আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
198 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (55 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম হুজুর৷দয়া করে সমাধা দিবেন।

১। কোন মহিলা যদি অন্য কারনে, " বাদ ই তো" এই কথা বলতে গিয়ে মনে মনে তার  স্বামীর কথা ভেবে ফেলে তাহলে এই কথার মাধ্যমে কি সমস্যা হয়? এই কথার মাধ্যমে কি কোন মহিলা তালাকের মিথ্যা স্বীকারোক্তি দিতে পারবে?? মুখে শুধু "বাদ" দেওয়ার কথা বলে কি কোন মহিলা তার বিবাহ বা তার স্বামীকে  বাদ করতে পারে??যদি এমন হয় তার কথার উদ্দেশ্য ছিল অন্য কিছু, কিন্তু সে যদি মনে মনে ভেবে ফেলে  তার স্বামীর কথা কিন্তু মুখে প্রকাশ না করে স্বামীর কথা ৷ তাহলে শুধু এইটুকু কথায় কি কোন সমস্যা হবে??

২।কোন মহিলা যদি শুধুমাত্র তালাকের সুস্পষ্ট শব্দবলে আর মনে মনে ভাবে তার নিজের কথা কিন্তু মুখে প্রকাশ না করে তাহলে কি তা পতিত হয়ে যায়??

৩। একজন মেয়ে হলে থাকে৷ সে তার বোনের সাথে আগের এক রুমমেট বান্ধবীর বিষয়ে কথা বলে। তার বোন জিজ্ঞেস করে তুমি কি অমুকের সাথে এখনো এক রুমে থাকো?? পরে মেয়েটা বলে,  " না আমরা আগে এক রুমে থাকতাম, এখন আলাদা রুম পেয়ে আলাদা হয়ে গেছি"

এইখানে  "আলাদা"  পর্যন্ত বলার সময় মনে কোন সন্দেহ কাজ করেনি৷ সে আলাদা বলার পর "হয়ে গেছি" বলার সময় মনে মনে ভেবে ফেলে তার স্বামীর কথা ভেবে বলে ফেললো কিনা। আর ভয় পেয়ে যায়।
এইকথা বলার সময় যদি মনে মনে ওয়াসওয়াসা আসে স্বামীর কথা বলে ফেলেছে তাহলে কি তাই সত্যি হয়ে যাবে আর মিথ্যা স্বীকারোক্তি হয়ে যাবে??

মুখে বলার সময় বান্ধবীর জন্য বলে যদি মনে মনে স্বামীর কথা ভেবে ফেলে তাহলে কি মিথ্যা স্বীকারোক্তি হয়ে যাবে নাকি মুখেও স্বামীর কথা বলতে হবে???

কোন মেয়ে কি আলাদা হয়ে যাওয়ার কথা বলে মিথ্যা স্বীকারোক্তি দিতে পারে??

আর অন্য কারনে কথা বলার সময় মনে মনে ভেবে ফেললে কি সেটাই মিথ্যা স্বীকারোক্তি হয়ে যাবে?? এইখানে উত্তর দেওয়ার  সময় সে তার বান্ধবীর জন্যই উত্তর দিচ্ছিলো। ওয়াসওয়াসার জন্য মনে মনে স্বামীর কথা আসলে হুকুম কি?? কোন সমস্যা হবে কি?

৪। কেউ কি মুখে শব্দ করে উচ্চারণ না করে শুধু মুখ নাড়ানোর শব্দের মধ্যে তালাকের শব্দ কল্পনা করে নেয় তাহলে কি তা পতিত হয় নাকি সুস্পষ্ট ভাবে উচ্চারণ করতে হয়? অর্থাত দাত নাড়ানোর মধ্যেও যদি ওই ধরনের শব্দ ভেবে ফেলে বা মুখ নাড়ানোর মধ্যে ওই শব্দ কল্পনা করে ফেলে বা মনে হয় তালাকের শব্দ বলে ফেলেছে শুধু মুখ/ঠোঁটের শব্দে তাহলে কি পতিত হয়?.? জিহবা নাড়িয়ে কোন শব্দ উচ্চারণ করেনি স্পষ্ট বা কানেও আসেনি।

৫। কেউ যদি তালাকের সুস্পষ্ট শব্দ মনে মনে বলার সময় বা জিহবা নাড়ানোর সময় শুধু লা শব্দটি শুনে বা হালকা কানে আসে কিন্তু বাকি শব্দ না শুনে৷ তাহলে কি তা পতিত হয়?? মানে পুরো শব্দটি যদি কানে না আসে তাহলে হবে কিনা??

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1379 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
তালাকের কথা চিন্তা লরল কিন্তু সে শব্দ করে উচ্চারন করল না, বা তার  জিহবা নড়ল না, অর্থাৎ সে মনে মনে বলল, তাহলে তালাক পতিত হবে না। 
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৯১,সহীহ মুসলিম-১২৭)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
মুখ দ্বারা নিশ্চিতভাবে উচ্ছারণ না করলে তালাক হবে না। সুতরাং আপনি আপনার বান্ধবীর সাথে এখন আর এক রুমে থাকেননা দ্বারা তালাক পতিত হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...