জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
বাসায় স্ত্রীকে নিয়ে জামা'আত করলে যদিও জামা'আতের সাথে নামাজ আদায়ের ছওয়াব পাওয়া যাবে।
তবে বিনা ওযরে মসজিদে জামা'আতে শরিক না হয়ে এইভাবে ঘরে জামা'আতের অভ্যাস গড়ে তোলা জায়েজ নেই।
এতে গুনাহ হবে।
হাদীস শরীফে বিনা ওযরে মসজিদে এসে জামা'আত ছেড়ে দেওয়ার উপর কঠিন হুমকি এসেছে।
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ أَبِي جَنَابٍ، عَنْ مَغْرَاءٍ الْعَبْدِيِّ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ سَمِعَ الْمُنَادِيَ فَلَمْ يَمْنَعْهُ مِنَ اتِّبَاعِهِ عُذْرٌ " . قَالُوا وَمَا الْعُذْرُ قَالَ خَوْفٌ أَوْ مَرَضٌ " لَمْ تُقْبَلْ مِنْهُ الصَّلَاةُ الَّتِي صَلَّى
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি মুয়াযযিনের আযান শুনা সত্ত্বেও কোনরূপ ওজর ছাড়া (বিনা কারণে) জামা‘আতে সলাত আদায়ে বিরত থাকে তার অন্যত্র (একাকী) সলাত কবুল হবে না। সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন, ওজর কি? নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ ভয়-ভীতি অথবা অসুস্থতা।
আবূ দাঊদ ৫৫১, আল জামি‘ ৫৬৩৪, দারাকুত্বনী ১৫৫৭।
বায়হাক্বী ‘সুনানুল কুবরা’ (৩/৭৫), হাকিম (১/পৃঃ ২৪৫), দারাকুতনী (১/পৃঃ ৪২১),
وسئل الحلواني عمن یجمع بأہلہ أحیاناً، ہل ینال ثواب الجماعۃ؟ فقال لا، ویکون بدعۃ ومکروہاً بلا عذر۔ (فتح القدیر ۱؍۳۴۵)
সারমর্মঃ
হালওয়ানি রহঃ কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিলো যে কেহ তার পরিবার নিয়ে মাঝে মাঝেই ঘরে জামা'আত করে,সে কি জামা'আতের ছওয়াব পাবে?
তিনি বলেছিলেনঃ না, এটি বিদ'আত ও মাকরুহ হবে।
আরো জানুনঃ
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
স্ত্রীকে নিয়ে জামাআত করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যণীয় হয়, স্বামী ইমাম হয়ে সামনে দাঁড়াবে আর স্ত্রী পিছনে দাঁড়াবে। একদম সমান সমান দাঁড়াবে না। যদি একদম বরাবর দাঁড়ায় তাহলে নামায হবে না। যদি স্বামীর পায়ের গোড়ালীর পিছনে দাঁড়ায়, তাহলেই ইক্তিদা সহীহ হবে।
المرأة إذا صلت مع زوجها في البيت إن كان قدمها محل أقدام الزوج لا تجوز صلاتهما بالجماعة، وإن كان قدمها خلف قدم الزوج إلا أنها طويلة تقع رأس المرأة في السجود قبل رأس الزوج جازت صلاتهما؛ لأن العبرة للقدم، (الدر المختار، كتاب الصلاة، باب الامامة-1/572، البحر الرائق، كتاب الصلاة، باب الامامة-1/261، الفتاوى التاتارخانية، كتبا الصلاة، الفصل السابع فى بيان مقام الامام والمأموم-1/622)
সারমর্মঃ
স্ত্রী যদি স্বামীর সাথে ঘরে নামাজ জামা'আতে নামাজ আদায় করে,তাহলে উভয়ের পা সমান স্থানে হলে তাদের উভয়ের নামাজ হবেনা।
তবে স্বামীর পা স্ত্রীর পা থেকে সামনে আগ বাড়িয়ে থাকলে তাদের উভয়ের নামাজ শুদ্ধ হবে।
(০২)
হ্যাঁ নফল নামাজে জামা'আত করতে পারবে।
স্বামী একটু আগ বাড়িয়ে সামনে দাড়াবে।
,
তবে যেহেতু নফল নামাজ জামা'আতেএ সহিত আদায় করার ব্যপারে ফুকাহায়ে কেরামগন দের মতবিরোধ রয়েছে,তাই এটিকে অভ্যাসে পরিণত করা ঠিক হবেনা।
মাঝে মাঝে এমনটি করা যায়।
(০৩)
হ্যাঁ নাবালেগ ব্যাক্তিকে নিয়ে জামা'আত করা যাবে।
এক্ষেত্রে মুক্তাদী যেহেতু শুধু একজন,তাই সে ইমামের ডান দিকে দাড়াবে।
আর মুক্তাদী ২জন হলে পিছনের কাতারে দাড়াবে।
(০৪)
এক্ষেত্রে একাকী নামাজ আদায় করবেন।
বিস্তারিত জানুনঃ
তবে এক্ষেত্রে কিছু ইসলামী স্কলারদের মত হলোঃ
কখনো কোন বিশেষ কারণে স্থানীয় কতিপয় নিয়মিত মুসল্লিদের প্রথম জামাত ছুটে যায়, তাহলে তারা প্রথম জামাত যেখানে আদায় হয়েছে, তার চেয়ে একটু সরে এসে আযান ইকামত ছাড়া দ্বিতীয় জামাত পড়তে পারে। কিন্তু এটাকে কিছুতেই নিয়মিত অভ্যাসে পরিণত করা যাবে না।
রদ্দুল মুহতার” কিতাবের ২য় খন্ডের ৬৫ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে-
ان الصحيح انه لا يكره تكرار الجماعة اذا لـم تكن على الـهيئة الاولى.
অর্থ : “ সঠিক কথা হল দ্বিতীয় জামাত যদি হুবহু প্রথম জামাতের মত না হয় তাহলে দ্বিতীয় জামাত পড়লে মাকরূহ হবেনা।
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ২য় জামাত করতে চাইলে ১ম জামাতে ইমাম যে জায়গায় দাড়ায়ছে,সেখান থেকে পিছনে তথা মুক্তাদীদের জায়গায় দাড়িয়ে জামাত করবেন।
তবে এটিকে অভ্যাসে রুপ দেওয়া যাবেনা।