বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী মালি জরিমানা অর্থাৎ টাকা বা কোনো কিছু জরিমানা হিসেবে নেওয়া বৈধ নয়।
(কিতাবুন নাওয়াজেল ১০/২০৩.ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ ১৪/১৩৫.কিফায়াতুল মুফতী ২/১৬৬)
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَاۡکُلُوۡۤا اَمۡوَالَکُمۡ بَیۡنَکُمۡ بِالۡبَاطِلِ اِلَّاۤ اَنۡ تَکُوۡنَ تِجَارَۃً عَنۡ تَرَاضٍ مِّنۡکُمۡ ۟ وَ لَا تَقۡتُلُوۡۤا اَنۡفُسَکُمۡ ؕ اِنَّ اللّٰہَ کَانَ بِکُمۡ رَحِیۡمًا ﴿۲۹﴾
হে মুমিনগণ! তোমরা একে অপরের সম্পত্তি অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না; কিন্তু তোমরা পরস্পর রাযী হয়ে ব্যবসা করা বৈধ এবং নিজেদেরকে হত্যা করো না; নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের প্রতি পরম দয়ালু।
(সুরা নিসা ২৯)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ أَبِىْ حُرَّةَ الرَّقَّاشِىِّ عَنْ عَمِّه قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «أَلَا لَا تَظْلِمُوا أَلَا لَا يَحِلُّ مَالُ امْرِئٍ إِلَّا بِطِيبِ نَفْسٍ مِنْهُ». رَوَاهُ الْبَيْهَقِىُّ فِىْ شُعَبِ الْإِيْمَانِ وَالدَّارَقُطْنِىِّ فِى الْمُجْتَبٰى
আবূ হুররাহ্ আর্ রক্কাশী (রহঃ) তাঁর চাচা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সাবধান! কারো ওপর জুলুম করবে না। সাবধান! কারো মাল তার মনোতুষ্টি ছাড়া কারো জন্য হালাল নয়।
আহমাদ ২০৬৯৫, শু‘আবুল ঈমান ৫১০৫, ইরওয়া ১৪৫৯, সহীহ আল জামি‘ ৭৬৬২।
বিস্তারিত জানুনঃ
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে বাধ্যবাধকতা হলে আপনি বাধ্য হয়ে জরিমানা প্রদান করবেন।
সেক্ষেত্রে তাদের জন্য এটা গ্রহন নাজায়েজ হবে।
(০২)
উল্লেখিত অফার গুলি হাদীয়ার অন্তর্ভুক্ত, বিধায় তাহা জায়েজ।
এক্ষেত্রে লোকসানের সম্ভাবনা থাকা যাবেনা,যেই টাকায় যেই পণ্য ক্রয় করা হচ্ছে, সেই পন্য নিশ্চিত পাওয়ার পাশাপাশি অতিরিক্ত কোনো কিছু পেতে হবে।
কোনো শরীয়াহ বিরোধী দিবসের সময় কোনো অফার গ্রহন করা যাবেনা।
(০৩)
এক্ষেত্রে ইচ্ছাপূর্বক ভাবে একবারও তার দিকে দৃষ্টিপায় করা যাবেনা।
এতে গুনাহ হবে।
অনিচ্ছায় একবার দৃষ্টি চলে গেলে সাথে সাথে ফিরিয়ে নিতে হবে।
(০৪)
নন মাহরামের সামনে যতক্ষণ বেপর্দা থাকা হয় ততক্ষণ কবীরা গুনাহ হতে থাকবে।
আর পর্দা করা হলে মহান আল্লাহর আদেশ মানার কারনে ছওয়াব হবে।