ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
বেপর্দা চলার কারনে তার গুনাহ হবে।
তবে সে অন্যদের কুরআনে ছবক দিতে পারবে।
তবে কেহ যদি তার এহেন চলাফেরার কারনে তার থেকে সবক না নেয়,তাহলে সেটি ভিন্ন কথা।
(০২)
ঐ দুল বিক্রি করে যদি ঐ মেয়ে তার বোন জামাইয়ের ঋণ পরিশোধ করে তবে তা আদায় করা হবে।
উক্ত দুল ব্যবহার করা যাবে।
(০৩)
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী হায়েযের সর্বোচ্চ সময়সীমা ১০দিন।
এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬)
উম্মে আলক্বামাহ তথা মার্জনা (مَوْلاَةِ عَائِشَةَ) হইতে বর্ণিত,
عن أم علقمة أَنَّهَا قَالَتْ : " كَانَ النِّسَاءُ يَبْعَثْنَ إِلَى عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ بِالدُّرْجَةِ فِيهَا الْكُرْسُفُ فِيهِ الصُّفْرَةُ مِنْ دَمِ الْحَيْضَةِ يَسْأَلْنَهَا عَنْ الصَّلَاةِ فَتَقُولُ لَهُنَّ لَا تَعْجَلْنَ حَتَّى تَرَيْنَ الْقَصَّةَ الْبَيْضَاءَ تُرِيدُ بِذَلِكَ الطُّهْرَ مِنْ الْحَيْضَةِ "
তিনি বলেনঃ (ঋতুমতী) স্ত্রীলোকেরা আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট ঝোলা বা ডিবা (دُرْجَة) পাঠাইতেন, যাহাতে নেকড়া বা তুলা (كُرْسُفْ) থাকিত। উহাতে পাণ্ডুবৰ্ণ ঋতুর রক্ত লাগিয়া থাকিত। তাহারা এই অবস্থায় নামায পড়া সম্পর্কে তাহার নিকট জানিতে চাহিতেন। তিনি [আয়েশা (রাঃ)] তাহাদিগকে বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা (বর্ণ) দেখিতে না পাও। তিনি ইহা দ্বারা ঋতু হইতে পবিত্রতা (طُهْر) বুঝাইতেন।(মুয়াত্তা মালিক-১২৭)
বিস্তারিত জানুনঃ
,
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী তুহর তথা দুই হায়েজের মাঝে পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমা পনেরো দিন।
এই পনেরো দিনের মধ্যে কোনো রক্ত আসলে সেটি হায়েজ নয়,বরং সেটি ইস্তেহাজা তথা অসুস্থতা।
এই সময়ে নামাজ রোযা আদায় করতে হবে।
হজরত হান্নাদ [রহ] আম্মাজান আয়েশা [রা]-এর হাদিস বর্ণনা করেছেন যে, ফাতিমা বিনতে হুবাইশ নামক এক নারী একবার রাসুল [সা]-এর সমীপে এসে বললো, হে আল্লাহর রাসুল, আমি একজন ইস্তেহাযাগ্রস্ত মেয়ে। আমি তো পাক হই না। তাই আমি কি নামাজ পড়া ছেড়ে দেবো? রাসুল [সা] বললেন, না, কারণ এ রক্ত হায়েযের নয়; বরং এ হলো শিরা থেকে বেরিয়ে আসা রক্ত। সুতরাং যখন তোমার হায়েযের নির্ধারিত দিনগুলি আসে তখন সে দিনগুলি নামাজ ছেড়ে দেবে। আর হায়েযের দিন চলে গেলে তোমার রক্ত ধুয়ে নেবে এবং নামাজ আদায় করবে। [তিরমিজি, হাদিস-১২৫]
,
★ উভয় হায়েজের মাঝে কমপক্ষে পনেরো দিন পবিত্রতা ধরতে হবে।
হায়েজ শেষ হওয়ার পরদিন থেকে পনেরো দিন গণনা করা হবে।
,
এই পনেরো দিনের মধ্যে কোনো রক্ত আসলে সেটাকে ইস্তেহাজা তথা অসুস্থতা ধরতে হবে।
নামাজ রোযা আদায় করতে হবে।
পনেরো দিন থেকে বেশি পবিত্রতা হলে তো হায়েজের দিন গুলো চিনতে কোনো সমস্যাই নেই।
,
★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ঐ মেয়ে যদি ১৫ দিন ১৫ রাত আসতে আরও তিন দিন তিন রাত বাকি থাকায় ইস্তেহাযা ধরে বাকী তিন দিন তিন রাত নামাজ,রোযা , কুরআন তিলাওয়াত করে তবে তবে গুনাহ হবেনা।
বরং এটিই নিয়ম।
৯ দিনের মাথায় হায়েজ বন্ধ হয়েছে মনে করে তিনি যে সালাত আদায় করেছিলেন,সেই নামাজ পড়া মাফ হবে।
কেননা যেহেতু ১০ ম দিনেও হায়েজ এসেছিলো,তার মানে ৯ম দিনও হায়েজের অন্তর্ভুক্ত ছিলো।
,
আরো জানুনঃ
(০৪)
সহীহ ভাবে তেলাওয়াত শেখা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
(০৫)
এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ
(০৬)
উক্ত টাকা তার বোনকে ফেরয় দিতেই হবে।
তাকে না জানিয়ে তার কাছে রেখে দিতে পারে।
তার মোবাইলে বিকাশ ইত্যাদির মাধ্যমে পাঠাতে পারে, রিচার্জ করে দিতে পারে,তার ব্যাংক একাউন্টে জমা করিয়ে দিতে পারে।
(০৭)
সরাসরি সেই মেয়ের বাবা থেকে অথবা কাহারো মাধ্যমে অথবা সেই মেয়ের মাধ্যমে উক্ত মেয়ের বাবাকে জানিয়ে মাফ চেয়ে নিতে হবে।