আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
136 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (8 points)
1. আমি গর্ভবতী এবং আমার রক্তপাত হচ্ছে যা ডাক্তার বলেছেন 3 মাস পর্যন্ত স্বাভাবিক। এখন, আমার প্রশ্ন, আমি কি এই অবস্থায় রোজা রাখতে পারি? গত রমজান থেকে আমার এখনো ২টি রোজা বাকি আছে

2. আমি কয়েকদিন আগে রোজা রেখেছিলাম। তারপর, মাগরিবের এক ঘন্টা আগে (গর্ভাবস্থায়) আমার এই রক্তপাত হয়েছিল। আমার রোজা কি সহীহ হবে?

3. Kindly, নিম্নলিখিত বিষয়ে আপনার মতামত প্রদান করুন.  চেয়ারম্যানের তত্ত্বাবধানে আমার গ্রামে একটি হাসপাতাল নির্মাণ হতে যাচ্ছে। পরিচালক হওয়ার জন্য রয়েছে ৫টি পদ। আমার বাবা আমার নামে একটি শেয়ার কিনেছেন এবং আমি প্রতি মাসে কিছু টাকা দিচ্ছি। মোট ৫ লাখ টাকা দিতে হবে। হাসপাতাল যখন চলবে, প্রতি মাসে তারা আমাকে একটা নির্দিষ্ট টাকা দেবে। এটা কি হালাল? যদি এটা সুদ হয়, এখন আমার এটা থেকে সরে আসা উচিত নাকি ওদের সাথে আলোচনা করা যাবে? কিভাবে করলে সুদ হবে না?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
গর্ভাবস্থায় ফরয রোযা না রাখারও রুখসত রয়েছে। তবে কেউ রোযা রাখলে, রোযা বিশুদ্ধ হবে।

(২)
রোযা সহীহ হয়েছে।

(৩)
আপনি যদি শেয়ার ক্রয় করে নেন, তাহলে এটা আপনার জন্য জায়েয।আপনি তখন হাসপাতালের একটা অংশের মালিক হয়ে যাবেন।

তবে যদি এমন হয় যে, আপনি সর্বমোট পাঁচ লাখ টাকা দিবেন।আর পরবর্তীতে আপনাকে ৬/৭/৮ লাখ টাকা দেওয়া হবে।তাহলে এটা সুদ হয়ে যাবে।যা জায়েয হবে না।

সুদ হারাম। আর হারাম মাল ভক্ষণ করলে দু’আ কবুল হয় না।
আবূ হুরায়রাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “আল্লাহ তা'আলা পবিত্র, তিনি পবিত্র ও হালাল বস্তু ছাড়া গ্রহণ করেন না। আর আল্লাহ তা'আলা তার প্রেরিত রসূলদের যে হুকুম দিয়েছেন মুমিনদেরকেও সে হুকুম দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “হে রসূলগণ! তোমরা পবিত্র ও হালাল জিনিস আহার কর এবং ভাল কাজ কর। আমি তোমাদের কৃতকর্ম সম্বন্ধে জ্ঞাত।" (সূরা আল মু'মিনূন ২৩ঃ ৫১)তিনি (আল্লাহ) আরো বলেছেন, “তোমরা যারা ঈমান এনেছো শোনা আমি তোমাদের যে সব পবিত্র জিনিস রিযক হিসেবে দিয়েছি তা খাও”— (সূরা আল বাকারাহ ২ঃ ১৭২)। অতঃপর তিনি এক ব্যক্তির কথা উল্লেখ করলেন, যে দূর-দূরান্ত পর্যন্ত দীর্ঘ সফর করে। ফলে সে ধুলি ধূসরিত রুক্ষ কেশধারী হয়ে পড়ে। অতঃপর সে আকাশের দিকে হাত তুলে বলে, “হে আমার প্রতিপালক! অথচ তার খাদ্য হারাম, পানীয় হারাম, পরিধেয় বস্ত্র হারাম এবং আহার্যও হারাম। কাজেই এমন ব্যক্তির দু'আ তিনি কী করে কবুল করতে পারেন?”(সহীহ মুসলিম-১০১৫)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...