আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
110 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (5 points)
আমি বিয়ের আগে ঢাকায় চাকরি করতাম,,, বিয়ের সময় আমার পরিবার আত্বীয় স্বজন সবাই মেয়েদের বাসায় গিয়ে মেয়েকে দেখে এসেছে,, তারা সব কথা বার্তা পাকাপোক্ত করেছে অথচ আমি কিছুই জানতাম না... আমি ছিলাম ঢাকায়,, আমি পরে শুনেছি সব... যাইহোক আমি বলেছিলাম যে আমি এমন এমন চাই... আমার পরিবার আমাকে বলে যে সমস্যা নাই,,,

তো বিয়ের পরে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমাদের স্বামী স্ত্রীর ঝামেলা ঝগড়া হতো,,, ঝগড়ার সময় যেই কথা গুলো বলেছি তাতে আমার স্ত্রী তালাক হয়ে গেছে আমি জানাতাম না... পরবর্তীতে যেনেছি,,,, এখন পরিবারকে বলছি সংসার তারা করাতে চাইছে জোর করে...
বলছে যে মানুষে কি বলবে...
আল্লাহ তাআলার কাছে মাফ চাও মাফ পেয়ে যাবে, তোমরা সংসার করো......

জাহান্নামে গেলে যাবে সন্মান তো বাচাও.....

আরো অনেক কথা....
আমি কিছুতেই বুঝাতে পারছিনা...
আমি কি করব আমি পাগলপ্রায় হয়ে গেছী

আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আমি ইমান বাচানোর জন্যে বাড়ি থেকে চলে যাবো.....
কারণ আমার পরিবার আমাকে জোর করে জাহান্নামের দিকে আহবান করছে... আমি এই মুহুর্তে বাড়ি থেকে চলে গেলে কি আ বাবার অবাধ্যতা হবে...? নাকি আমি পরিবারের কথা শুনে এই অবস্থায় সংসার করব...?
দয়া করে উত্তম পরামর্শ দেন
তারা আমাকে কোনভাবেই কিছু করতে দিতে চাইনা

আমি এই অবস্থায় হারাম থেকেও বাচতে চাই

1 Answer

0 votes
by (684,760 points)
জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম


প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, 
আপনি আপনার স্ত্রীকে কয় তালাক দিয়েছিলেন?
যদি এক/দুই তালাক দিয়ে থাকেন,বা তালাকের কোনো সংখ্যা উল্লেখ করে না থাকেন,আর এধরনের তালাক দেওয়ার ঘটনা শুধুমাত্র একবারই ঘটে থাকে, তাহলে আপনি উক্ত স্ত্রীকে নতুন ভাবে বিবাহ পড়িয়ে নিবেন।

আর যদি তিন তালাক বা তিনের অধিক তালাক দিয়ে থাকেন,তাহলে তো শরয়ী হালালাহ ব্যাতিত কোনো ভাবে তাকে ফিরিয়ে নেওয়া যাবেনা।
নতুবা এটি যেনার সংসার হচ্ছে,যেনা হতেই থাকবে।   
এক্ষেত্রে শরয়ী হালালাহ করে তথা অন্য জায়গায় সেই স্ত্রীকে বিবাহ দিয়ে সেখানে তার ২য় স্বামীর সাথে সহবাস হওয়ার পর সেই স্বামী যদি তাকে তালাক দেয়,তাহলে তার ইদ্দতকাল অতিবাহিত হওয়ার পর তাকে আবার বিবাহ করতে পারেন।  

বিস্তারিত জানুনঃ

পরিবার যদি আপনাকে শরীয়তের এসব নিয়ম মানতে বাধা দেয়,তাহলে আপনি তাদের কথা মানবেননা।
এক্ষেত্রে বাসা থেকে আপনি কিছুই করতে না পারলে যেনার এই সংসার থেকে বাঁচার জন্য আপনি বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে পারেন।
বিষয়টি স্ত্রীকে বলবেন,যাতে সে অন্যত্রে বিবাহ বসে নেই। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ

রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহিস সালাম বলেছেন,

 ﻻ ﻃﺎﻋﺔ ﻓﻲ ﻣﻌﺼﻴﺔ ﺇﻧﻤﺎ ﺍﻟﻄﺎﻋﺔ ﻓﻲ ﺍﻟﻤﻌﺮﻭﻑ 

 গোনাহের কাজে কারো অনুসরণ করা যাবে না,অনুসরণ একমাত্র নেককাজ সমূহেই করা যাবে। (সহীহ বুখারী-৭২৫৭,সহীহ মুসলিম-১৮৪০) 

 অন্যত্র বর্ণিত আছে

 ﻟَﺎ ﻃَﺎﻋَﺔَ ﻟِﻤَﺨْﻠُﻮﻕٍ ﻓِﻲ ﻣَﻌْﺼِﻴَﺔِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻋَﺰَّ ﻭَﺟَﻞَّ 

 আল্লাহর অবাধ্যতায় কোনো মাখলুকের অনুসরণ করা যাবে না।(মুসনাদে আহমদ-১০৯৮) 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...