জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান হলো শুধুমাত্র সদকার নিয়ত করার দ্বারা বা সদকার টাকা নিজের অন্যান্য টাকা থেকে আলাদা করার দ্বারা তার সেই টাকায় তার মালিকানা বিলুপ্ত হয়ে যায়না।
বরং ফকির মিসকিনের হাতে অর্পন করার আগ পর্যন্ত সেই টাকা নিজ মালিকানায় থাকে।
সুতরাং সদকাহ করার আগ পর্যন্ত উক্ত টাকায় হস্তক্ষেপ করা,নিজ কাজে ব্যবহার করা জায়েজ আছে।
সমস্যা নেই।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عن عثمان وابن عمر وابن عباس رضي اللّٰہ عنہم أنہم قالوا: لا تجوز صدقۃ حتی تقبض۔ (رواہ البیہقي ۶؍۱۷۰، إعلاء السنن ۱۶؍۹۱ رقم: ۵۲۶۴ دار الکتب العلمیۃ بیروت)
সারমর্মঃ
হযরত উসমান রাঃ ,ইবনে ওমর রাঃ ইবনে আব্বাস রাঃ বলেন ছদকাহ জায়েজ নেই,কবজা করার আগ পর্যন্ত।
ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ
ولا یخرج عن العھدة بالعزل؛ بل بالأداء للفقراء (الدر المختار مع رد المحتار، کتاب الزکاة، ۳: ۱۸۹، ط: مکتبة زکریا دیوبند، ۵:، ۴۵۷، ت: الفرفور، ط: دمشق)۔
قولہ: ”ولا یخرج عن العھدة بالعزل“: فلو ضاعت لا تسقط عنہ الزکاة ولو مات کانت میراثاً عنہ بخلاف ما إذا ضاعت في ید الساعي؛ لأن یدہ کید الفقراء، بحر عن المحیط (رد المحتار)۔
সারমর্মঃ
সদকার টাকা পৃথক করার দ্বারা সেটি তার যিম্মা থেকে বের হয়ে যায়না।
বরং ফকির দের দিয়ে দিলেই কেবল সেটি মালিকের যিম্মা থেকে বের হয়ে যাবে।
সুতরাং যাকাতের জন্য পৃথক কৃত টাকা দান করার আগেই যদি হারিয়ে যায়,তাহলে যাকাত রহিত হবেনা।
তাকে পুনরায় টাকা তার সম্পদ থেকে টাকা পৃথক করে যাকাত আদায় করতে হবে।
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত বস্তু সদকাহ না করে খেয়ে ফেলা জায়েজ হবে।
সদকা করে দিবেন এই নিয়তে রাখা টাকা ব্যক্তিগত প্রয়োজনে ব্যবহার করা জায়েজ হবে।
,
তবে যদি ওয়াজিব বা ফরজ সদকাহ হয়,তাহলে তার সম্পদ হতে ওয়াজিব বা ফরজ সদকাহ আদায় করা আবশ্যক হবে।