আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
316 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (30 points)
edited by
১। কোন স্ত্রী কি তার স্বামীকে মুক্তি দেওয়ার কথা বলে ***** দিতে পারে??

 ২। কোন স্ত্রী যদি অন্য কারনে "আমি আর নেই " বলতে গিয়ে তালাকের নিয়ত করে ফেলে বা মনে মনে ভেবে ফেলে তালাকের কথা বা ভয় পেয়ে যায় এইটা বলতে গিয়ে, কারন বাক্য টা কেনায়া বাক্যের মতো। তার কোন ইচ্ছা ছিল না।।অন্য কারনে বলছিল।।তাহলে হুকুম কি??

৩। কোন পুরুষ যদি এইভাবে বলে প্রশ্ন করার জন্য,
" হুজুর যদি আমি তালাকের মিথ্যা স্বীকারোক্তি দেই এইটা বলে যে  আমি আমার বউকে  ****** দিয়েছি তাহলে কি সত্যি তা পতিত হয়ে যাবে??"

সে প্রশ্ন করার জন্য লিখেছে এইভাবে, এইভাবে লিখার জন্য কি মিথ্যা স্বীকারোক্তি হয়ে যাবে??সে তো যদি বলেছিল।

৪। ৩ নাম্বার প্রশ্ন করার সময় "বউকে" লিখার সময় যদি  কোন মহিলা নিজের কথা ভেবে ফেলতো মনে মনে তাহলে সমস্যা হয়ে যাবে? মানে মনে মনে যদি প্রশ্ন আসে বউকে বলতে নিজেকে বুঝিয়ে ফেললো না তো?পরে আবার নিজেই উত্তর দেয়, না নিজেকে বুঝায়নি৷ মনে মনে এইসব প্রশ্ন আসে। কারন বউকে লিখার পরেই "*****  দেওয়ার কথা আছে,,,,। এইখানে নিজেকে ভেবে ফেললো কিনা সেজন্য ভয় পায়।
# লিখার সময়তো বউকে  ***** দেওয়ার কথা লিখা হয়েছে কিন্তু মহিলা যদি বউকে লিখার সময়  মনে মনে নিজেকে দেওয়ার কথা ভেবে ফেলতো তাহলে???
মহিলা নিজেকে উদ্দেশ্য করে লিখেনি৷ বউকে লিখার সময় মনে মনে প্রশ্ন আসে এবং মনে মনেই উত্তর দেয়।  এখানে তো একজন পুরুষের বলা কথাটা লিখা হয়েছে তাও কি মনে ওয়াসওয়াসা আসলে সমস্যা হবে?

৫। কোন স্ত্রী তার স্বামীর কথা বলে তালাকের মিথ্যা স্বীকারোক্তি দিলে তা হয় কিনা? অর্থাত তার স্বামী তাকে ****  দেয়নি তাও সে যদি বলে,,, দিয়েছে তাহলে কি পতিত হয়??

1 Answer

0 votes
by (574,080 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


তালাক হচ্ছে স্বামীর অধিকার। স্বামী তালাক দিলেই তালাক সংঘটিত হবে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ عَنْ مُوسَى بْنِ أَيُّوبَ الْغَافِقِيِّ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ سَيِّدِي زَوَّجَنِي أَمَتَهُ وَهُوَ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنِي وَبَيْنَهَا قَالَ فَصَعِدَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمِنْبَرَ فَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ مَا بَالُ أَحَدِكُمْ يُزَوِّجُ عَبْدَهُ أَمَتَهُ ثُمَّ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنَهُمَا إِنَّمَا الطَّلَاقُ لِمَنْ أَخَذَ بِالسَّاقِ

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর রসূল! আমার মনিব তার বাঁদীকে আমার সাথে বিবাহ দিয়েছে। এখন সে আমার ও আমার স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়। রাবী বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বারে আরোহণ করলেন, অতঃপর বলেনঃ হে লোকসকল! তোমাদের কারো এরূপ আচরণ কেন যে, সে তার গোলামের সাথে তার বাঁদীর বিবাহ দেয়, অতঃপর তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়? নারীর ঊরু স্পর্শ করা যার জন্য বৈধ, তালাকের অধিকার তার।
(সুনানে ইবনে মাজাহ ২০৮১.বায়হাকী ৯/১৫৭, ইরওয়াহ ২০৪১।)

★শরীয়তের বিধান অনুযায়ী  মহিলা নিজের উপর কেবল তখনি তালাক পতিত করতে পারবে, যদি স্বামী তাকে তালাক দেবার অধিকার দিয়ে থাকে।
এটি নিকাহ নামার ১৮ নং ধারাতে হ্যাঁ লেখার মাধ্যমেই হোক,বা পরবর্তীতে মৌখিক বা লিখিত ভাবেই হোক।
,  
সুতরাং স্বামী যদি স্ত্রীকে তালাকের ক্ষমতা প্রদান করে,আর স্ত্রী স্বামী কর্তৃক তালাকে তাভবিজের ক্ষমতাবলে লিখিত বা মৌখিকভাবে নিজের নফসের উপর তালাক দিয়ে দিলে সেটি পতিত হয়ে যাবে।

আরো জানুনঃ 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,

ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ
   
قال لھا: طلقي نفسک ولم ینو أو نوی واحدة فطلقت وقعت رجعیة الخ (الدر المختار مع رد المحتار، کتاب الطلاق، باب الأمر بالید، ۴: ۵۷۵، ط: مکتبة زکریا دیوبند)۔
সারমর্মঃ
কেহ যদি তার স্ত্রীকে বলে,তুমি তোমার নিজের নফসকে তালাক দাও,কোনো নিয়ত না করে,অথবা এক তালাকের নিয়ত করে,অতঃপর স্ত্রী তালাক দেয়,তাহলে এক তালাকে রজয়ী পতিত হবে।     

(০১)
না,পারেনা।
আর স্ত্রী এভাবে বললে তালাক হবেনা।

(০২)
এতে তালাক হবেনা।

(০৩)
এইভাবে লিখলে তালাকের মিথ্যা স্বীকারোক্তি হয়ে যাবেনা।

(০৪)
এতে সমস্যা হবেনা।

(০৫)
এখানে স্বামী যদি মিথ্যা স্বীকারোক্তি দেয়,তবেই শুধু ধর্তব্য।
স্ত্রীর এসন বলাতে কোনো কিছুই হবেনা।

সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে কোন স্ত্রী যদি তার স্বামীর কথা বলে তালাকের মিথ্যা স্বীকারোক্তি দেয়,তাহলে এতে কোনো সমস্যা নেই।
তালাক হবেনা। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...