আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
560 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (2 points)
আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ।।

আমার মা আমাকে জের করে ১টা বেদ্বীন ছেলে সাথে বিয়ে দিতে চায় ।।আমি রাজি না ।  আমাকে রাজি করানোর জন্য  হিন্দু ফকির  কাছ থেকে তাবিজ আনে ,,আমি তাবিজ পরতে চাই না তাই জোর করে পারাইয়া দেয় ,,, সেই হিন্দু লোক থেকে পানি পরা অনে আমাকে খাওয়া এবং গোসল করায় জোর করে । তাবিজ আর পানি পরা খাওয়ার আগে আল্লাহ কাছে এসবের ক্ষতি কর প্রভাব থেকে আশ্রয় চাইতাম। তাবিজ আর পানি পরায় কাজ হয় না দেইখা বলে আমার মনের দোষ।। ,,আর  অনেক কিছু করে ৪দিন আমাকে ঘর থেকে বের হতে দেয় নাই,আমাট থেকে ফোন নিয়া গেছিল।

আমি বলছি আম্মু আমার কোনো রিলেশন নাই ।অন্য কোনো দ্বীনদার ছেলে দেখ আমি রাজি আছি।।

আম্মু  কসম কাটে আর কোনো ছেলে দেখবো না । আমার এখানেই রাজি হতে হবে।আম্মু বলে বিয়ের পর ছেলেকে দ্বীনদার বানাইয়া নিতে।।।

ছেলের আম্মু বলে পর্দা করতে পারবো ।শুধু আমার আর ২টা ছেলে আর ২টা মেয়ের জামাইদের সাথে হাসি খুশি মিলেমিশে থাকলে হইবো।

আব্বু আর আপু আমার পক্ষেই কথা বলে ।আব্বু বলে মেয়ে রাজি না তাই এখানে বিয়ে দিবো না জোর করার কী আছে।আল্লাহ ভ্যগগে যেখানে রাখছে সেখানে বিয়ে হবে।

আমার প্রশ্ন-- ১/ আম্মু বলে মার কথা শুনোছ না তোর নামাজ ,রোজা কোনো ইবাদত কুবল করো না।।  সত্যি?? আমি তো বেদ্বীন ছেলে বিয়ে করতে রাজি না শুধু আল্লাহ সন্তুষ্টির জন্য। আমি কোনো মাদ্রাসায় পড়া মেয়ে না আমার আশে পাশের পরিবেশ ও দ্বীনি পরিনেশ না,,,বিয়ের পর যদি আমি ও আল্লাহ পথ থেকে দূরে সরে যাই তাই।

২/ আমি জানি বিয়ে হইলে আমি ভালো থাকবো না ,,দ্বীন থেকে দূরে সরে যাবো।।শুধু মায়ের জন্য আমার রাজি হওয়া উচিত হবে???
৩/  আমি রাজি না হয়ে আল্লাহ উপর ভরসা করে ধের্য্য ধরে থাকা ঠিক হবে ??।কারন আব্বু তো আমাকে জোর  করে না ।

৪/ আমি রাজি না /আম্মু কথা অমান্য করায় আম্মু কষ্ট পায় তার জন্য কী আমি গুনাগার হবো???

1 Answer

0 votes
by (574,950 points)
জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম


(০১)
আপনার মায়ের কথা সঠিক নয়।

(২.৩)
https://ifatwa.info/35474/ ফতোয়ায় উল্লেখ করা হয়েছেঃ  
হাদীসে এসেছে,পাত্র পাত্রীর দ্বীনদারিত্ব কে দেখে বিয়ে করতে।

যেমন,রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেনঃ

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : ( تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ لِأَرْبَعٍ : لِمَالِهَا ، وَلِحَسَبِهَا ، وَلِجَمَالِهَا ، وَلِدِينِهَا ، فَاظْفَرْ بِذَاتِ الدِّينِ تَرِبَتْ يَدَاكَ) 

চারটি জিনিস দেখে মহিলাকে সাধারণত বিয়ে করা হয়,(১)সম্পদ(২)বংশ(৩)সুন্দর্য্য (৪)দ্বীনদারী।
কিন্তু তুমি দ্বীনদারীত্বকে অগ্রাধিকার দাও।
{যদি তা না করো তবে তুমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে(تَرِبَتْ يَدَاكَ এর অনেক ব্যাখার একটি ব্যাখা)}(সহীহ বুখারী-৪৮০২সহীহ মুসলিম-১৪৬৬)

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/18

পাত্রর পিতা মাতা দ্বীনদার হলে তো অনেক অনেক উত্তম।যদি পাত্র/পাত্রীর মা-বা দ্বীনদার না হয়, শুধু পাত্র/পাত্রীই দ্বীনদার হয়,তাহলে উক্ত পাত্র পাত্রীকে বিয়ে করতেও বাধা নেই।
,
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
অবস্থা যদি এমন হয় যে প্রশ্নে উল্লেখিত পাত্রের বাসায় গিয়ে আপনার পর্দা,শরীয়ত মানা ইত্যাদি সমস্যাকর হবে,অথবা পাত্রের ইনকাম হারাম।  

★উভয় ক্ষেত্রে এহেন বিবাহ না করলে পিতা মাতার অবাধ্যতা হবেনা। গুনাহগার হতে হবেনা। 
★শুধু মায়ের জন্য আপনার রাজি হওয়া উচিত হবেনা।
★এক্ষেত্রে রাজি না হয়ে ধৈর্য ধারন করা ঠিক হবে।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ

রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহিস সালাম বলেছেন,

 ﻻ ﻃﺎﻋﺔ ﻓﻲ ﻣﻌﺼﻴﺔ ﺇﻧﻤﺎ ﺍﻟﻄﺎﻋﺔ ﻓﻲ ﺍﻟﻤﻌﺮﻭﻑ 

 গোনাহের কাজে কারো অনুসরণ করা যাবে না,অনুসরণ একমাত্র নেককাজ সমূহেই করা যাবে। (সহীহ বুখারী-৭২৫৭,সহীহ মুসলিম-১৮৪০) 

 অন্যত্র বর্ণিত আছে

 ﻟَﺎ ﻃَﺎﻋَﺔَ ﻟِﻤَﺨْﻠُﻮﻕٍ ﻓِﻲ ﻣَﻌْﺼِﻴَﺔِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻋَﺰَّ ﻭَﺟَﻞَّ 

 আল্লাহর অবাধ্যতায় কোনো মাখলুকের অনুসরণ করা যাবে না।(মুসনাদে আহমদ-১০৯৮) 
,
★তবে যদি সেই পরিবারে আপনার পর্দা,পূর্ণ ভাবে  শরীয়াহ মেনে চলতে কোনো সমস্যা হবেনা বলে আপনি মনে করেন,এবং তারাও যদি এতে রাজি হয়।
আর তার ইনকাম যদি হালাল হয়।
তাহলে তাকে বিবাহ পরবর্তী জীবনে দাওয়াত দিয়ে শরীয়াহ মোতাবেক চলানোর নিয়তে আপনি এই বিবাহ করতে পারেন।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...