বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
গর্ভাবস্থায় ফরয রোযা না রাখারও রুখসত রয়েছে। তবে কেউ রোযা রাখলে, রোযা বিশুদ্ধ হবে।
(২)
রোযা সহীহ হয়েছে।
(৩)
আপনি যদি শেয়ার ক্রয় করে নেন, তাহলে এটা আপনার জন্য জায়েয।আপনি তখন হাসপাতালের একটা অংশের মালিক হয়ে যাবেন।
তবে যদি এমন হয় যে, আপনি সর্বমোট পাঁচ লাখ টাকা দিবেন।আর পরবর্তীতে আপনাকে ৬/৭/৮ লাখ টাকা দেওয়া হবে।তাহলে এটা সুদ হয়ে যাবে।যা জায়েয হবে না।
সুদ হারাম। আর হারাম মাল ভক্ষণ করলে দু’আ কবুল হয় না।
আবূ হুরায়রাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “আল্লাহ তা'আলা পবিত্র, তিনি পবিত্র ও হালাল বস্তু ছাড়া গ্রহণ করেন না। আর আল্লাহ তা'আলা তার প্রেরিত রসূলদের যে হুকুম দিয়েছেন মুমিনদেরকেও সে হুকুম দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “হে রসূলগণ! তোমরা পবিত্র ও হালাল জিনিস আহার কর এবং ভাল কাজ কর। আমি তোমাদের কৃতকর্ম সম্বন্ধে জ্ঞাত।" (সূরা আল মু'মিনূন ২৩ঃ ৫১)তিনি (আল্লাহ) আরো বলেছেন, “তোমরা যারা ঈমান এনেছো শোনা আমি তোমাদের যে সব পবিত্র জিনিস রিযক হিসেবে দিয়েছি তা খাও”— (সূরা আল বাকারাহ ২ঃ ১৭২)। অতঃপর তিনি এক ব্যক্তির কথা উল্লেখ করলেন, যে দূর-দূরান্ত পর্যন্ত দীর্ঘ সফর করে। ফলে সে ধুলি ধূসরিত রুক্ষ কেশধারী হয়ে পড়ে। অতঃপর সে আকাশের দিকে হাত তুলে বলে, “হে আমার প্রতিপালক! অথচ তার খাদ্য হারাম, পানীয় হারাম, পরিধেয় বস্ত্র হারাম এবং আহার্যও হারাম। কাজেই এমন ব্যক্তির দু'আ তিনি কী করে কবুল করতে পারেন?”(সহীহ মুসলিম-১০১৫)