উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
চিংড়ি মাছ খাওয়ার বিধানের ব্যাপারে উলামায়ে কেরামদের মধ্যে অনেক মতবিরোধ রয়েছে।
কেহ মাকরুহে তাহরিমি বলেছেন,কেহ আবার মাকরুহে তানযিহি বলেছেন।
বিস্তারিত জানুনঃ
মতবিরোধ হুকুমের মধ্যে শীতিলতা নিয়ে আসে, বিধায় বর্তমানে চিংড়ি খাওয়াকে মাকরুহে তাহরীমি বলা যাবে না।বরং মাকরুহে তানযিহি বলতে হবে।
,
★★তবে বর্তমান আমাদের উপমদেশের উলামায়ে কেরাম বিশেষ করে মুফতী তকি উসমানী সাহেব দাঃবাঃ ফকীহুল মিল্লাত মুফতী আব্দুর রহমান রহঃ
সহ অনেকেই বলেছেন যে চিংড়ি মাছ খাওয়া স্পষ্ট আকারে জায়েজ।
এতে কোনো সমস্যা নেই।
,
অনেকে বলে থাকেন কাঁটা না থাকলে তা মাছ হয় না। চিংড়ি তাহলে কি মাছ না? কাঁটা থাকা না থাকা মূল বিষয় নয়। মূল বিষয় হল, মাছ হওয়া। হানাফী মাযহাব মতে নদ নদী এবং সমুদ্রের শুধুমাত্র মাছ খাওয়া জায়েজ। অন্য প্রাণী খাওয়া জায়েজ নয়।
এখন প্রশ্ন হল, কোনটা মাছ আর কোনটা মাছ না এটি কিভাবে নির্ণিত হবে?
এর মূল বিষয় হল, জেলে এবং নদীর প্রাণী বিশেষজ্ঞদের মতে যেগুলো মাছের মাঝে গণ্য। সেগুলো মাছ হিসেবে স্বীকৃত হবে। আর যেসব তাদের মতে মাছ নয়, বরং সামুদ্রিক প্রাণী সেসব খাওয়া যাবে না।
সেই হিসেবে জেলে ও সমুদ্র প্রাণী বিশেষজ্ঞদের মতে চিংড়ি মাছের অন্তর্ভূক্ত। কিন্তু স্কুইড, অক্টোপাশ বা কাঁকড়াকে কেউ মাছ বলে না। বরং এসব সামুদ্রিক প্রাণী।
এ কারণে চিংড়ী খাওয়াতে বিধিনিষেধ নেই। কিন্তু কাকড়া, স্কুইড, অক্টোপাশ ইত্যাদি মাছ না হওয়ায় তা ভক্ষণ করার অনুমতি দেয়া হয় না।
ولا يأكل من حيوان الماء إلا السمك، وقال: مالك وجماعة من اهل العلم بإطلاق جميع ما فى البحر الخ (هداية، كتاب الذبائح-4/442، تبيين الحقائق-6/469)
পানিতে যে সমস্ত প্রানী বসবাস করে,তার মধ্যে শুধু মাত্র মাছ খাওয়াই জায়েজ।
ولا يحل حيوان مائى الا السمك (رد المحتار-9/441
পানিতে বসবাস কারীর মধ্য হতে শুধুমাত্র মাছ খাওয়াই জায়েজ।