হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: جَاءَهُ نَاسٌ مِنْ أَصْحَابِهِ فَقَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ، نَجِدُ فِي أَنْفُسِنَا الشَّيْءَ نُعْظِمُ أَنْ نَتَكَلَّمَ بِهِ، أَوِ الْكَلَامَ بِهِ، مَا نُحِبُّ أَنَّ لَنَا وَأَنَّا تَكَلَّمْنَا بِهِ، قَالَ: أَوَقَدْ وَجَدْتُمُوهُ؟ قَالُوا: نَعَمْ، قَالَ: ذَاكَ صَرِيحُ الْإِيمَانِ صحيح
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট তাঁর কতিপয় সাহাবী (রাঃ) এসে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা আমাদের অন্তরে এমন কিছু অনুভব করি যা ব্যক্ত করাকে বা যা মুখে বলাকে আমরা গুরুতর মনে করি। আমরা এ ধরণের কথা মনে আসা অথবা পরস্পর সমালোচনা করাকে পছন্দ করি না। তিনি বললেনঃ তোমরা কি এরূপ অনুভব করো? তারা বললেন, হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ এটা স্পষ্ট ঈমানের লক্ষণ।
(মুসলিম ১৩২, আবূ দাঊদ ৫১১১, আহমাদ ৯৬৯৫.মিশকাতুল মাসাবিহ ৬৪)
হাদীসের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছেঃ
আমাদের কেউ সে বিষয়ে কথা বলাটাও বড় অপরাধ মনে করে। যেমন আল্লাহকে কে সৃষ্টি করেছে? তিনি কেমন? তিনি কোন্ বস্তু? আমরা জানি যে, এমন কোন বিষয় তাঁর জন্য প্রযোজ্য নয়। আমরা এও জানি যে, তিনি সকল বস্তুর স্রষ্টা, তিনি সৃষ্ট নন। এমন বিষয়ের উদয় হলে এর বিধান কি? নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমাদের হৃদয়ে কি এমনটি অনুভব কর? অর্থাৎ- তোমরা জান ও বুঝ যে, এরূপ কথা উদয় হওয়া গুরুতর অপরাধমূলক? আর এরূপ অনুভব করাটাই প্রকৃত ঈমান। কেননা এটাকে বড় অপরাধ মনে করা ও তাকে ভয় করা কেবলমাত্র তার থেকেই পাওয়া সম্ভব যার ঈমান পরিপূর্ণ।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
যে কোনো ওয়াসওয়াসার প্রধান চিকিৎসা এটাই যে, একে গুরুত্ব না দেয়া। কী চিন্তা আসল, কী চিন্তা গেল-তা না ভেবে নিজের কাজে মশগুল থাকুন। কেননা, এটা মূলত শয়তানের কাজ।
নতুবা আপনি এটা নিয়ে চিন্তায় পড়ে গেলে আপনি এখানেই আটকা পড়ে যাবেন। সামনে অগ্রসর হওয়া আর সম্ভব হবে না। এভাবে শয়তানের উদ্দেশ্য পূরণ হয়ে যাবে।
আল্লাহ তাআলা বলেন,
إِنَّمَا النَّجْوَىٰ مِنَ الشَّيْطَانِ لِيَحْزُنَ الَّذِينَ آمَنُوا وَلَيْسَ بِضَارِّهِمْ شَيْئًا إِلَّا بِإِذْنِ اللَّهِ ۚ وَعَلَى اللَّهِ فَلْيَتَوَكَّلِ الْمُؤْمِنُونَ
এই ওয়াসওয়াসা তো শয়তানের কাজ; মুমিনদেরকে দুঃখ দেয়ার দেয়ার জন্যে। তবে (এই ওয়াসওয়াসা সৃষ্টি করে) সে মুমিনদেরকে চুল পরিমাণ ক্ষতি করতে পারে না, আল্লাহর হুকুম ছাড়া। মুমিনদের উচিত আল্লাহর উপর ভরসা করা। (সূরা মুজাদালাহ ১০)
★পবিত্র কুরআন কারীমে অনেক আয়াতে আল্লাহ তায়ালা নিজের দিকে নিসবত করে কথা বলেছেন,কখনোও বান্দার দিকে নিসবত করে কথা বলেছেন।