হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ خَالِهِ الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لَعْنَةُ اللَّهِ عَلَى الرَّاشِي وَالْمُرْتَشِي " .
আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃ)থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ঘুষদাতা ও ঘুষ গ্রহীতার উপর আল্লাহর অভিসম্পাত।
(তিরমিযী ১৩৩৭, আবূ দাউদ ৩৫৮০, ৬৫৯৬, ৬৭৩৯, ৬৭৯১, ৬৯৪৫, ইরওয়া ২৬২০, মিশকাত ৩৭৫৩, রাওদুন নাদীর ৫৮৩, আত-তালীকুর রাগীব ৩/১৪৩।)
★বিবাহের সময় বড়কে সন্তুষ্টি কিছু পোশাক দিতে চাইলে তাহা দেওয়া যাবে
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে বাধ্যবাধকতা থাকলে এসব লেনদেন বৈধ হবে না। তবে যদি এমনিতে খুশি মনে হাদিয়া দিতে চাইলে তা গ্রহণ ও প্রদানে কোন সমস্যা নেই।
لعن رسول الله صلى الله عليه وسلم الراشى والمرتشى، ومن الرشوة ما أخذه ولى المرأة قبل النكاح إذا كان بالسوال، او كان إعطاء الزوج بناءا على عدم رضائه على تقدير عدمه، أما إذا كان بلا سوال ولا عن عدم رضائه فيكون هدية فيجوز (مجموعة الفتاوى-2/230)
সারমর্মঃ
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘুষদাতা ও ঘুষ গ্রহীতার উপর অভিসম্পাত করেছেন,এর মধ্যে বিবাহে পাত্রীর বাবা বিবাহের পূর্বে যাহা গ্রহন করে থাকে,তাহাও অন্তর্ভুক্ত, যদি চাওয়া ব্যাতিত সন্তুষ্টি চিত্তেই দেয়,তাহলে সেটি হাদিয়া হবে।
তাহা গ্রহন জায়েজ হবে।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন
বিয়ের সময় চাওয়া ও আগ্রহ ছাড়া সন্তুষ্টি চিত্তে প্রশ্নে উল্লেখিত পদ্ধতিতে বড়কে হাদিয়া প্রদানের মাঝে কোন সমস্যা নেই।
কিন্তু বর পক্ষ অভিযোগ উত্থাপন করতে পারে, এ ভয়ে বড়কে দামি পোশাক প্রদান করলে তা গ্রহণ করা মাকরূহ হবে। কারণ, তখন আর এটি হাদিয়া-তোহফার পর্যায়ে থাকবে না, বরং তা ঘুষের পর্যায়ে চলে যাবে। যা নাজায়েজ।