আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
235 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (30 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম হুজুর। উত্তর টা বুঝার জন্য আবার বিরক্ত করা।

১।।কোন মহিলা  যদি অন্য কথা বলতে গিয়ে বলে, " শেষ করেছি/সব শেষ" এই ধরনের কথা বলার সময় যদি মনে তালাকের চিন্তা চলে আসে তাহলে কি এই কথার মাধ্যমে তার উপর পতিত হবে??
দৈনন্দিন জীবনে আমরা প্রায়ই এইসব বাক্য বলে থাকি বিভিন্ন কারণে, এখন এইসব বলার সময় যদি মনে মনে তালাকের চিন্তা চলে আসে তাহলেও কি পতিত হয়ে যাবে??

২।।অন্য কথা বলার সময় এই কথাগুলো ব্যবহার করা হয়ে থাকে যেমনঃ "কাজটা করে শেষ করেছি  / এইভাবে করবা তাহলেই তো হলো বা তাহলেই সব শেষ।।  """" এইসব বাক্য  বলার সময় কেনায়া অংশ টা বলার সময় (শেষ করার কথাটা বলার সময়) যদি   মনে মনে ওয়াসওয়াসা আসে সম্পর্ক শেষের কথা বলে ফেললো কিনা। বা যদি মনে মনে  ভেবে ফেলে,, তাহলে হুকুম কি??

৩। মহিলা কি এইসব বলে  তার নিজের উপর নিতে পারবে??

#দয়া  করে সাহায্য করেন আমাকে৷ আমি মারাত্মক রকম ওয়াসওয়াসায় ভুগি৷ নিচে একটা প্রশ্ন করলাম জানার জন্য  ।  দয়া করে সমাধান দিবেন।

 ৪।।হুজুর কোন মহিলা যদি অন্য কথার উত্তর দিতে গিয়ে বলে," আমার সাথে ঠিক এরকম হয়েছিল""" এই কথা টা বলে সে যদি মনে মনে ভেবে ফেলে সে তালাকের মিথ্যা স্বীকারোক্তি দিয়ে দিলো কিনা, অর্থাত সে যদি "ঠিক এরকম হয়েছিল" বলতে মনে মনে ভেবে ফেলে তালাকের কথা।  সে মূলত বলার সময় অন্য কথার প্রেক্ষিতে   বলছিল যে কথার সাথে তালাকের কোন সম্পর্ক নাই৷ এবং যার সাথে কথাটা বলেছে  সেও অন্য কথা হিসেবেই বুঝেছে।

মহিলা বলার সময় অন্য কথার প্রেক্ষিতে বলছিল, সে বলতে চেয়েছিল তার সাথেও একই জিনিস ঘটেছে। কিন্তু বলতে গিয়ে মনে মনে ভেবে ফেলে এমন কাঊকে উত্তর দিচ্ছে যে তালাকের কাহিনী শুনিয়েছেন এবং মহিলা তাকে উত্তর দিয়েছে এরকম কল্পনা করে ভয় পেতে থাকে।  কারণ ওইরকম পরিস্থিতিতে এই উত্তর দিলে হয়তো মিথ্যা স্বীকারোক্তি হয়ে যেতো।

৫।। যখন সে কথাটা বলেছিল সে একটা গেম এর কথা বলতে গিয়ে বলেছে যে তার সাথেও একই ঘটনা ঘটেছে। যাকে বলেছে সেও এইটাই বুঝেছে। কিন্তু মহিলার মনে ওয়াসওয়াসার কারনে সে কল্পনা করে এই কথার মাধ্যমে সে এমন কাউকে উত্তর দিয়েছে, যে তাকে তালাকের কাহিনী শুনিয়েছে, তাই এই কথার মাধ্যমে মহিলা তালাকের মিথ্যা স্বীকারোক্তি দিয়ে দিলো কিনা এইসব ভেবে ফেলে৷ মূলত এরকম কোন পরিস্থিতি আসেইনি। সে কল্পনা করে বলেছে।
অন্য  কথার উত্তর দিতে গিয়ে এই কথা বলার ফলে কি মনে মনে আসা চিন্তার কারণে মিথ্যা স্বীকারোক্তি হয়ে যাবে?? সে উত্তর দিচ্ছিল অন্য কারনে এবং যদি মনে মনে ভেবে ফেলে সে তালাকের মিথ্যা স্বীকারোক্তি দিয়েছে তাহলে হুকুম কি??

৬। কোন মহিলা যদি তার স্বামীর সাথে কথা বলার সময় অন্য কথার প্রেক্ষিতে বলতে যায়," এই কথা বলেই তো সব শেষ  করো (এইখানে শেষ কর বলতে বুঝানো হয়েছে পন্ড করো।)এই কথাটা মজা করে বলেছিল আর অন্য কথার প্রেক্ষিতে বলেছিল।এই কথা বলার সাথে সাথে মনে ভয় চলে আসলে আর যদি ভেবে ফেলে এই কথার মাধ্যমে তার স্বামীর কথা বলে সে তালাকের মিথ্যা স্বীকারোক্তি দিয়ে দিলো কিনা।

৭। এই কথা বলার সময় যদি মনে তালাকের চিন্তা চলে আসে আর সে ভেবে ফেলে তালাকের কথা বুঝিয়েছে,,, অর্থাত এই কথার মাধ্যমে কি কোন মহিলা তার স্বামীর হয়ে মিথ্যা স্বীকারোক্তি দিয়ে দিতে পারবে??

1 Answer

0 votes
by (559,290 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


তালাক হচ্ছে স্বামীর অধিকার। স্বামী তালাক দিলেই তালাক সংঘটিত হবে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ عَنْ مُوسَى بْنِ أَيُّوبَ الْغَافِقِيِّ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ سَيِّدِي زَوَّجَنِي أَمَتَهُ وَهُوَ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنِي وَبَيْنَهَا قَالَ فَصَعِدَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمِنْبَرَ فَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ مَا بَالُ أَحَدِكُمْ يُزَوِّجُ عَبْدَهُ أَمَتَهُ ثُمَّ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنَهُمَا إِنَّمَا الطَّلَاقُ لِمَنْ أَخَذَ بِالسَّاقِ

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর রসূল! আমার মনিব তার বাঁদীকে আমার সাথে বিবাহ দিয়েছে। এখন সে আমার ও আমার স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়। রাবী বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বারে আরোহণ করলেন, অতঃপর বলেনঃ হে লোকসকল! তোমাদের কারো এরূপ আচরণ কেন যে, সে তার গোলামের সাথে তার বাঁদীর বিবাহ দেয়, অতঃপর তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়? নারীর ঊরু স্পর্শ করা যার জন্য বৈধ, তালাকের অধিকার তার।
(সুনানে ইবনে মাজাহ ২০৮১.বায়হাকী ৯/১৫৭, ইরওয়াহ ২০৪১।)

★শরীয়তের বিধান অনুযায়ী  মহিলা নিজের উপর কেবল তখনি তালাক পতিত করতে পারবে, যদি স্বামী তাকে তালাক দেবার অধিকার দিয়ে থাকে।
এটি নিকাহ নামার ১৮ নং ধারাতে হ্যাঁ লেখার মাধ্যমেই হোক,বা পরবর্তীতে মৌখিক বা লিখিত ভাবেই হোক।
,  
সুতরাং স্বামী যদি স্ত্রীকে তালাকের ক্ষমতা প্রদান করে,আর স্ত্রী স্বামী কর্তৃক তালাকে তাভবিজের ক্ষমতাবলে লিখিত বা মৌখিকভাবে নিজের নফসের উপর তালাক দিয়ে দিলে সেটি পতিত হয়ে যাবে।

আরো জানুনঃ 

ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ
   
قال لھا: طلقي نفسک ولم ینو أو نوی واحدة فطلقت وقعت رجعیة الخ (الدر المختار مع رد المحتار، کتاب الطلاق، باب الأمر بالید، ۴: ۵۷۵، ط: مکتبة زکریا دیوبند)۔
সারমর্মঃ
কেহ যদি তার স্ত্রীকে বলে,তুমি তোমার নিজের নফসকে তালাক দাও,কোনো নিয়ত না করে,অথবা এক তালাকের নিয়ত করে,অতঃপর স্ত্রী তালাক দেয়,তাহলে এক তালাকে রজয়ী পতিত হবে।     

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
কোন মহিলা  যদি অন্য কথা বলতে গিয়ে বলে, " শেষ করেছি/সব শেষ" এই ধরনের কথা বলার সময় যদি মনে তালাকের চিন্তা চলে আসে তাহলে এই কথার মাধ্যমে তার উপর পতিত হবেনা।

দৈনন্দিন জীবনে  এইসব বাক্য বলার সময় যদি মনে মনে তালাকের চিন্তা চলে আসে তাহলে তালাক পতিত হবেনা।

(২.৩)
এই সব ছুরতে কোনো তালাক হবেনা।
মহিলা তালাক নিতে চাইলে আমি নিজেকে নিজেক তালাক দিলাম,নিজের নফসের উপর তালাক প্রদান করিলাম, তালাক গ্রহন করিলাম,এই জাতীয় বাক্য বলতে হবে।

নতুবা মহিলার কথায় কোনো তালাক হবেনা।

(০৪)
এতে কোনো সমস্যা হবেনা।

(০৫)
এতেও কোনো সমস্যা হবেনা।

(০৬)
এতে তালাকের মিথ্যা স্বীকারোক্তি দেয়া হবেনা।

(০৭)
এই কথার মাধ্যমে  কোন মহিলা তার স্বামীর হয়ে মিথ্যা স্বীকারোক্তি দিয়ে দিতে পারবেনা।
দিলেও স্ত্রীর এহেন কথায় তালাক পতিত হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...