আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
146 views
in পবিত্রতা (Purity) by (7 points)
edited by
১/ আমি এক বাসায় প্রাইভেট পড়তে যাই।আমি ছেলে।যেই বাসায় পরতে যাই ঐ বাসার ঢুকার আগে একটা  জায়গা অতিক্রম করতে হয়। তারপর বাসায় ঢুকতে হয়।  বাসায় ঢুকার আগে যেই জয়গা অতিক্রম করতে হয়    সেই জায়গা জুতা  খুলে ঢুকে কেউ।আবার জুতা ছাড়া  ঢুকে কেউ।এখন যারা জুতা ছাড়া ঢুকে তাদের পায়ে তো ময়লা বা  নাপাকি লাগতে  পারে।তো আমি  কী করব।ঘরে ঢুকলে ঘরে অনেক সময় ময়লা থাকে।তা নাপাক কীনা আমি জানি না। কারন বাসায় অনেক সময়  ময়লা জমতে পারে। এখন আমি কী করব।শুধু নিজে   জায়গাটা অতিক্রম করার সময়  জুতা পড়ে ঢুকব।এরপর কোনো ময়লা বা ধুলা লাগলে সেটাকে নাপাক ধরব না পাক ধরব।কারন সবার পবিত্রতার জন্য আমি তো দায়ী না।এখন আমি কী করব। কেউ যদি নাপাকি বা ধুলা বা ময়লা নিয়ে ঢুকে তাতে আমি কী করব।আমাকে বলিন আমি কী করব।ময়লা বা নাপাক পা নিয়ে কেউ ঢুকলে সেটা তো আমি জানব না।আমি কী  সেই বাসায় যারা থাকে বা পড়তে যায় তাদেরকে জিজ্ঞাসা করব আপনি নাপাক পা নিয়ে ঢুকছেন কীনাবা ময়লা বা ধুলা নিয়ে ঢুকছেন কীনা?

২/শরীরের যেকোন অংশে যেকোন নাপাকি লাগলে আমি যদি তা ১ বার   শরীরের  উক্যেত যেকোন অংশে  পানি ঢেলে বা পৌছিয়ে দেই তাতে শরীরে উক্ত যেকোন অংশ  পবিত্র হয়ে যাবে কী? পরে শরীরের উক্ত যেকোন  অংশ  ভিজলে বা আমার ইচ্ছা মত যেকোন কিছু বা কাজ বা যা ইচ্ছা তাই করলেও নাপাকি ফিরে আসবে কী। ১ বার পানি ঢালার পর কী   চামড়ার বা কোনো দাগ থাকলে কোনো সমস্যা হবে কী।

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম


(০১)
নামাজের জন্য অন্যতম শর্ত হলো শরীর পাক হওয়া,কাপড় পাক হওয়া।
নাপাক শরীরে,বা নাপাক কাপড়ে নামাজ হবেনা।
,
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ

یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اِذَا قُمۡتُمۡ اِلَی الصَّلٰوۃِ فَاغۡسِلُوۡا وُجُوۡہَکُمۡ وَ اَیۡدِیَکُمۡ اِلَی الۡمَرَافِقِ وَ امۡسَحُوۡا بِرُءُوۡسِکُمۡ وَ اَرۡجُلَکُمۡ اِلَی الۡکَعۡبَیۡنِ ؕ وَ اِنۡ کُنۡتُمۡ جُنُبًا فَاطَّہَّرُوۡا ؕ وَ اِنۡ کُنۡتُمۡ مَّرۡضٰۤی اَوۡ عَلٰی سَفَرٍ اَوۡ جَآءَ اَحَدٌ مِّنۡکُمۡ مِّنَ الۡغَآئِطِ اَوۡ لٰمَسۡتُمُ النِّسَآءَ فَلَمۡ تَجِدُوۡا مَآءً فَتَیَمَّمُوۡا صَعِیۡدًا طَیِّبًا فَامۡسَحُوۡا بِوُجُوۡہِکُمۡ وَ اَیۡدِیۡکُمۡ مِّنۡہُ ؕ مَا یُرِیۡدُ اللّٰہُ لِیَجۡعَلَ عَلَیۡکُمۡ مِّنۡ حَرَجٍ وَّ لٰکِنۡ یُّرِیۡدُ لِیُطَہِّرَکُمۡ وَ لِیُتِمَّ نِعۡمَتَہٗ عَلَیۡکُمۡ لَعَلَّکُمۡ تَشۡکُرُوۡنَ ﴿۶﴾ 

হে মুমিনগণ! যখন তোমরা সালাতের জন্য দাঁড়াতে চাও তখন তোমরা তোমাদের মুখমণ্ডল ও হাতগুলো কনুই পর্যন্ত ধুয়ে নাও এবং তোমাদের মাথায় মাসেহ কর এবং পায়ের টাখনু পর্যন্ত ধুয়ে নাও এবং যদি তোমরা অপবিত্র থাক, তবে বিশেষভাবে পবিত্র হবে। আর যদি তোমরা অসুস্থ হও বা সফরে থাক বা তোমাদের কেউ পায়খানা থেকে আসে, বা তোমরা স্ত্রীর সাথে সংগত হও এবং পানি না পাও তবে পবিত্র মাটি দিয়ে তায়াম্মুম করবে। সুতরাং তা দ্বারা মুখমণ্ডলে ও হাতে মাসেহ করবে। আল্লাহ তোমাদের উপর কোন সংকীর্ণতা করতে চান না; বরং তিনি তোমাদেরকে পবিত্র করতে চান এবং তোমাদের প্রতি তার নেয়ামত সম্পূর্ণ করতে চান, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন কর।
(সুরা মায়েদা ০৬)

আল্লাহ তায়ালা বলেছেন

وثيابك فطهر

কাপড় পবিত্র রাখো,,,
(সুরা আল মুদ্দাচ্ছির ০৪)

https://www.ifatwa.info/2677 নং ফাতাওয়ায় বর্ণনা করা হয়েছে যে,

ইবনে আবেদীন শামী রাহ লিখেন,

(قوله: وطين شارع)طين الشوارع عفو وإن ملأ الثوب للضرورة ولو مختلطا بالعذرات وتجوز الصلاة معه.................أقول: والعفو مقيد بما إذا لم يظهر فيه أثر النجاسة كما نقله في الفتح عن التجنيس

প্রয়োজনের ধরুণ রাস্তার মাঠি ক্ষমাযোগ্য। যদিও কাপড় মাঠি দ্বারা লেপ্টে যাউক না কেন এবং যদিও সেই মাঠি নাজাসত দ্বারা মিশ্রিত হউক না কেন।এদ্ধারা নামায বিশুদ্ধ হবে।তবে যদি  নাজাসতের চিন্থ দৃশ্যমান থাকে,(এক দিরহামের বেশী হলে)তাহলে নামায বিশুদ্ধ হবে না।(রদ্দুল মুহতার-১/৪২৪) 

শরীয়তের বিধান মতে সাধারণ অবস্থায় রাস্তার কাদা পাক। তা কাপড়ে লাগলে কাপড় নাপাক হবে না। তবে যদি কাদায় নাপাকি দেখা যায় কিংবা নাপাকির গন্ধ অথবা রং প্রকাশ পায় তবে তা নাপাক। এটি কাপড়ে লাগলে ঐ জায়গা ধুয়ে নিতে হবে। 

আলআশবাহ ওয়ান নাযাইর ১/১৯৯; ফাতাওয়া বাযযাযিয়া ৪/২৩; ফাতহুল কাদীর ১/১৮৬; আততাজনীস ১/২৫৯।


★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উক্ত জায়গায় আপনি জুতা পরেই অতিক্রম করবেন।
তবে যদি এতে বাসা ওয়ালার পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা থাকে,তাহলে আপনি জুতা পড়ে যাবেন।
আপনার পায়ে ময়লা লাগলে সেক্ষেত্রে নাপাকির কোনো চিন্হ বা গন্ধ পাওয়া গেলে পাকে নাপাক ধরবেন।
অন্যাথায় পা নাপাম হবেনা।
সর্বপরি সেই পা নামাজের আগে ধোয়া জরুরি।  

(০২)
একবার পানি ঢেলে ভালোভাবে ধোয়ার দ্বারা সেই নাপাকি দূর হয়ে যাওয়া সম্পর্কে নিশ্চিত হলে নাপাকি দূর হয়ে যাবে।
আর সেই নাপাকি ফিরে আসবেনা।

(সতর্কতা মূলক নাপাক স্থানে পানি ঢালার সময় ডলে ধৌত করবেন।
তাহলে নাপাকি সহজেই দ্রুত দূর হবে।)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 119 views
0 votes
1 answer 222 views
0 votes
1 answer 126 views
...