গোসল ফরজ থাকা অবস্থায় কুরআনে কারীম পড়া হারাম।
তবে যিকির,দোয়া সম্বলিত আয়াত,দ্বীনি কিতাব সমুহ পড়তে কোনো সমস্যা নেই।
(কিতাবুন নাওয়াজেল ৩/১১০)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عن ابن عمر : عن النبي صلى الله عليه و سلم قال لا تقرأ الحائض ولا الجنب شيئا من القرآن (سنن الترمذى، ابواب الطهارات، باب ما جاء في الجنب والحائض : أنهما لا يقرأن القرآن، رقم الحديث-131
অনুবাদ-হযরত আব্দুল্লাহ বিন ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-ঋতুবতী মহিলা এবং গোসল ফরজ হওয়া ব্যক্তি কোরআন পড়বে না।
(সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং-১৩১,
সুনানে দারেমী, হাদীস নং-৯৯১,
মুসনাদুর রাবী, হাদীস নং-১১,
মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-১০৯০,
মুসন্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদীস নং-৩৮২৩)
عَنْ عَائِشَةَ قالت قَالَ النَّبِيّ ﷺ وَجِّهُوا هذِهِ الْبُيُوتَ عَنِ الْمَسْجِدِ فَإِنِّي لَا أُحِلُّ الْمَسْجِدَ لِحَائِضٍ وَلَا جُنُبٍ. رَوَاهُ أَبُوْ دَاوٗدَ
আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ এসব ঘরের দরজা মাসজিদে নাবাবীর দিক হতে ফিরিয়ে দাও। আমি মাসজিদকে ঋতুবতী মহিলা ও নাপাক ব্যক্তির জন্য জায়িয মনে করি না।
(আবূ দাঊদ ২৩২,মিশকাত ৪৬২)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
গোসল ফরজ (জুনুবি) অবস্থায় নিম্নোক্ত কাজ নিষেধঃ
★জুনবি ব্যাক্তি মসজিদে প্রবেশ করতে পারবেনা।
★জুনবি ব্যাক্তি মুখস্ত কুরআন তিলাওয়াত করতে পারবেনা।
★জুনুবি ব্যাক্তি এমন আংটি/তাবিজ ব্যবহার করতে পারবেনা,যেখানে কুরআনের আয়াত বা আল্লাহর নাম আছে।