আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
98 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (32 points)
edited by
কিছু কাগজপত্র ডাকযোগ পাঠানোর জন্য এক দোকান থেকে একটা খাম কিনি (দাম নেয় ২ টাকা)। খামের উপর লেখার কাজ দোকানের ডেস্কের উপরেই সারি।  দোকানদার থেকে স্ট্যাপলার চেয়ে নিই কাগজপত্র গুলো পিন করতে। এরপর তাকে বলি কাগজপত্রগুলো খামের ভিতর ঢুকিয়ে দিতে। এরপর সে তার ব্যবহার্য আঠা এনে দিয়ে বলে খামের মুখ লাগিয়ে দিতে। এসব কিছু শেষ হলে তাকে বলি, ❝ধন্যবাদ, অনেক কষ্ট দিলাম❞। সে বলে, ❝কই অনেক কষ্ট❞। তারপরও আমার মনে হয় দুই টাকার জিনিস কিনে উক্ত সেবা তার থেকে নেওয়া ভালো দেখায় না। তাই তার থেকে তাৎক্ষণিক না লাগা সত্বেও একটা স্ট্যাপলার ও একবাক্স পিন কিনি(৮০ টাকা)। কিন্তু বাড়িতে এসে মনে হয় তার কাছে আমি দেনা থেকে গেলাম কি। তাই পরের দিন আবার তার কাছে গিয়ে ওসবকিছুর জন্য প্যাকেজিং হিসেবে টাকা দিতে চাই কিন্তু সে টাকা নিতে রাজি হয় না।বলে ওসব কিছু না, কোনরকম দাবি নেই কোন বিনিময় চায় না। আবার, তার কথায় বোঝা যায় তারা এসব টুকটাক জিনিস করে দেয় যাতে কাস্টমার ধরে রাখা যায়। কিন্তু ওরকম মনে রেখে কারো কাছে যাওয়া বা ওরকম নৈতিকভাবে আটকে থাকতে আমি চাই না, এটা মানসিক বন্দিত্বের মত মনে হয়।

১/ এই সেবাটা নেওয়া শরীয়তের দৃষ্টিতে আমার জন্য বৈধ বা স্বাভাবিক হয়েছে কিনা?

(করোনা আসার পর আমি আরও মানসিক অসুস্থতায় পতিত হয়েছি। বর্তমানে নিজের বুদ্ধি এবং বিচারশক্তি লোপ পেয়েছে। আমি মানসিকভাবে সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগা শুরু করেছি। তাই আপনাদের কাছে এসব প্রশ্ন করি। আল্লাহর বিধানে যেটা আসে, সেটাই আমি মাথা পেতে নিতে চাই।)

২/উক্ত খামে চাকুরির আবেদনপত্র পাঠাইছি। উক্ত দোকানদারের সাথে বিশুদ্ধ সমাধানে (আল্লাহ না করুন) না আসতে পারলে কি আমার চাকুরির আবেদনের বিশুদ্ধতা নষ্ট হবে?
৩/ সবচেয়ে দরকারি হিসেবে যেটা জানতে চাই তা হলো, কোন একটি দ্রব্য বা সেবা যেটা নেওয়া হয়েছে কিন্তু সেটার মূল্যও নির্ধারন করা হয়নি এবং পরিশোধেরও মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়নি(যেমন উপরের ক্ষেত্রে) , সেক্ষেত্রে লেনদেন সম্পূর্ণ পরিশুদ্ধ হতে কী করতে পারি? নগদে দিলে যেটা দিতাম সেটা দিতে হবে, নাকি যে-কয়দিন দেরি হবে সেটাও বিবেচনা করতে হবে , নাকি দোকানদার যেটা চাইবে সেটা?

৪/ আর এ ধরনের লেনদেনে পরবর্তীতে মূল্য পরিশোধ করা হলেও, পরিশোধের আগ পর্যন্ত বস্তু বা সেবাটি ব্যবহার কি কাস্টমারের জন্য বিশুদ্ধ হবে? অর্থাৎ, শরীয়তে কেনাবেচার নীতি অনুযায়ী মূল্য পরিশোধিত হোক বা না হোক বস্তু বা সেবা ক্রেতার হস্তগত হলেই সেটা ব্যবহার তার জন্য বিশুদ্ধ হবে, নাকি পরবর্তীতে মূল্য পরিশোধের আগ পর্যন্ত যে ইউজটা হবে তা অবৈধ হবে, নাকি যে-কোন সময়ে মূল্যের পরিশোধ আগেরকার সকল ইউজ বৈধ করবে?

এসব বিষয়ে অল্পজ্ঞান আমার সমস্যা আরো জটিল করে তুলছে।প্লিজ, আমার দ্বীনি-ভাই হিসেবে একটু ব্যাখামূলক উত্তর তাড়াতাড়ি দেওয়ার জন্য বিনীত অনুরোধ রইলো। জাযাকাল্লাহ।

1 Answer

0 votes
by (713,000 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/8668 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
অন্যর মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত কারো জন্য হালাল হয় না।বিদায় এসব পরিত্যাজ্য।
কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍْ ﻻَ ﺗَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻣْﻮَﺍﻟَﻜُﻢْ ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢْ ﺑِﺎﻟْﺒَﺎﻃِﻞِ ﺇِﻻَّ ﺃَﻥ ﺗَﻜُﻮﻥَ ﺗِﺠَﺎﺭَﺓً ﻋَﻦ ﺗَﺮَﺍﺽٍ ﻣِّﻨﻜُﻢْ ﻭَﻻَ ﺗَﻘْﺘُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻧﻔُﺴَﻜُﻢْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻛَﺎﻥَ ﺑِﻜُﻢْ ﺭَﺣِﻴﻤًﺎ
তরজমাঃ-হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু।(সূরা নিসা-২৯)

এবং হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত,
عن ابن عباس قال;قال رسول اللّٰه صلى اللّٰه عليه و سلم
  " ﻻ ﻳﺤﻞ ﻣﺎﻝ ﺍﻣﺮﺉ ﻣﺴﻠﻢ ﺇﻻ ﺑﻄﻴﺐ ﻧﻔﺲ ﻣﻨﻪ "
নবী কারীম সাঃ বলেনঃ"কোন মুসলমানের জন্য  অন্য কোনো মুসলমানের মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত হালাল হবে না।(তালখিসুল হাবীর-১২৪৯)
আরো জানুন-https://www.ifatwa.info/3747

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু ঐ ব্যক্তি আপনাকে নিজ পক্ষ্য থেকে অন্তরের সন্তুষ্টির সাথে ঘাম ইত্যাদি ব্যবহারের সুযোগ দিচ্ছে, বিনিময় নিচ্ছে না, তাই আপনার জন্য ঐ সমস্ত সেবা গ্রহণ করা জায়েয হয়েছে।

বাকীতে কোনো জিনিষ নিলে বেশী মূল্য ধরা হলে তা সুদ হবে না। তবে উভয়ের সম্মতি থাকতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (713,000 points)
উত্তর দেয়া হয়েছে।
by (32 points)
প্রিয়, মুহতারাম @মুফতী ইমদাদুল হক,
৩ এবং ৪ নং প্রশ্নের উত্তর একটু বিস্তারিত জানানোর বিশেষ আর্জি জানাই।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...