আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
161 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহ।

আমার বাবার (রহঃ) এর রেখে যাওয়া কিছু টাকা যা এতদিন ব্যাংকে ছিলো।আমি পরিবারের সবার ছোট। আলহামদুলিল্লাহ আমি ফ্যামিলি চালাচ্ছি। সুদ সম্পর্কে যখন ভালোভাবে জানতাম না তখনো মনে হতো এটা অনুচিত, কারন আমি জানতাম এটা খারাপ, আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ তায়ালার দয়া, হিদায়েত পাওয়ার পর এ সম্পর্কে আরো জানলাম, তবে আমি পরিবারের ছোট  হওয়ায় টাকা গুলো কিছু করতে পারছিলাম না।আমার বাবা/ভাই দুজনেই পরকালের পথে পারি জমিয়েছেন।আল্লাহ তায়ালা তাদের জান্নাতুল ফিরদাউস দান করুন। ২ বোণেদের বিয়ে হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ।আমার আত্নিয় স্বজনের মাঝে বেহিরভাগই বেনামাজি, আল্লাহ তাদেরকে হিদায়েত দান করুন। সেই সুবাদে আমি পরিবারের মধ্যে ছোট হয়েও এ বিষয়ে কিছু করতে চাচ্ছিলাম, কেননা সুদ হচ্ছিলো টাকাগুলো।
আমার চাচাত ভাইদের বা চাচাদের অবস্থা আলহামদুলিল্লাহ আমাদের থেকে ভালো। চাচাত ভাই নামাজি ও মোটামুটি দ্বীন বূঝে। তার এমব্রয়ডারির ব্যবসা আছে।নিজের যায়গা জমি ব্যালেন্স মোটামূটি ভালো। যেহেতু আমার কোণো বড় গার্ডিয়ান নেই, তার কাছে গিয়ে জানাণো  হলো যে, আমাদের টাকা গুলো নিয়ে আপনি ব্যবসায় মুলধন যোগ করেন অথবা এমন কাউকে দিন যে মূলধন চাচ্ছে। এমতাবস্থায় সে টাকাগুলো নিজে নেয়ার প্রস্তাব যানায় এবং বলে " তোদের টাকাগুলো ত সুদ হয়ে যাচ্ছে যা হারাম হবে খাওয়া, আমার ত আলহামদুলিল্লাহ মোটামূটি যা আছে শুকরিয়া আমি চলতে পারি, তোদের টাকাগুলো যেনো হালাল হয়, (টাকা গুলো ব্যংকে থেকে সুদ তো হচ্ছিলই পাশাপাশি টাকাগূলো টূকটাক খেতে খেতে শেষ হয়ে যাচ্ছে।আমি ছোট হওয়ায় জায়গা জমিও কিনতে পারছি না।) টাকাগুলো ব্যবসায় ইনভেষ্ট করবে , কিন্তু আমাদেরকে নির্ধারিত লভ্যাংশের পরিমান না দিয়ে, তার নিজ জমি বা বাসার সামনে খানিকটা যায়গা আছে, সেখানে ঘড় উঠিয়ে দিবে যদি আমরা চাই সেখানে থাকতেও পারি যদি তাই ভাড়াও দিতে পারি, এখান থেকে সে কোণো টাকা নিবে না। এক কথায় আমাদের টাকা দিয়ে তার যায়গায় ঘর তুলে দিবে এবং সেই ঘর যত টাকা ভারা হবে সেই ভাড়া আমরা নিবো।যদি এমন কোণো মাস হয় যে ভাড়াটিয়া নেই সে মাসে আমরা কোণো টাকা পাবো না। অর্থাৎ আমাদের লাভ আসবে ঘড় ভাড়া থেকে।

জানার বিষয় হলো, যে পরিমাপে বা হারাম থেকে বাচতে বা আমাদেরকে বাচাতে সে টাকাগুলো নিয়েছে সেই টাকা সে ব্যবসায় ইনভেষ্ট করুক বা ঘর তুলে দিক, যদিও সে ঘড় তুলে সে ঘড়ের ভাড়া অনুযায়ি আমরা পাবো বলেছে, কিন্তু নির্ধারিত পরিমান টাকা নেই।এই ভাবে টাকাগূলো কি যায়েজ হবে?
শুকরান।

জাযাকুমুল্লাহ খইরান ওয়া আহসানুল জাযা।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/4247 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
সুদ হারাম। আল্লাহ তা'আলা বলেন,
اَلَّذِیْنَ یَاْكُلُوْنَ الرِّبٰوا لَا یَقُوْمُوْنَ اِلَّا كَمَا یَقُوْمُ الَّذِیْ یَتَخَبَّطُهُ الشَّیْطٰنُ مِنَ الْمَسِّ ذٰلِكَ بِاَنَّهُمْ قَالُوْۤا اِنَّمَا الْبَیْعُ مِثْلُ الرِّبٰوا ۘ وَ اَحَلَّ اللهُ الْبَیْعَ وَ حَرَّمَ الرِّبٰوا  فَمَنْ جَآءَهٗ مَوْعِظَةٌ مِّنْ رَّبِّهٖ فَانْتَهٰی فَلَهٗ مَا سَلَفَ  وَ اَمْرُهٗۤ اِلَی اللهِ  وَ مَنْ عَادَ فَاُولٰٓىِٕكَ اَصْحٰبُ النَّارِ هُمْ فِیْهَا خٰلِدُوْنَ.
যারা সুদ খায় তারা (কিয়ামতের দিন) সেই ব্যক্তির মতো দাঁড়াবে, যাকে শয়তান স্পর্শ দ্বারা পাগল করে। এটা এজন্য যে, তারা বলে, ক্রয়-বিক্রয় তো সুদের মতোই। অথচ আল্লাহ ক্রয়-বিক্রয়কে হালাল করেছেন এবং সুদকে করেছেন হারাম। যার নিকট তার প্রতিপালকের উপদেশ এসেছে এবং সে বিরত হয়েছে, তবে অতীতে যা হয়েছে তা তারই। আর তার ব্যাপার আল্লাহর এখতিয়ারে। আর যারা পুনরায় করবে তারাই জাহান্নামের অধিবাসী হবে। সেখানে তারা হবে চিরস্থায়ী। (সূরা বাকারা-২)

সুদ হলো,ঋণ দিয়ে বিনিময়ে কিছু গ্রহণ করা।যেমন উসূলে ফিকহের সুপ্রসিদ্ধ মূলনীতি
كل قرض جر نفعا فهو ربا
প্রত্যেক ঐ ঋণ যা মুনাফাকে টেনে নিয়ে আসে সেটাই সুদ।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু আপনি আপনার ঐ চাচাতো ভাইকে কোনো ঋণ দিচ্ছেন না, বরং তার জায়গা এবং আপনার টাকা দ্বারা নির্মিত বিল্ডিং দ্বারা আপনারা ব্যবসা করতে চাচ্ছেন।তাই ভাড়া বাবৎ আপনি যা পাবেন, তা হালালই হবে।

কতদিন পর্যন্ত আপনি ভাড়া পাবেন, সে বিষয়টা জেনে নিবেন।বা এ সম্পর্কে কোনো চুক্তিপত্র লিখে রাখবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
উত্তর দেয়া হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...