ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/4129 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
বিতিরের নামায ঘুমানোর পূর্বে ও পরে উভয় সূরতে জায়েয রয়েছে।এতে কোনো সন্দেহ নাই।তবে মুস্তাহাব হল,রাত্রের শেষ নামায বিতির হওয়া চাই।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রাযি, থেকে বর্ণিত
عن عبد الله بن عمر قال : قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : ( اجْعَلُوا آخِرَ صَلَاتِكُمْ بِاللَّيْلِ وِتْرًا )
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,তোমরা বিতিরকে রাত্রের শেষ নামায বানাও।(সহীহ বুখারী-৯৯৮ সহীহ মুসলিম-৭৪৯)
কেউ যদি রাত্রের প্রথম অংশে ঘুমানোর পূর্বে বিতির পড়ে নেয়,তাহলে বিতিরের পর নফল নামায পড়া নিষেধ নয়।এবং উক্ত নফল নামাযের পর দ্বিতয়বার বিতিরের নামায পড়া অাবশ্যকীয় নয়।কেননা রাসূলুল্লাহ সাঃ কর্তৃক আদেশ 'তোমরা বিতিরকে রাত্রের শেষ নামায বানাও' এটা মুস্তাহাব পর্যায়ভুক্ত।
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)
সময় সংকীর্ণ হলে আপনি তাহাজ্জুদ না পড়ে বিতিরের নামায পড়বেন।
(২)
যদি কখনো বিতির কাযা হয়ে যায়, তাহলে এজন্য আপনার কোনো গেনাহ হবে না।