ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/990 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
ইবনে তাইমিয়্যাহ রাহ বলেন,
ﻭﻳﺠﺐ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﺰﻭﺝ ﻭﻁﺀ ﺍﻣﺮﺃﺗﻪ ﺑﻘﺪﺭ ﻛﻔﺎﻳﺘﻬﺎ ﻣﺎ ﻟﻢ ﻳﻨﻬﻚ ﺑﺪﻧﻪ ﺃﻭ ﻳﺸﻐﻠﻪ ﻋﻦ ﻣﻌﻴﺸﺘﻪ ، .. ﻓﺈﻥ ﺗﻨﺎﺯﻋﺎ ﻓﻴﻨﺒﻐﻲ ﺃﻥ ﻳﻔﺮﺿﻪ ﺍﻟﺤﺎﻛﻢ ﻛﺎﻟﻨﻔﻘﺔ ﻭﻛﻮﻃﺌﻪ ﺇﺫﺍ ﺯﺍﺩ "
স্ত্রীর সন্তুষ্টি পর্যন্ত স্বামীর উপর স্ত্রীকে সহবাস করা ওয়াজিব(অর্থাৎ স্ত্রীর চাওয়া মাত্র স্বামীকে সহবাস করতে হবে)।যতক্ষণ না স্বামীর শরীর দুর্বল হচ্ছে বা স্বামীকে তার জীবিকানির্বাহ পরিচালনায় বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। সহবাসের পরিমাণ নিয়ে স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের মধ্যে ঝগড়া সৃষ্টি হলে এক্ষেত্রে উচিৎ খোরপোষ ইত্যাদির মত সহবাসের পরিমাণকে বিচারক ঠিক করে দেবেন।(দৈনিক না সাপ্তাহিক? এইভাবে ঠিক করে দিবেন)(ফাতাওয়ায়ে ইবনে তাইমিয়্যাহ-২৪৬)
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
স্বামী-স্ত্রীর অর্থ শুধুমাত্র সহবাসের আনন্দ নয়, বরং নিজ ঈমান ও আমলের হেফাজত। সুতরাং কোনো ভাবে নিজ জৈবিক চাহিদা পূরণ হয়ে গেলেই তা যথেষ্ট বলে বিবেচিত হবে।অধিক আনন্দ গ্রহণ বিয়ের উদ্দেশ্যর মধ্য থেকে নয়।
স্বামী চাইলে,এবং তার সামর্থ্য থাকলে সে একাধিক বিয়ে করতে পারবে। এতে কোনো বিধিনিষেধ নেই।
আমাদের পরামর্শ হল,
উক্ত স্বামী সে তার পূর্বের স্ত্রীকে নিয়েই সন্তুষ্ট থাকবে। শতচেষ্টা করেও যদি সম্ভব না হয়, তাহলে সে দ্বিতীয় বিয়ে করে নিবে। সে উভয় স্ত্রীকে সমানভাবে দেখভাল করবে।