বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/14305 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
«النِّكَاحُ حَالَةَ الِاعْتِدَالِ سُنَّةٌ مُؤَكَّدَةٌ مَرْغُوبَةٌ، وَحَالَةَ التَّوَقَانِ وَاجِبٌ، وَحَالَةَ الْخَوْفِ مِنَ الْجَوْرِ مَكْرُوهٌ.» - «الاختيار لتعليل المختار»
(3/ 82)
স্বাভাবিক অবস্থায় বিয়ে করা সুন্নতে মু’আক্কাদা। আর যিনা ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়ার সম্ভাবনায় বিয়ে করা ওয়াজিব। আর স্ত্রীর উপর জুলুম করার আশংকা থাকলে তখন বিয়ে করা মাকরুহ।(আল-এখতিয়ার লি তা’লিলিল মুখতার-৩/৮২)
অথবা এভাবেও বলা যায়,
বিবাহের সামর্থ রয়েছে, আর্থিক শারিরিক উভয় রকম সামর্থ্য রয়েছে,এবং যিনা ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে,তাহলে এমতাবস্থায় বিয়ে ওয়াজিব। বিবাহের সামর্থ্য রয়েছে,তবে যিনা-ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা নাই এমতাবস্থায় বিয়ে করা সুন্নত। এবং স্ত্রীর হক আদায় না করার আশংকা থাকলে তখন বিয়ে করা মাকরুহ।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/2276
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
অবস্থাভেদে বিয়ে করা ফরয,ওয়াজিব,সুন্নত ও হারাম হয়। তাই আপনি পূর্বের হারাম রিলেশনের জন্য মহন রব্বে কারীমের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবেন, এবং অতি সত্তর বিয়ে করে নিবেন, চায় পূর্বের আলাপকৃত স্থানে হোক বা নতুন কোনো স্থানে হোক। যেখানেই আপানর পছন্দ হবে,সেখানেই আপনি বিয়ে করে নিবেন। বিয়ে না করলে যে গোনাহ হবে বিষয়টা মূলত এমন নয়, তবে বিয়ে না করে হারামে পতিত হলে অবশ্যই গোনাহ হবে।(শেষ)
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনি যে হাদীসের কথা উল্লেখ করেছেন, সেই হাদীসে মূলত ধমকি দেয়া হচ্ছে।যে ব্যক্তি বিবাহ করবে না, সে যে বাস্তবেই নবীর উম্মত নয়, তা কিন্তু নয়।