বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
আল্লাহ ব্যতিত সবকিছুই ধ্বংসশীল।
আল্লাহ তা'আলা
كُلُّ مَنْ عَلَيْهَا فَانٍ
ভূপৃষ্টের সবকিছুই ধ্বংসশীল।
وَيَبْقَىٰ وَجْهُ رَبِّكَ ذُو الْجَلَالِ وَالْإِكْرَامِ
একমাত্র আপনার মহিমায় ও মহানুভব পালনকর্তার সত্তা ছাড়া।(সূরা আর-রাহমান-২৬)
মোটকথা,
আল্লাহ এবং আল্লাহর সাথে বিশেষভাবে সম্পর্কিত জিনিষ ব্যতিত সবকিছুই কিয়ামতের দিন ধ্বংস হবে।
জান্নাত,জাহান্নাম,আরশ,কুরসি,লাউহে মাহফুজ,কলম,নফস সমূহ
(২)
https://www.ifatwa.info/1344 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
মহল্লার মসজিদে আযান-ইকামত হওয়ার পরও আপনি নিজ গৃহে নামায পড়তে চাইলে আযান-ইকামত দিতে পারবেন।এবং দেয়াই মুস্তাহাব। বুঝদ্বার নাবালক থাকলে সেই ইকামত দিবে।নতুবা যিনি ইমামতি করছেন তিনিই দিবেন।মহিলারা ইকামত দিবেনা এটাই স্বাভাবিক নিয়ম।তবে নামাযে গায়রে মাহরাম কেউ না থাকলে মহিলাদের নিম্নস্বরে ইকামতের ব্যাপারে কেউ কেউ রুখসত দিয়ে থাকেন।(ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ-৫/৪৬৩)কিন্তু মহিলা কখনো আযান দিতে পারবেন না।কেননা আযান উচ্ছস্বরে দিতে হয়।সর্বোত্তম হল,যিনি আযান দিবেন,তিনিই ইকামত দিবেন।একজন আযান দিবেন,আর অন্যজন ইকামত দিবেন,এমনটা করলে মাকরুহে তানযিহি হয়ে যায়।একই ব্যক্তি আযান ইকামত এবং ইমামতি সবকিছুই করতে পারেন।এতে কোনো সমস্যা নেই।
(৩)
নাবালকের ইমামতিতে নামায বিশুদ্ধ হয়না।সুতরাং সাবাল পুরুষকেই ইমামতি করতে হবে।নতুবা নামাযই হবে না।
(৪)
স্বামী নিজেই ইকামত দিয়ে ইমামতি করবে।ইকামত দেওয়া মুস্তাহাব।বাধ্যতামূলক নয়।
(৫)
এমন কাদা যার জন্য চলাচল কষ্টকর,এমন হলে বাসায় জামাতে নামায পড়া যাবে।মসজিদে না যাওয়ার রুখসত থাকবে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1365