আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
818 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (51 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লা। দয়া করে প্রশ্ন দুইটার উত্তর দিয়েন।মারাত্বক টেনশনে আর ভয়ে আছি।

হুজুর আমি কেনায়া তালাক সম্পর্কে আগে জানতাম না।আমার মনে হয় স্বামীও জানত না।কেনায়া তালাকের ব্যাপারে শুনার পর থেকে আমি চিন্তায় পড়ে গেছি।এর অনেকগুলো স্বামি বলেছিল।কিন্তু হুজুর স্বামীও জানে না নিয়ত করে বলত কিনা।৩-৪ সপ্তাহ ধরে আমার খাওয়া ঘুম সব উঠে গেছে।স্বামী কে অনেকপ্রশ্ন জিগ্যেস করেছি সে বলেছিল আমি তালাকের নিয়তে কোন কথা বলি নি।সে শপথ করে বলেছিল যে তার কিছুই মনে নেই।আগের কথা তহ হুজুর।বলছিল যদি বলেও থাকি তাহলে হয়ত রাগ আর অভিমান করে বলেছিলাম,তালাকের নিয়তে বললে হয়ত মনে থাকত ওইরকম বলেছে।আমি বার বার এই কথাগুলো মানে কেনায়া তালাক নিয়ে টেনশন করতে থাকাই এবং  স্বামীকে প্রশ্ন করতে থাকায়,স্বামী বিরক্ত হয়ে বলেছিল এসব বিষয়ে আমাকে আর প্রশ্ন করবা না।আমার কোনদিন তালাকের উদ্দেশ্যে ছিল না।আমার একদিন একটা একটা মনে পড়ে।কিন্তু হুজুর কোন উদ্দেশ্যে বলত আমি জানি না।আগের কথা তহ হুজুর।আর আমাদের ফোনেই এস এম এসের মাধ্যমে কথা হয়।মঝে মধ্যে কল এ হয়।ওনি তালাক নিয়ে আর কথা না বলতে বলেছে তাই হুজুর ওনার কাছ থেকে  জিগ্যেস করতে পারি না।তবুও গতকাল রাতে ওনাকে বলেছি আর বলব না এইবার লাস্ট বারের মত বলুন আমাকে কি কোনদিন তালাকের উদ্দেশ্যে কিছু বলেছিলেন? ওনি বলে না বলি নি।আমি বলি ঠিক আছে।হুজুর আলাদা আলাদা প্রশ্ন বার বার করতে থাকলে ওনি বিরক্ত হয়ে যাবে তাই ওটা জিগ্যেস করেছি।তালাকের মজলিস ছিল কিনা জানি না।কারণ আমি মাঝে মাঝে তালাক চাইতাম কিন্তু তালাক দিত না।এই কথাগুলো কখন বলেছে মনে নেই,তালাকের মজলিস ছিল কিনাও জানি না।হুজুর এখন আমার কি করা উচিত? ওনার ও  মনে নেই নিয়ত কি ছিল আর কি কথা বলেছিল।আমার খুব টেনশন হচ্ছে। খুব ভয়,হচ্ছে যিনা হচ্ছে কিনা ভেবে।হুজুর আমাদের বৈবাহিক সম্পর্ক কি ঠিক আছে? কোন তালাক হয়েছে? আমাদের কি যিনার গুণাহ লিখা হবে?হুজুর ইস্তেখারার প্রয়োজন আছে? আগে ইস্তেখারা করি নি কোনদিন।যদি  ইস্তেখারায় খারাপ ফলাফল আসে তাহলে কি তালাক হয়ে যাবে বা আলাদা থাকতে হবে? হুজুর বলুন কি করব আমি?স্বামীর সাথে কথা বলতেও ভয় হয়,মনে হয় যিনা হচ্ছে।কি করব আমি?আমাদের কি তালাক হয়েছে?আমার সংংসার কি ভেংগে যাবে হুজুর? আমি ভাংতে চাই না হুজুর।হুজুর বার বার জিগ্যেস করায় স্বামি আর প্রশ্ন না করতে বলেছে তাই জিগ্যেস করতে পারি না সব প্রশ্ন তাই কোনদিন তালাকের নিয়তে কিছু বলেছিল কিনা জিগ্যেস করেছি,এতে কি আমার গুণাহ হবে সব জিগ্যেস করতে পারি না তাই?রেগে যায় এসব প্রশ্ন বার বার করলে।

হুজুর আরেকটা প্রশ্ন দয়া করে উত্তর দিয়েন।লাস্ট প্রশ্ন।আমার স্বামীকে আমি মাঝে মাঝে রাগ করে বলতাম তোমাকে ডিভোর্স দিয়ে আমি আরেকটা বিয়ে করব।স্বামী বলত ঠিক আছে করিও তুমার ইচ্ছে।আসলে হুজুর এটা বর্তমান কাল নিয়ে বলত না ভবিষ্যত কালে বলত আমার   মনে নেই।আর ঠিক আমি যেইরকম বলেছি ওইরকম বলেছিল কিনাও মনে নেই নাকি অন্যরকম বলেছিল বলেছে জানি না।কিন্তু বার বার সন্দেহ হয় এইরকম বলেছে।ওনি নিজ থেকে কোনদিন আমাকে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলে নি হুজুর।স্বামীকেও জিগ্যেস করা সম্ভব না।ওনি রেগে যায় আর মনেও থাকে না ওনার।তালাকের ব্যপারে কোন প্রশ্ন না করতে বলছে আমাকে।মনে হচ্ছে ভবিষ্যৎ কালের শব্দ ব্যবহার করত।আমি শুনেছি ভবিষ্যৎ কালের শব্দ ব্যবহার করলে তালাক হয় না।হুজুর আমি আর স্বামীও কেও জানত না এইভাবে যে তালাক হয়।হুজুর আমাদের এই কথা দ্বারা কি তালাক হবে? আমি আসলে বেশির ভাগ অভিমান করে বলতাম।

হুজুর প্রশ্ন দুইটার উত্তর দিয়েন দয়া করে।

1 Answer

0 votes
by (589,260 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1049 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
وفي حالة الغضب يصدق في جميع ذلك لاحتمال الرد والسب إلا فيما يصلح للطلاق ولا يصلح للرد والشتم كقوله اعتدي واختاري وأمرك بيدك فإنه لا يصدق فيها كذا في الهداية...............  وفي الينابيع ألحق أبو يوسف - رحمه الله تعالى - بالخمسة ستة أخرى وهي الأربعة المتقدمة وزاد خالعتك والحقي بأهلك هكذا في غاية السروجي.
রাগের অবস্থাঃ-
রাগের অবস্থায় স্বামী তালাকের নিয়তকে অস্বীকার করলে স্বামীর উক্ত বক্তব্য-কে সত্যায়ন করা হবে।কেননা সেই শব্দ সমূহে গালিগালাজ ও স্ত্রীর তালাকের আবেদন-কে  ফিরিয়ে দেয়ার অর্থ বিদ্যমান রয়েছে।তবে যেই সমস্ত শব্দাবলীতে শুধুমাত্র তালাকের অর্থ বিদ্যমান রয়েছে।গালিগালাজ বা (স্ত্রীর তালাকের আবেদন) ফিরিয়ে দেয়ার অর্থ বিদ্যমান না থাকে,তাহলে সেই সমস্ত শব্দাবলীর বেলায় স্বামীর অস্বীকার-কে সত্যায়ন করা হবে না।বরং তালাক পতিত হবে।যেমন- তুমি ইদ্দত গণনা করো,তুমি পছন্দ করো,তোমার বিষয় তোমার হাতে, ইত্যাদি।সুতরাং এমন শব্দাবলীর বেলায় স্বামীর অস্বীকারকে সত্যায়ন করা যাবে না,বরং তালাক পতিত হবে।(হেদায়া) ইমাম আবু ইউসুফ রাহ পূর্ববর্তী পাঁচের সাথে আরো দুইটি শব্দ সংযোগ করেন,তখন সর্বমোট ছয়টি শব্দ হয়।সেই দুইটি হল,আমি তোমার সাথে খোলা করলাম,তুমি তোমার পরিবারবর্গের সাথে মিলিত হয়ে যাও।(গায়াতুস-সুরুজী)(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭৫)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
স্বামী যখন অস্বীকার করছে যে, তার কখনো তালাকের নিয়ত ছিলনা, তাই উক্ত ঝগড়াঝাঁটি দ্বারা কখনো তালাক হবে না।

আপনি আমাদের কথা বিশ্বাস করুন।বারংবার একই বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করবেন না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...