ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/9190 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
ইসলামি রাষ্ট্রর জন্য ওয়াজিব যে, রাস্তার পাশে ও বাস/রেল ষ্টেশনে নারী পুরুষের জন্য পৃথক পৃথক নামাযের স্থান বা মসজিদ নির্মাণ করে দিবে। সাথে সাথে নারীদের জন্যও ওয়াজিব যে,তারা নামাযের ওয়াক্তকে বিবেচনা করে ঘরের বাইরে বের হবে।
যদি কখনো ঘরের বাহিরে থাকাবস্থায় নামাযের সময় হয়ে যায়,তাহলে নির্জনে পবত্রতা অর্জন ও নামায পড়া যায়, এমন কোনো স্থানের তালাশ করতে হবে। সাথের মাহরামকে নিয়ে নামাযের শেষ ওয়াক্ত পর্যন্ত নির্জন স্থানের তালাশে লেগে থাকতে হবে। নিরাপদ স্থান দেখে কোনো বাসা বাড়িতে নামাযের জন্য উঠতে হবে।এবং তথায় পর্দার সাথে অজু ও নামায পড়তে হবে। এই চেষ্টা নামাযের শেষ ওয়াক্ত পর্যন্ত করতে হবে।
যদি শতচেষ্টার পরও কোনো মহিলা পর্দা সম্মত অজু ও নামাযের স্থান না পায়। এবং তখন অজুর তুলনায় তায়াম্মুমকে পর্দার জন্য সুবিধাজনক মনে হয়, তাহলে মহিলা তায়াম্মুম করে নামাযকে আদায় করে নিবে। যেহেতু পর্দা সম্মত নামাযের ব্যবস্থার চেষ্টা সে শেষ ওয়াক্ত পর্যন্ত করেছে, তাই তায়াম্মুম দ্বারা আদায়কৃত ঐ নামাযকে আর দোহড়াতে হবে না। বরং তা যিম্মা থেকে আদায় হয়ে যাবে।
কিন্তু যদি কেউ পর্দার সাথে অজু ও নামায পড়ার চেষ্টা ব্যতীত ওয়াক্তের প্রথমেই তায়াম্মুম করে নেয়,এবং ঐ তায়াম্মুম দ্বারা নামায আদায় করে নেয়, তাহলে এই তায়াম্মুম দ্বারা আদায়কৃত নামাযকে পানি দ্বারা অজু সহ আবার পূনরায় আদায় করতে হবে।
বাসের দেয়ালে যদি এমন পরিমাণ ধুলোবালি থাকে,যা সমস্ত হাতের তালুকে ঢেনে যায় বা চেয়ে যায়, তাহলে ঐ ধুলোবালি দ্বারা তায়াম্মুম জায়েয হবে।