে না।কেননা এখানে হ্যা বলেছি দ্বারা সে তার নিয়তকে অস্বীকার করা বুঝাচ্ছে।
(৪)
কেনায়া শব্দ প্রয়োগের সময়ে স্বামীর তালাকের নিয়ত ছিল, কিন্তু স্বামী এখন তালাকের নিয়তকে অস্বীকার করছে, তাহলে এজন্য সম্পূর্ণ গোনাহ স্বামীরই হবে।স্ত্রীর জন্য উক্ত স্বামীর সাথে সংসার করা নাজায়েয হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
উত্তর দেয়া হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...