আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
258 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (54 points)
edited by

শায়খ আমি একটা বিষয়ে আগে প্রশ্ন করেছি। এখন সেই বিষয়ে পরবর্তীতে আমার স্বামী আরো কিছু কথা বলে যেটা নিয়ে আমি সন্দেহে আছি যে কিছু হয়ে গেল কিনা?তার কথাগুলো আমি উল্লেখ করছি। একটু ভালোভাবে পড়ে প্রশ্নগুলোর বুঝিয়ে উত্তত দিবেন দয়া করে

#আমার স্বামী একদিন আমাকে বলে "এখনতো আমি তোমার ওলি নই তোমার ওলি প্রয়োজন"।আমি তাকে জিজ্ঞেস করি আপনি তখন কোন উদ্দেশ্যে ওই কথাটা বলেছে তখন সে তার উদ্দেশ্যের কথা বলে যেটা আমি আপনাদের পূর্বের মাসয়ালায় জিজ্ঞেস করেছি।সে তার উদ্দেশ্যের কথা বলতে বলতে একটা পর্যায়ে বলে,তোমার ভিতর এখনো ডাউট আছে এখনো ওয়াসওয়াসা আছে(এতটুকু বলার পর ২ সেকেন্ডের মত থেমে আবার বলা শুরু করে)যে 

*আমি সেদিন বলছি তুমি খুলনা যাও আন্টিকে(আমার মাকে) ফোন করে আনছি অথবা তুমি যদি এখন থাকো আমি তোমার দায়িত্বে নেই।আমি এটা বলছি তাহলে এটা আমার পক্ষ থেকে বলছি   আর এ কারনে আমার থেকে তুমি ফারেক হয়ে গেছ।* 

(সে এখানে বলতে চেয়েছে এখনো উক্ত বোল্ড করা কথাগুলো আমার মনের ডাউট বা ওয়াসওয়াসা হচ্ছে।এখানে সে তার মনের কথা বলেনি)কিন্তু এটা তো আমার পক্ষ থেকে বলিনি যে তুমি খুলনা যাও আমি যদি এমনিতে বলতাম তুমি খুলনা যাও তোমার দায়িত্ব আমি আর নিবনা বা তুমি এখন থেকে আমার দায়িত্বাধীন না তাহলে তুমি বলতে পারতা যে শরীয়তমতে ফারেক হয়ে গেছে।এটা তো আমার আমার কারনে না তুমি ফতোয়া আনছো সেই ভিত্তিতে বলছি(আমি তোমার ওলি নই তোমার ওলি প্রয়োজন) আার একটা কথা আমি আমার স্বামী থেকে আলাদা থাকি আমাদের ফোনে সব কথা হয়। প্রশ্ন হলো-

 ১.সে যে উক্ত বোল্ড করা কথাগুলো বলছে এটা দ্বারা এটা বলতে চেয়েছে মনে হয় উক্ত বোল্ড করা কথাটা আমার মনে এখনো ওয়াসওয়াসা বা ডাউট হচ্ছে।ঐ বোল্ড করা কথাটা তার মুখ দিয়ে বলার কারণে কি ঐ কথা বলার স্বীকারোক্তি দেয়া হয়ে গেল?যদিও এটা তার কথা বলেনি


২.আমার স্বামী উক্ত বোল্ড করা কথাগুলো আমার মনের ওয়াসওয়াসা ধরে নিয়ে বলছে।কিন্তু আমি ঐ বোল্ড করা কথা গুলো তাকে হুবহু এভাবে বলিনি যে হুবহু এটাই আমার ওয়াসওয়াসা বা মনেও হুবহু এটা ডউট করিনি। এজন্য কি তার উক্ত বোল্ড করা কথাকে মিথ্যা স্বীকারোক্তি ধরা হবে?তালাক হব কি?

৩.সে তো বোল্ড করা কথাটা বলার আগে বলে নিয়েছে ঐ কথাটা নাকি আমার ডাউট বা ওয়াসওয়াসা হচ্ছে।কিন্তু আমার ওয়াসওয়াসা তো এরকম না।তাই এ অবস্থায় উক্ত কথাকে তার মুখ দিয়ে বলার কারণে তালাকের স্বীকারোক্তি ধরা হবে কি?বা এটার ফতোয়াটা কেমন হবে? একটু বুঝিয়ে বলবেন।

৪.২ সেকেন্ডের মতো থামার কারণে কি কোনো খারাপ প্রভাব পড়বে?/তালাক হবে কি?অন্য ক্ষেত্রেও সে কথা বলার সময় মাঝে মধ্যে একটু থেমে আবার বলা শুরু করে 


*একদিন মনোমালিন্যের সময় আমার স্বামী আমি তাকে যে তালাকের ব্যাপারে পেরেশানি দিচ্ছি সেজন্য কষ্ট পেয়ে রাগে ভিন্ন ভিন্ন কিছু কথা বলছিলো(কিন্তু আমাকে বিচ্ছেদ করতে চায় বা পরিত্যাগ করতে চায় এমন ভেবে কিছু বলেনি সে এটা নাকি কখনো ভাবেও না)যেমনঃএরকম বাড়াবাড়ি করলে আজ হোক কাল হোক তুমি আমার কাছ থেকে চলে যাবাই যাবা,আমি এভাবে জীবন যাপন করতে পারবোনা,তুমি থাকবানা,তোমাকে আর এতো গুরুত্ব দিবো না,তুমি না থাকলে কিভাবে বাঁচবো সেই চেষ্টা এখন থেকে করবো,তুমি হয়তোবা একটা সময় থাকবা না ইত্যাদি(সব মনে নেই)।আর স্ত্রী বিচ্ছেদ নিয়ে কোনো কথা বলেনি ও এমন কোনো প্রকার সরীহ বা কেনায়া শব্দ বলেনি যেটা দ্বারা তালাক বোঝায় বা সে এটা ভাবেও না।

৫.শুধুমাত্র স্বামী উক্ত কথা গুলো বলার কারণে উক্ত মজলিস কি তালাকের মজলিস হবে?স্ত্রীর পক্ষ থেকে এ ধরনের কোনো কথা ছিলোনা আর আমরা আলাদা জায়গা থেকে ফোনেকথা বলছিলাম এক মজলিস ছিলনা

৬.আর স্বামীর ঐ কথাগুলো বলার কারনে ঐ সময় যদি সে কোনো কেনায়া শব্দ তালাকের নিয়ত ব্যতীত বলে দেয় তাহলে কি তালাক হবে?এখানে আমি কিছুই বলেনি আর দুজন আলাদা মজলিস ফোনে কথা বলছিলাম।

৭.স্বামীর উক্ত কথাগুলো কি তালাকের আলোচনা বা স্বামী স্ত্রীর বিচ্ছেদ সম্পর্কিত আলোচনা হিসেবে ধর্তব্য হবে? তবে তিনি বিচ্ছেদ চান বা স্ত্রীকে পরিত্যাগ করবেন বা একসাথে থাকা সম্ভভ হচ্ছে না(তবে আমি তাকে তালাকের ব্যাপারে বারবার জিজ্ঞেস করায় একটা কথা বলছে যে "ফতোয়াবাজ মেয়ের সাথে জীবনযাপন করতে পারবো না" কি নিয়তে বলছে জানি না) এ কথা বলেননি বা তালাক শব্দটিও বলেননি কখনো?

৮.স্বামী স্ত্রী যদি আলাদ মজলিস থেকে ফোনে তালাক বা বিচ্ছেদের আলোচনা করে তখন স্বামী যদি কোনো তালাকের ব্যতীত কোনো কেনায়া শব্দ উচ্চারণ করে তাহলেও কি তালাক হবে?তার তো আলাদা আলাদা জায়গায় ছিলো।

৯.রাগ+কষ্ট পেয়ে স্বামী যদি বলে "আজ থেকে তুমি তোমার মতো থাকবা আমি আমার মতো থাকবো" তালাকের নিয়তে নয় এটা বুঝাতে হয়তোবা বলছে যে তোমার ব্যাপারে বেশি ভাববো না তোমাকে আগের মতো সুযোগ সুবিধা দিবোনা তাহলে কি তালাক হবে।আপনাদের ফতোয়া সাইটে দেখলাম স্বামীর রাগের হালতে কিছু শব্দ আছে যেগুলো বললে স্বামীর নিয়ত সত্যায়ন করা হবে না তালাক হয়ে যাবে এটা কি ঠিক?যদি হয় তাহলে স্বামীর বলা উক্ত কথাটা কি সেরকম শব্দ যাতে স্বামীর নিয়ত সত্যায়ন হবে না?

(উল্লেখ্য সে একটা কথা বলে দিয়েছে সে কখনো আমাকে পরিত্যাগ বা বিয়োজনের উদ্দেশ্যে কোনো কথা বলেনি আর সামনে কখনো যদি রাগ হয়ে কোনো কথা বলে তাহলে আমি যেন এমন না ভাবি যে তিনি ত্যাগ করার উদ্দেশ্যে বলছে কারন সে এটা কল্পনায়ও নাকি ভাবেনা)

   

1 Answer

0 votes
by (559,260 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


https://ifatwa.info/37385/ ফতোয়াতে উল্লেখ করা হয়েছেঃ

 
আল্লাহ তা'আলা বলেন,

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَسْأَلُوا عَنْ أَشْيَاءَ إِن تُبْدَ لَكُمْ تَسُؤْكُمْ وَإِن تَسْأَلُوا عَنْهَا حِينَ يُنَزَّلُ الْقُرْآنُ تُبْدَ لَكُمْ عَفَا اللَّهُ عَنْهَا ۗ وَاللَّهُ غَفُورٌ حَلِيمٌ


হে মুমিণগন, এমন কথাবার্তা জিজ্ঞেস করো না, যা তোমাদের কাছে পরিব্যক্ত হলে তোমাদের খারাপ লাগবে। যদি কোরআন অবতরণকালে তোমরা এসব বিষয় জিজ্ঞেস কর, তবে তা তোমাদের জন্যে প্রকাশ করা হবে। অতীত বিষয় আল্লাহ ক্ষমা করেছেন আল্লাহ ক্ষমাশীল, সহনশীল।


قَدْ سَأَلَهَا قَوْمٌ مِّن قَبْلِكُمْ ثُمَّ أَصْبَحُوا بِهَا كَافِرِينَ
এরূপ কথা বার্তা তোমাদের পুর্বে এক সম্প্রদায় জিজ্ঞেস করেছিল। এর পর তারা এসব বিষয়ে অবিশ্বাসী হয়ে গেল।(সূরায়ে মায়েদা-১০১-১০২)

হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত তিনি বলেন,
عن أبي هريرة رضي الله عنه قال : سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول : ما نهيتكم عنه ، فاجتنبوه ، وما أمرتكم به فأتوا منه ما استطعتم ، فإنما أهلك الذين من قبلكم كثرة مسائلهم واختلافهم على أنبيائهم . رواه البخاري ومسلم .


আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছি যে,তিনি বলেন, আমি তোমাদেরকে যে সমস্ত জিনিষ থেকে নিষেধ করেছি, সে সমস্ত জিনিষ থেকে বিরত থাকো,এবং যে সমস্ত জিনিষের আদেশ করেছি, যথাসম্ভব সেগুলো পালন করার চেষ্টা করো। তোমাদের পূর্ববর্তীগণ তাদের অধিক প্রশ্ন এবং মতপার্থক্যর কারণেই ধংস হয়েছে।(বোখারী-মুসলিম)

https://www.ifatwa.info/1379 নং ফাতাওয়ায় বলা হয়েছে যে,
তালাকের ওয়াসওয়াসা আসলে মাথা নাড়ালে তালাক পতিত হবে না।
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ


রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৯১,সহীহ মুসলিম-১২৭)

★সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন! 

প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে  তালাক হবে না। আপনি নিশ্চিন্তে থাকুন।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (54 points)
শায়খ আমার প্রশ্নের উত্তরগুলো বুঝতে পারিনি একটু বিস্তারিত বলবেন

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...