ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
সুদ অনেক ভাবেই হতে পারে।সিংহভাগ সুদ ব্যাংক কর্তৃক হয়ে থাকে।তাছাড়া ঋণ নেয়ার পর অতিরিক্ত কিছু ফিরিয়ে দেয়ার নামও সুদ।সুদ অনেক ভাবেই হতে পারে।
অনলাইনে বই সেলাররা একটা বই কিনলে আরেকটা বই দিবে বা ক্যাশ ব্যাক দেয় বা এটা সেটা ফ্রি দেয়া এগুলো সুদ নয়।
(২)
জ্বী,অন্তরকে নফস বলে।নফসের মধ্যে ভালো খারাপ উভয় দিকই রয়েছে।
(৩+৪+৫)
আপনি কোনো নেককারের সংস্পর্শ গ্রহণ করুন।তাহলে আপনার এই সব প্রশ্নের সমাধান হবে।
রাসূলুল্লাহ সাঃ এর ৪ টি দায়িত্বের একটি দায়িত্ব হল,আত্মসুদ্ধি।এই আত্মসুদ্ধির অপর নাম তাসাউফ। তাসাউফ সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন-১০৩৭
সুতরাং তাসাউফ তথা কোনো হক্কানী,রব্বানী আলেমের সংস্পর্শ দ্বারাই আল্লাহর সঠিক ও যথার্থ পরিচয় লাভ করা সম্ভব হবে।এবং পুরোপুরি রাসূলের অনুসরণ করা এবং রাসূল সাঃ এর পবিত্র সুন্নতের অনুসরণ করাও সম্ভবপর হবে।
আল্লাহর মহব্বত লাভের জন্য সর্বদা নিম্নোক্ত দু'আ করবেন।
اللَّهُمَّ أرْزُقْنِي حُبَّكَ وَ حُبَّ منْ يَنْفَعُنِي حُبُّه عِندَكَ
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মারজুকনি হুব্বাকা ওয়া হুব্বা মাঁইয়ানফানি হুব্বুহু ইংদাকা।’
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমাকে আপনার ভালোবাসা দান করুন এবং যার ভালোবাসা আপনার কাছে আমার জন্য উপকারী হয়, তার ভালোবাসাও দান করুন।’
উপকার : রাসুলুল্লাহ (সা.) সব সময় এই দোয়া করতেন। (তিরমিজি, হাদিস : ৩৪৯১)
আপনার প্রতি বিশেষ নসিহা হল,
আপনার জন্য উচিৎ,অতি দ্রুত দ্বীনদ্বার কোনো মানুষের সংস্পর্শে যাওয়া। যেহেতু মহিলাদের জন্য উচিৎ বিনা প্রয়োজনে ঘরের বাহিরে না যাওয়া,তাই আপনি অবিবাহিত হলে, দ্বীনদ্বার কোনো পাত্র দেখে বিয়ে করে নিবেন। আর বিবাহিত হলে,স্বামীকে কোনো হক্বানি রাব্বানি দ্বীনদার বুজুর্গের নিকট যাওয়ার পরামর্শ দিবেন।জাযাকুমুল্লাহ।