আগের প্রশ্নেঃ
https://ifatwa.info/37639/
আমি বলেছিলাম যেঃ আমি প্যান্টে বীর্য নির্গত করে ফেলেছি। এতে কিছু বীর্য আমার উরুতে লেগেছিল। আমি কোমড় থেকে পানি ঢেলে দিয়েছি। ২-৩ বার ঢেলেছি। হাত দিয়ে ঘষেছি। সব জায়গায় ঘষতে পারিনি। মানে, কোমড় থেকে পানি ঢেলেছি সব কাপড় খুলে। বীর্য ধোয়া পানি আমার কোমড় থেকে নীচ পর্যন্ত সমস্ত শরীরে লেগেছে।
এখানে একটু ভুল হয়েছে, কোমড় থেকে সমস্ত শরীরে লাগেনি৷ বরং, পানি প্রবাহ করেছি৷ কোথায় কোথায় গিয়েছে নিশ্চিত বুঝতে পারছি না।
১. এক্ষেত্রে কি করনীয় হুজুর?
২. আমি যেই বিছানায় ঘুমিয়েছি সেই বিছানার চাদর ও কাথা কি ধুতে হবে? কারণ, ধুয়ে আসার পর আমার শরীর সামান্য ভেজা ছিল হয়তো।
৩.সতর্কতার জন্য যদি পাপোশ ধুয়ে ফেলি তাহলে কি তা বাড়াবাড়ি হয়ে যাবে?
৪. এই অবস্থায় এরপর আবার স্বপ্নদোষ হয়েছিল এখন আমি গোসল না করে কি আমি কাপড় ধুতে পারবো?
৫. প্যান্ট একটা মানুষের যে পরিমাণ বীর্য বের হয় সবটুকুই লেগেছিল। এরপর বাকী কাপড়গুলোর সাথে ডিটারজেন্ট পাউডার দিয়ে ধুয়ে দিয়েছে আরেকজন৷ এতে কি কাপড় পাক হয়েছে?
৬. কাপড় ৩ বার ধুতে হবে - এর মানে কি প্রত্যেক বার নতুন পানি নিতে হবে নাকি আগের পানিতে চুবালে হবে - এটা একটু বিস্তারিত বইলেন।
৭. আজকে প্রশ্রাব করার সময় লিংগের সামনে পিচ্ছিল পদার্থ দেখতে পেয়েছি৷ অনেকটাই ছিল। তবে, তা প্যান্টে লেগেছে কি না নিশ্চিত নয়। পরে প্রশ্রাব করে তা মুছে দিয়েছি। আমার প্যান্ট কি নাপাক হয়ে গেছে?
৮. প্যান্ট সামান্য ভেজা থাকলে কি সেটা ভেজা হিসেবে শরিয়তে বলা হয়?আমার জিন্সের প্যান্ট পুরোপুরি না শুকাতেই আমি পড়ে ফেলেছি। প্যান্টে সামান্য ঠান্ডাভাব রয়ে গেছে ভেজার কারণে। প্যান্টেই ৭ নং অবস্থার মত অবস্থা হয়েছে। এখন এই প্যান্টের সামনের পকেটে মোবাইল রাখলে কি নাপাক হয়ে যাবে? আমি আন্ডারওয়ার পড়িনি। সরাসরি প্যান্ট পড়েছি। কাারন এমনত হতে পারে যে প্যান্টের পকেটে এসব পিচ্ছিল পদার্থ লেগে থাকবে।
৯. আমি প্রচুর ওয়াসওয়াসার রুগী হয়ে গেছি।পাত্তা না দেওয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু পারি না। এই রোগ আমাকে ধবংস করে দিচ্ছে।
১০. 'আল্লাহর কসম আমি আগামী ৩ দিন ওয়াসওয়াসা অনুযায়ী কাজ করবো না।' এই কসম কেটেছিলাম। তখন আমি বাইকের পেছনে বসা ছিলাম আর মনে মনে চলে আসলো আমি যদি কসম ভেঙে ফেলি তাহলে কাফফারা আদায় না করলে আমি বাইক চালালে এক্সিডেন্ট করে ফেলবো। - এই অংশটুকু জিহবা নাড়িয়ে বলেছি নাকি এমনি মনে মনে বলেছি তা খেয়াল নাই। আমার অতিরিক্ত ওয়াসওয়াসার কারণে মনে মনে নাকি জিহবা নাড়িয়ে খেয়াল থাকে না। এরপর আমি নিয়ত করেছি উমুক টাকা থেকে কাফফারার টাকা দিয়ে দিবো কারণ আমি তো কসম রাখতে পারবো না। উমুক টাকা থেকে কাফফারা আদায় করবো - এটা মনে হয় মনে মনে নিয়ত করেছি।
১০. এসব ঘটনার সময় আমি রাজনৈতিকজনিত একটি হারাম কাজের সাথে লিপ্ত ছিলাম। আমাার শরীরও নাপাক ছিল মনে হয়। কারণ, উপরের প্রশ্ন গুলো পড়লেই বুঝবেন।
এখন কি কাফফারা আদায় করতে হবে? নাকি হারাম কাজে লিপ্ত থাকার কারণে কাফফারা আদায় করলেও কবুল হবে না?
১০.১ঃঃ কাফফারা কি সেই টাকা থেকেই দিতে হবে?
১০.২ঃঃ কাফফারা কি ৩ দিন পর দিবো নাকি এখনই দিতে হবে?
১০.৩ঃঃ কাফফারা যদি আরো অনেক পড়ে দেই তাহলে কি হবে না?
১০.৪ঃঃ শরীর নাপাক থাকলে কি কাফফারা আদায় হয়?
আমার ভয় হচ্ছে আমার কি কাফফারার টাকা না দিয়ে বাইক চালানো উচিত হবে?
১১. আমার মনে এত বেশী প্রশ্ন মনে আসে। কিভাবে বেচে থাকবো আমি?