আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+2 votes
2,494 views
in খাদ্য ও পানীয় (Food & Drink) by (13 points)
edited by
শায়েখ!

বিনীত নিবেদন এই এই যে আমরা সবসময়ই চিংড়ি মাছ খেয়ে থাকি।

ইসলাম এ ব্যাপারে  কি বলে?

জানিয়ে বাধিত করবেন।

1 Answer

0 votes
by (670,960 points)
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم  

চিংড়ি মাছ খাওয়ার বিধানের ব্যাপারে উলামায়ে কেরামদের মধ্যে অনেক মতবিরোধ রয়েছে।
কেহ মাকরুহে তাহরিমি বলেছেন,কেহ আবার মাকরুহে তানযিহি বলেছেন। 

বিস্তারিত জানুনঃ 

মতবিরোধ হুকুমের মধ্যে শীতিলতা নিয়ে আসে, বিধায় বর্তমানে চিংড়ি খাওয়াকে মাকরুহে তাহরীমি  বলা যাবে না।বরং মাকরুহে তানযিহি বলতে হবে।
,
★★তবে বর্তমান আমাদের উপমদেশের উলামায়ে কেরাম বিশেষ করে মুফতী তকি উসমানী সাহেব দাঃবাঃ ফকীহুল মিল্লাত  মুফতী আব্দুর রহমান রহঃ      
সহ অনেকেই বলেছেন যে চিংড়ি মাছ খাওয়া স্পষ্ট আকারে জায়েজ। 
এতে কোনো সমস্যা নেই। 
,
  অনেকে বলে থাকেন কাঁটা না থাকলে তা মাছ হয় না। চিংড়ি তাহলে কি মাছ না? কাঁটা থাকা না থাকা মূল বিষয় নয়। মূল বিষয় হল, মাছ হওয়া। হানাফী মাযহাব মতে নদ নদী এবং সমুদ্রের শুধুমাত্র মাছ খাওয়া জায়েজ। অন্য প্রাণী খাওয়া জায়েজ নয়।
এখন প্রশ্ন হল, কোনটা মাছ আর কোনটা মাছ না এটি কিভাবে নির্ণিত হবে?

এর মূল বিষয় হল, জেলে এবং নদীর প্রাণী বিশেষজ্ঞদের মতে যেগুলো মাছের মাঝে গণ্য। সেগুলো মাছ হিসেবে স্বীকৃত হবে। আর যেসব তাদের মতে মাছ নয়, বরং সামুদ্রিক প্রাণী সেসব খাওয়া যাবে না।
সেই হিসেবে জেলে ও সমুদ্র প্রাণী বিশেষজ্ঞদের মতে চিংড়ি মাছের অন্তর্ভূক্ত। কিন্তু স্কুইড, অক্টোপাশ বা কাঁকড়াকে কেউ মাছ বলে না। বরং এসব সামুদ্রিক প্রাণী।

এ কারণে চিংড়ী খাওয়াতে বিধিনিষেধ নেই। কিন্তু কাকড়া, স্কুইড, অক্টোপাশ ইত্যাদি মাছ না হওয়ায় তা ভক্ষণ করার অনুমতি দেয়া হয় না।

ولا يأكل من حيوان الماء إلا السمك، وقال: مالك وجماعة من اهل العلم بإطلاق جميع ما فى البحر الخ (هداية، كتاب الذبائح-4/442، تبيين الحقائق-6/469)
পানিতে যে সমস্ত প্রানী বসবাস করে,তার মধ্যে শুধু মাত্র মাছ খাওয়াই জায়েজ।   

ولا يحل حيوان مائى الا السمك (رد المحتار-9/441
পানিতে বসবাস কারীর মধ্য হতে শুধুমাত্র মাছ খাওয়াই জায়েজ।      


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...