ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
হাউজ অথবা পুকুরের পানি যদি ১০০ বর্গহাত অথবা তার চেয়ে অধিক হয় তাহলে উক্ত পানি শরীয়তের দৃষ্টিতে ‘বেশি পানি’ হিসেবে গণ্য হবে, যার মধ্যে নাপাক পড়ে নাপাকি প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত পানি নাপাক হয় না। আর পানির পরিমাণ এর চেয়ে কম হলে তা কম পানি হিসেবে বিবেচিত হবে, তাতে নাপাক পড়লেই পানি নাপাক হয়ে যাবে।
বেশি পানিতে নাপাকি প্রকাশের দ্বারা উদ্দেশ্য হলো পানির রং, গন্ধ ও স্বাদ এ তিনটি গুণাবলি হতে যেকোনো একটি গুণ বিনষ্ট হয়ে গেলেই বেশি পানি নাপাক হয়ে থাকে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
আবূ সাঈদ আল খুদরী (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত।
عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ : " أَنَّهُ قِيلَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : أَنَتَوَضَّأُ مِنْ بِئْرِ بُضَاعَةَ وَهِيَ بِئْرٌ يُطْرَحُ فِيهَا الْحِيَضُ وَلَحْمُ الْكِلَابِ وَالنَّتْنُ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: الْمَاءُ طَهُورٌ لَا يُنَجِّسُهُ شَيْءٌ " .
একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করা হলো, ‘আমরা কি (মদীনার) ‘বুযাআহ’ নামক কূপের পানি দিয়ে অযু করতে পারি? কূপটির মধ্যে মেয়েলোকের হায়িযের নেকড়া, কুকুরের গোশত ও যাবতীয় দুর্গন্ধযুক্ত জিনিস নিক্ষেপ করা হত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ পানি পবিত্র, কোন কিছু একে অপবিত্র করতে পারে না।(সুনানু আবি-দাউদ-৬৬)
হযরত আবু উমামা বাহিলি রাযি থেকে বর্ণিত
عَنْ أَبِي أُمَامَةَ الْبَاهِلِيِّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ الْمَاءَ لَا يُنَجِّسُهُ شَيْءٌ، إِلَّا مَا غَلَبَ عَلَى رِيحِهِ وَطَعْمِهِ وَلَوْنِهِ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,পানি মূলত পবিত্র।তাকে কোনো জিনিষ নাপাক করতে পারে না।তবে পানির গন্ধ, স্বাদ ও রং পরিবর্তন হয়ে গেলে সে পানি জায়েয হবে না।(সুনানু ইবনি মা'জা-৫২১)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত পুকুর যদি চারিদিকে ১০ হাত বাই ১০ হাত হওয়ার পরেও তাতে পানি কম থাকে,তাহলে সেখানে ১ ফোঁটা নাপাকি থাকলে/পড়লে সম্পূর্ণ পুকুরের পানি নাপাক হয়ে যাবে।
(০২)
হারাম ওয়াক্ত শুধু মাত্র নামাজের জন্য হারাম ওয়াক্ত হিসেবে নির্দিষ্ট।
সেই সময় দোয়া, কুরআন তিলাওয়াত করতে কোনো সমস্যা নেই।
,
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ফজরের পর হারাম ওয়াক্ত চলাকালীন এবং তারপরেও পড়া যাবে।
এতে একই সাওয়াব পাওয়া যাবে।
সন্ধ্যার দোয়া গুলি ঘুমানোর আগে পড়লেও ফজিলত পাওয়া যাবে,ইনশাআল্লাহ।
(০৩)
সূরা মুলক না পড়ে শুধু তিলাওয়াত শুনলে কবরের আজাব থেকে মাফ পাওয়া যাবেনা।
এই ফজিলত লাভের জন্য প্রতি রাতে ঘুমানোর আগে তিলাওয়াত ই করতে হবে।