জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
মাতৃভাষা মানবজাতির জন্য সৃষ্টিকর্তার পক্ষ থেকে এক বিরাট নিয়ামত ও খোদার সেরা দান। আল্লাহর অনেক বিস্ময়কর নিদর্শনের মধ্যে ভাষা একটি অন্যতম বিশেষ নিদর্শন।
পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তিনিই মানুষ সৃষ্টি করেছেন এবং তাকে ভাব প্রকাশ করতে (ভাষা) শিখিয়েছেন।’ (সূরা আর-রাহমান, আয়াত: ৩-৪)
তাই নিজ মাতৃভাষাকে নিয়ামত মনে করে মাতৃভাষায় কথা বলা,এর স্বকীয়তা বজায় রাখার চেষ্টা করা উচিত।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
একটি বর্ণনা রয়েছে,যেটিকে অনেকে মউযু' বলে আখ্যায়িত করেছেন,সেটি লক্ষ্য করিঃ-
حب الوطن من الإيمان موضوع - كما قال الصغاني (ص 7) وغيره ومعناه غير مستقيم إذ إن حب الوطن كحب النفس والمال ونحوه، كل ذلك غريزي في الإنسان لا يمدح بحبه ولا هو من لوازم الإيمان، ألا ترى أن الناس كلهم مشتركون في هذا الحب لا فرق في ذلك بين مؤمنهم وكافرهم؟
দেশকে ভালবাসা ঈমানের অঙ্গ (দেশপ্রেম ঈমানের অঙ্গ)।
হাদীসটি মওযু'।
যেমনিভাবে সাগানী (পৃঃ ৭) ও অন্যরা বলেছেন। এটির অর্থও সহীহ নয়। কারণ এ ভালবাসা নিজকে এবং সম্পদকে ভালবাসার মতই প্রত্যেক ব্যক্তির মধ্যেই মূলগত ভাবে বিদ্যমান। শারীয়াতের দৃষ্টিকোণ থেকে এ ভালবাসার প্রশংসা করা যায় না। এটি ঈমানের জন্য অপরিহার্যও নয়। আপনারা কী দেখছেন না যে, এ ভালবাসায় মু'মিন এবং কাফিরের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই।
(যঈফ ও জাল হাদীস,হাদীস নং ৩৬)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
সুতরাং মাতৃভাষাকে মুহাব্বত করাও ঈমানের জন্য অপরিহার্য নয়।
তাই কোনো ব্যাক্তি যদি মাতৃভাষাকে মুহাব্বত না করে,উর্দুকে বেশি পছন্দ করে,তাহলে এতে তার ঈমানের কোনো সমস্যা হবেনা।
গুনাহ হবেনা।