আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
141 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (49 points)
edited by
১। গোসল ফরজ অবস্হায় কি কি কাজ নাজায়েজ? যেগুলো বাদে বাকি যেকোনো ইবাদত করতে পারব।
২। প্রস্রাবের পর আমি নাপাকির ছিটা লেগেছে নাকি এ ভয়ে হাঁটু পর্যন্ত পানি দিয়ে ধুয়ে নেই, যদিও না আমার কোথাও ছিটা লেগেছে এমন মনে না হয়। এটা কি ঠিক, নাকি সময় আর পানি অপচয়?

৩। বাথরুমে ওযুর সময় আযান দিলে জবাব মনে মনে দিতে পারব?

৪। মা প্রতি সোমবার রোযা রাখে, তো আজকে তখন ইফতারের সময় হয়েছে, টিভিতে খেলা দেখছিলাম, মিরপুর স্টেডিয়ামের পাশের মসজিদ থেকে আযান শুনা যাচ্ছে। তখনো আমাদের এদিকে আযান দেয়নি। তো সেটা শুনে মা বুঝতে পারে ইফতারের সময় হয়ে গেছে, তখন ইফতার করলে মজা করে বলি, খেলা যদি চট্টগ্রাম হয় তো ইফতারের সময় নাও হতে পারে, তখন তো রোজা হবেনা, ভেঙ্গে যাবে। যদিও আমি জানতাম খেলা মিরপুর।
এখন সন্দেহ হচ্ছে ইমান নিয়ে।  এ ধরনের রোজাভঙ্গ হওয়া নিয়ে মজার জন্য ইমানের ক্ষতি হবে?

1 Answer

0 votes
by (682,440 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
গোসল ফরজ থাকা অবস্থায় কুরআনে কারীম পড়া হারাম। 
তবে যিকির,দোয়া সম্বলিত আয়াত,দ্বীনি কিতাব সমুহ পড়তে কোনো সমস্যা নেই।   
(কিতাবুন নাওয়াজেল ৩/১১০) 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ   

عن ابن عمر : عن النبي صلى الله عليه و سلم قال لا تقرأ الحائض ولا الجنب شيئا من القرآن (سنن الترمذى، ابواب الطهارات، باب ما جاء في الجنب والحائض : أنهما لا يقرأن القرآن، رقم الحديث-131

অনুবাদ-হযরত আব্দুল্লাহ বিন ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-ঋতুবতী মহিলা এবং গোসল ফরজ হওয়া ব্যক্তি কোরআন পড়বে না।

(সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং-১৩১,
সুনানে দারেমী, হাদীস নং-৯৯১,
মুসনাদুর রাবী, হাদীস নং-১১,
মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-১০৯০,
মুসন্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদীস নং-৩৮২৩)

عَنْ عَائِشَةَ قالت قَالَ النَّبِيّ ﷺ وَجِّهُوا هذِهِ الْبُيُوتَ عَنِ الْمَسْجِدِ فَإِنِّي لَا أُحِلُّ الْمَسْجِدَ لِحَائِضٍ وَلَا جُنُبٍ. رَوَاهُ أَبُوْ دَاوٗدَ

আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ এসব ঘরের দরজা মাসজিদে নাবাবীর দিক হতে ফিরিয়ে দাও। আমি মাসজিদকে ঋতুবতী মহিলা ও নাপাক ব্যক্তির জন্য জায়িয মনে করি না।
(আবূ দাঊদ ২৩২,মিশকাত ৪৬২)

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
গোসল ফরজ (জুনুবি) অবস্থায় নিম্নোক্ত কাজ নিষেধঃ

★জুনবি ব্যাক্তি মসজিদে প্রবেশ করতে পারবেনা।
★জুনবি ব্যাক্তি মুখস্ত কুরআন তিলাওয়াত করতে পারবেনা।
★জুনুবি ব্যাক্তি এমন আংটি/তাবিজ ব্যবহার করতে পারবেনা,যেখানে কুরআনের আয়াত বা আল্লাহর নাম আছে।
★শরীয়তে যেসমস্ত কাজা বিনা অযুতে করা জায়েজ নেই,সে সমস্ত কাজ জুনুবি ব্যাক্তি করতে পারবেনা।
যেমন নামাজ,তওয়াফ, কুরআন স্পর্শ। 

(০২)
যদি কোথাও নাপাকির ছিটা লেগেছে বলে আপনি প্রবল আশংকাবোধ করে,তাহলে এটি ঠিক।
নতুবা এটি অপচয় হবে।

(০৩)
হ্যাঁ মনে মনে দিতে পারবেন।
তবে তাতে কোনো ফজিলত পাওয়া যাবেনা।
তাই সেখানে থেকে জবাব না দেওয়াই উত্তম।

(০৪)
না,এতে ঈমানের ক্ষতি হবেনা।

(★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
এক্ষেত্রে নিজ জেলার ইফতারী/মাগরিবের টাইম দেখে ইফতারী করতে হবে।)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...