ভালো জিনরা নির্জনে থাকতে পছন্দ করে। বিশেষ করে পাহাড়-পর্বতে। তারা মানুষের কোনো ক্ষতি করে না। খারাপ জিনরা থাকে ময়লা-আবর্জনা, গোসলখানা, পায়খানা ইত্যাদি স্থানে। বাথরুমে যাওয়ার আগে তাই দোয়া পড়ে যাওয়া উত্তম।
আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত এক হাদিসে এসেছে, জিনরা নোংরা ও গন্ধময় জায়গায় থাকতে পছন্দ করে। যেখানে মানুষের ময়লা এবং খাবারের উচ্ছিষ্ট অংশ ফেলে রাখা হয়।
আরো জানুনঃ
★যত্রতত্র স্থানে ইস্তেঞ্জা করলে জিন আছর করতে পারে।
বাথরুমে দোয়া না পড়ে প্রবেশ করলে জিন আছর করতে পারে।
★নাপাক শরীরে জিন অবস্থান করতেছে,এমন স্থানে প্রবেশ করলে জিন আছর করতে পারে।
কাহারো উপর জিনের আছর হলে নিম্নোক্ত ফতোয়ায় প্রদত্ত আমল গুলি করবেঃ-
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
জিন যেনো আছর করতে না পারে,সেক্ষেত্রে তার থেকে বাঁচতে নিম্নোক্ত কাজ গুলি করবেঃ-
★সর্বদা পবিত্র থাকা। কোনো কারণে গোসল ফরজ হলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গোসল করা।
★পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ও শরিয়ত মোতাবেক চলা।
★ঘরে প্রবেশ ও বের হওয়ার সময় সুন্নাহ বর্ণিত দোয়া পড়া। ঘরে প্রবেশের সময় সালাম করে প্রবেশ করা।
★প্রস্রাব-পায়খানায় যাওয়ার সময় দোয়া পড়া। সেখান থেকে ফিরেও দোয়া পড়া। কারণ এসব জায়গায় দুষ্ট জিনদের আনাগোনা বেশি থাকে।
★ঘরে নিয়মিত কোরআন তেলাওয়াত করা। বিশেষ করে সুরা বাকারা তেলাওয়াত করা।
★প্রতি নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পাঠ করা। ঘুমানোর সময় আয়াতুল কুরসি পাঠ করে ঘুমানো।
★ খাবারের সময় মাসনুন দোয়া পড়া। কারণ দোয়া না পড়লে দুষ্ট জিনের আমাদের খাবারে অংশগ্রহণ করার সুযোগ থাকে। গোশত খাওয়ার পর হাড়গুলো পানিতে না ফেলা, কারণ এগুলো জিনদের খাবার। এগুলো নষ্ট করলে তারা কষ্ট পায়। অনেক ক্ষেত্রে এ কারণেও আক্রমণ করে বসতে পারে।
★ঘরে কোনো প্রাণীর কঙ্কাল ও মূর্তিজাতীয় জিনিস না রাখা।
নির্জন বা ময়লার স্তূপ, আগুনের কুণ্ডলীর কাছে একাকী না যাওয়া।
★জনমানবহীন স্থান, গভীর জঙ্গলে রাতের বেলায় একা সফর না করা।
★কোনো অবস্থায় ভয় পাওয়া যাবে না। কারণ ভয় পেলে তারা আরো বেশি সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করে।
★ ভরদুপুর ও সন্ধ্যায় বাচ্চাদের ঘরের বাইরে না রাখা।
★সকাল-সন্ধ্যা এবং শোবার সময় সুরা ইখলাস, ফালাক ও নাস তিনবার করে পড়ে হাতের মধ্যে ফুঁক দিয়ে শরীরে মুছে নেওয়া।
★সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলে বিসমিল্লাহ বলে ঘরের দরজা ও জানালা বন্ধ রাখা। এবং নারী ও শিশুদের জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হতে না দেওয়া।
কেননা সুরা ফাতেহার ক্ষেত্রে ভুল না হলে পুনরায় যদি অধিকাংশ অংশ পড়া হয়,তাহলে সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হয়