আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
325 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (29 points)
আসসালামুআলাইকুম,

https://ifatwa.info/38197/ এই ফাতওয়ার সাথে আরেকটি প্রশ্ন যুক্ত করতে চাই।তা হলো যে,যদি আমি কেবল আমার পড়ার নিয়তে টিচার ঠিক করি কিন্তু আমার প্রবল ধারনা যে টিচার বাসায় আনলে আমার মা আমার বোনকেও পড়তে দিবে ঐ টিচারের কাছে।তো এমতাবস্থায় যদি আমার বোন ঐ টিচারের কাছে শরীয়তের বিধান না মেনে পড়ে,তাহলে টিচার আনার কারনে কি আমার গোনাহ হবে?যদিও আমি টিচার আনবো কেবল আমার পড়ার নিয়তে এবং আমি চাইনা যে আমার বোন ঐ পুরুষ টিচারের কাছে না পড়ুক।এক্ষেত্রে আমার করণীয় কি ?যদি তাদেরকে সর্তক না করি তাহলে তাদের গোনাহের অংশ কি আমার কাছে আসবে

1 Answer

0 votes
by (589,260 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আমাদের মনে রাখতে হবে,
পরকালে আমাদের সবাইকে নিজ নিজ আ'মলের হিসাব নিকাশ দিতে হবে।কারো পাপের বোঝাকে অন্য কেহ বহন করবে না।

আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻭَﻟَﺎ ﺗَﺰِﺭُ ﻭَﺍﺯِﺭَﺓٌ ﻭِﺯْﺭَ ﺃُﺧْﺮَﻯ ﻭَﺇِﻥ ﺗَﺪْﻉُ ﻣُﺜْﻘَﻠَﺔٌ ﺇِﻟَﻰ ﺣِﻤْﻠِﻬَﺎ ﻟَﺎ ﻳُﺤْﻤَﻞْ ﻣِﻨْﻪُ ﺷَﻲْﺀٌ ﻭَﻟَﻮْ ﻛَﺎﻥَ ﺫَﺍ ﻗُﺮْﺑَﻰ الخ
কেউ অপরের বোঝা বহন করবে না। কেউ যদি তার গুরুতর ভার বহন করতে অন্যকে আহবান করে কেউ তা বহন করবে না-যদি সে নিকটবর্তী আত্নীয়ও হয়। 
(সূরা ফাতির-১৮)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনি টিচার আনার কারণে আপনার বোন বেপর্দা ভাবে পড়লে যদিও আপনার গোনাহ হবে না।তবে আপনার উপর অন্য একটি দায়িত্ব হল, নিজ পরিবারের সবাইকে ইসলামের ছায়াতলে নিয়ে আসার চেষ্টা করা।যদি আপনি সেই চেষ্টা করেন, তারপরও আপনার বোন বেপর্দাভাবে উক্ত শিক্ষকের কাছে পড়ে,তাহলে এজন্য আপনার কোনো গোনাহ হবে না।বরং গোনাহ আপনার বোনেরই হবে।

আপনি মহিলা শিক্ষক নিয়ে আসার আপ্রাণ চেষ্টা করবেন।মহিলা শিক্ষক না পেলে তখন আপনি পুরুষ শিক্ষক নিতে পারবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,260 points)
উত্তর দেয়া হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...