আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
108 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (5 points)
reshown by
১)শির্ক করলে স্ত্রীকে তালাক দেওয়া লাগবে, এই ভয়ে যদি কেউ শিরক থেকে বেঁচে থাকে তবে কি তার গুনা হবে???


২)কাছে প্রশ্ন করেছিলাম যে, বিয়ের আগে প্রেম করা হারাম জেনেও সে সম্পর্ক ছাড়তে না পারলে কি শিরক হবে??
আমি জানতে পারি যে এটা কবিরা গুনা, কিন্তু শির্ক না।
তখন আমি ভাবলাম শিরক যেহেতু না তাহলে চালিয়ে যাই।

 যদিও এটা কে আমি কবিরা গুনাহ বলেই জানি। এতে কি আমার কুফর বা শিরক হবে??
এই যে কোন গুনাহ শিরক না এজন্য সেটা বাদ দিলাম না এতে কি শিরক হবে??


৩)ধরুন,আমার কাছে দুইটা পথ আছে অবলম্বন করার মত।
যদি প্রথম পথে যাই তবে আল্লাহর অসন্তুষ্ট হন না এবং আমার দুনিয়া লাভজনক থাকছে।
আর দ্বিতীয় পথে গেলে আল্লাহ অনেক সন্তুষ্ট হন কিন্তু আমার দুনিয়াবী জীবনে একটু সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
আমি যদি প্রথম প্রকার জীবন কামনা করি আল্লাহর কাছে তবে কি শিরক হবে??


৪)গত তিনদিন আগে কি যেন একটা বিষয় নিয়ে ভাবতে ভাবতে এমন একটা অবস্থা হয়েছিল যে যদি পরাশুনা ছেড়ে না দেই,তবে শিরক হবে।ঠিক কি নিয়ে চিন্তা করতে করতে অবস্থায় পড়েছিলাম এখন মনে নাই।

এখন যদি পরাশুনার বিষয় নিয়ে আকিদা ঠিক করে নেই,মানে পরাশুনা নিয়ে আমার আকিদা হচ্ছে,"এটা হালাল দুনিয়াবি কাজ।আমি পরলে আল্লাহ আমাকে ভালো ফলাফল করায় দিবেন।এর বাইরে পরাশুনা নিয়ে আর কোন বিশ্বাস বা আকিদা নাই"


তাইলে কি পরাশুনা চালায় যাইতে পারব???

1 Answer

0 votes
by (589,680 points)


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
জ্বী, এমন আকিদা শিরক।

(২)
শিরক করলে স্ত্রীকে তালাক দিতে হবে না।বরং স্ত্রী অটোমেটিক তালাক হয়ে যাবে। সুতরাং তালাকের ভয় শিরক করা থেকে বিরত থাকার কোনো অর্থই হয়না।
(৩)
কবিরা গোনাহ করলে শিরক হয়না। তবে শিরক হয়নি বলে যে কবিরা গোনাহকে চালিয়ে যাওয়া হবে,এমনটা কোনো মু'মিন মুসলমানের জন্য কাম্য হতে পারে না।বরং এতে ডাবল গোনাহ হবে।

(৪)
না,শিরক হবে না।

(৫)

জ্বী, আপনি বর্ণিত আকিদা নিয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারবেন।

https://www.ifatwa.info/1379 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
ইমাম নববী রাহ উক্ত হাদীসের ব্যখ্যায় লিখেন,
ﻣﻌﻨﺎﻩ ﺃﻥ ﺍﻟﺸﻴﻄﺎﻥ ﺇﻧﻤﺎ ﻳﻮﺳﻮﺱ ﻟﻤﻦ ﺃﻳﺲ ﻣﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻓﻴﻨﻜﺪ ﻋﻠﻴﻪ ﺑﺎﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ؛ ﻟﻌﺠﺰﻩ ﻋﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻭﺃﻣﺎ ﺍﻟﻜﺎﻓﺮ : ﻓﺈﻧﻪ ﻳﺄﺗﻴﻪ ﻣﻦ ﺣﻴﺚ ﺷﺎﺀ ، ﻭﻻ ﻳﻘﺘﺼﺮ ﻓﻲ ﺣﻘﻪ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ، ﺑﻞ ﻳﺘﻼﻋﺐ ﺑﻪ ﻛﻴﻒ ﺃﺭﺍﺩ ، ﻓﻌﻠﻰ ﻫﺬﺍ ﻣﻌﻨﻰ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ : ﺳﺒﺐ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ : ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﺃﻭ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ﻋﻼﻣﺔ ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﻭﻫﺬﺍ ﺍﻟﻘﻮﻝ ﺍﺧﺘﻴﺎﺭ ﺍﻟﻘﺎﺿﻲ ﻋﻴﺎﺽ ...
অর্থাৎ শয়তান সে ব্যক্তিকেই প্ররোচনা দেয়,যাকে গোমরাহ করতে সে নিরাশ হয়ে যায়।সে কাউকে গোমরাহ করতে নিরাশ হয়ে গেলে সর্বশেষে সে মনে সন্দেহ ঢুকিয়ে দিতে চায়।
আর কাফিরের নিকট শয়তান যেকোনো থেকে যেহেতু আসতে পারে,তাই কাফিরকে প্ররোচনা দেয়ার কোনো প্রয়োজন তার থাকে না।কেননা সে যেকোনো সময় তার ইচ্ছামত কাফিরকে ব্যবহার করতে পারে।সুতরাং হাদীসের অর্থ হলো এই যে,ঈন্তরে ঈমানের দানা থাকার দরুণই শয়তান ঈমানদারদেরকে প্ররোচনা দিয়ে থাকে। এ বিষয়ে এটাই কাযী ঈয়ায রাহ এর পছন্দনীয় ব্যাখ্যা।
(আল-মিনহাজ্ব-২/১৫৪)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...