জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
শরীয়তে ইসলামীর নিয়ম হলো মাইয়্যিত মারা যাওয়ার পর ঋন থাকলে তার সমুদয় সম্পত্তি থেকে (কাফন দাফন এর পর) তার ঋন পরিশোধ করতে হবে।
এর পর যদি টাকা বেঁচে যায়,তাহলে সেটি ওয়ারিশদের মাঝে বন্টন হবে।
যদি সম্পদ বেঁচে না যায়,তাহলে ওয়ারিশগন কোনো সম্পদ পাবেনা।
মহান আল্লাহ তা’আলা বলেন,
يُوصِيكُمُ اللّهُ فِي أَوْلاَدِكُمْ لِلذَّكَرِ مِثْلُ حَظِّ الأُنثَيَيْنِ فَإِن كُنَّ نِسَاء فَوْقَ اثْنَتَيْنِ فَلَهُنَّ ثُلُثَا مَا تَرَكَ وَإِن كَانَتْ وَاحِدَةً فَلَهَا النِّصْفُ وَلأَبَوَيْهِ لِكُلِّ وَاحِدٍ مِّنْهُمَا السُّدُسُ مِمَّا تَرَكَ إِن كَانَ لَهُ وَلَدٌ فَإِن لَّمْ يَكُن لَّهُ وَلَدٌ وَوَرِثَهُ أَبَوَاهُ فَلأُمِّهِ الثُّلُثُ فَإِن كَانَ لَهُ إِخْوَةٌ فَلأُمِّهِ السُّدُسُ مِن بَعْدِ وَصِيَّةٍ يُوصِي بِهَا أَوْ دَيْنٍ آبَآؤُكُمْ وَأَبناؤُكُمْ لاَ تَدْرُونَ أَيُّهُمْ أَقْرَبُ لَكُمْ نَفْعاً فَرِيضَةً مِّنَ اللّهِ إِنَّ اللّهَ كَانَ عَلِيما حَكِيمًا
আল্লাহ তোমাদেরকে তোমাদের সন্তানদের সম্পর্কে আদেশ করেনঃ একজন পুরুষের অংশ দু?জন নারীর অংশের সমান। অতঃপর যদি শুধু নারীই হয় দু' এর অধিক, তবে তাদের জন্যে ঐ মালের তিন ভাগের দুই ভাগ যা ত্যাগ করে মরে এবং যদি একজনই হয়, তবে তার জন্যে অর্ধেক। মৃতের পিতা-মাতার মধ্য থেকে প্রত্যেকের জন্যে ত্যাজ্য সম্পত্তির ছয় ভাগের এক ভাগ, যদি মৃতের পুত্র থাকে। যদি পুত্র না থাকে এবং পিতা-মাতাই ওয়ারিস হয়, তবে মাতা পাবে তিন ভাগের এক ভাগ। অতঃপর যদি মৃতের কয়েকজন ভাই থাকে, তবে তার মাতা পাবে ছয় ভাগের এক ভাগ ওছিয়্যতের পর, যা করে মরেছে কিংবা ঋণ পরিশোধের পর। তোমাদের পিতা ও পুত্রের মধ্যে কে তোমাদের জন্যে অধিক উপকারী তোমরা জান না। এটা আল্লাহ কতৃক নির্ধারিত অংশ নিশ্চয় আল্লাহ সর্বজ্ঞ, রহস্যবিদ।
সূরা নিসা-১১।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি আপনার বাবা সম্পদ রেখে মারা গিয়ে থাকেন,আর আপনারা সেই সম্পদ আপনাদের মাঝে বন্টন করে নিয়ে থাকেন, তাহলে ঋন পরিশোধের আগে সেই সম্পদ বন্টন করে নেওয়াটা চরম অন্যায় হয়েছে।
এখানে আগে ঋন শোধ করতে হবে।
এর পর যদি টাকা বেঁচে যায়,তাহলে সেটি আপনাদের তথা ওয়ারিশদের মাঝে বন্টন হবে।
যদি সম্পদ বেঁচে না যায়,তাহলে আপনারা তথা ওয়ারিশগন কোনো সম্পদ পাবেনা।
,
আর যদি আপনারা বাবা ঋন থেকে কম সম্পদ রেখে যায়,তাহলে সেই সম্পদ দিয়ে ঋন শোধ করার পর অবশিষ্ট ঋন আপনারা চাইলে আপনাদের নিজ সম্পদ থেকে শোধ করে দিতে পারেন,এটি আপনার বাবার প্রতি ইহসান দয়া করা হবে।
এটি আপনাদের নিজ সম্পদ থেকে পূরন করা ওয়াজিব নয়।
,
আর যদি আপনার বাবা কোনো সম্পদ রেখে না যেতে পারে, আপনারা চাইলে আপনাদের নিজ সম্পদ থেকে শোধ করে দিতে পারেন,এটি আপনার বাবার প্রতি ইহসান দয়া করা হবে।
এটি আপনাদের নিজ সম্পদ থেকে পূরন করা ওয়াজিব নয়।
,
★উল্লেখ্য যে, উল্লেখিত সমস্ত ছুরতে আপনারা যেহেতু ৩-৫ মাসের মধ্যে আপনার বাবার যাবতীয় ঋন শোধ করবেন বলে জিম্মাদারী নিয়েছেন,এখন যদি ঋন দাতারা সন্তুষ্টি চিত্তে আপনাদের সেই সময় সুযোগ দেয়,তাহলে আপনার বাবা অনেকটা দায়মুক্ত হবেন।
এতে এ সংক্রান্ত আপনার বাবার কবরে কোনো আযাব হবেনা,ইনশাআল্লাহ।