আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
241 views
in সালাত(Prayer) by (25 points)
আসসালামু আলাইকুম,
আলহামদুলিল্লাহ আমি বেশিরভাগ সময়ই তাহাজ্জুদ নামায কায়েম করি এবং অভ্যাসও হয়ে গিয়েছে। কিন্তু অভ্যাস হয়ে গিয়েছে বলে অনেক সময় রাতে উঠব বলে আশা করি তারপরও মাঝে মাঝে দেখা যায় যে ১ দিন ২দিন উঠতেই পারি না। হয় টের পাই না,  না হয় শয়তানের ধোকায় শুয়ে থাকি। আবার এমনও হয়েছে যে তাহাজ্জুদ এর ওয়াক্ত শেষ সেই সময়ে উঠেছি অর্থাৎ ফযর শুরু হতে আর ১০ মিনিট আছে।  নামাযের সময় সূচিতে দেওয়া থাকে যে তাহাজ্জুদ এর সময় শেষ আর ১০ মিনিট পর ফযর। এখন প্রশ্ন হলো যে,

১। যেহেতু আমার অভ্যাস আছে তাই আমি বিতর রেখে দেই উঠে তাহাজ্জুদ পড়ার পর পরব বলে কিন্তু যেদিন উঠতে পারি না সেদিন তো পড়া হয় না। আর আমি তো জানিও না যে আমি আজ উঠতে পারব না সে ক্ষেত্রে করনীয় কি? আমার বেতর  সালাত কায়েম করার কোন উপায় আছে?

২। আমি ইচ্ছা করে যেহেতু নামায ত্যাগ করি নি এতে কি গুনাহগার হব? আর আমি যে নিয়ত করেছিলাম আজকে তাহাজ্জুদ পড়ব তো এই নিয়তের জন্য কি সওয়াব আছে? যেহেতু আমি শুনেছিলাম যে কেউ যদি ভাল নিয়ত করে সে ঐ কাজটা করবে কিন্তু পরবর্তীতে ব্যার্থ হল তারপরেও সে সওয়াব পাবে সমপরিমাণ  তার নিয়ত এর জন্য। এ ক্ষেত্রে কি তাহাজ্জুদ নামায আদায়াএর সওয়াব পাব?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/4129 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
বিতিরের নামায ঘুমানোর পূর্বে ও পরে উভয় সূরতে জায়েয রয়েছে।এতে কোনো সন্দেহ নাই।তবে মুস্তাহাব হল,রাত্রের শেষ নামায বিতির হওয়া চাই।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রাযি, থেকে বর্ণিত
عن عبد الله بن عمر قال : قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : ( اجْعَلُوا آخِرَ صَلَاتِكُمْ بِاللَّيْلِ وِتْرًا )
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,তোমরা বিতিরকে রাত্রের শেষ নামায বানাও।(সহীহ বুখারী-৯৯৮ সহীহ মুসলিম-৭৪৯)

কেউ যদি রাত্রের প্রথম অংশে ঘুমানোর পূর্বে বিতির পড়ে নেয়,তাহলে বিতিরের পর নফল নামায পড়া নিষেধ নয়।এবং উক্ত নফল নামাযের পর দ্বিতয়বার বিতিরের নামায পড়া অাবশ্যকীয় নয়।কেননা রাসূলুল্লাহ সাঃ কর্তৃক আদেশ 'তোমরা বিতিরকে রাত্রের শেষ নামায বানাও' এটা মুস্তাহাব পর্যায়ভুক্ত।

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)
সময় সংকীর্ণ হলে আপনি তাহাজ্জুদ না পড়ে বিতিরের নামায পড়বেন।
(২)
যদি কখনো বিতির কাযা হয়ে যায়, তাহলে এজন্য আপনার কোনো গেনাহ হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।
by (25 points)
আসসালামু আলাইকুম।  আলহামদুলিল্লাহ প্রশ্নের উত্তর পেয়ে খুশি। এখন এমন যদি হয় যে নামাযের ওয়াক্ত আছে পড়লামও কিন্তু পড়তে পড়তে দেখলাম নামাযে ওয়াক্ত শেষ ০৫ঃ০৯ এ কিন্তু আমার সময় লেগেছে ৫ঃ১৫ এই যে অতিরিক্ত সময় লেগেছে যা ওয়াক্ত শেষ হয়ার পর। এতে কি আমার নামাযে ত্রুটি থেকে যাবে? এর বিধান কি?
by (597,330 points)
ফজরের ওয়াক্তে এমনটা হলে, তথা পড়তে পড়তে সূর্যোদয় হয়ে গেলে, তখন নামাযই ফাসিদ হয়ে যাবে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...