আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
296 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (17 points)
অাসসালামুঅালাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ ।
শাঈখ,
অামি কয়েক মাস অাগে একটা ইসলামি দলের সাথে সংযুক্ত হয়েছিলাম।অামি ওদের মুখে শপথপাঠ করেছিলাম,ওয়াদা করেছিলাম তাদের সংগঠনের জন্য কাজ করব। কিন্তু পরে বুঝতে পেরেছি তাদের মানহাজে ভুল অাছে, অনেক ক্ষেত্রে অাকিদায়ও সমস্যা অাছে।এভাবে চললে অামি অাশন্কা করছি অামি সঠিক মানহাজ থেকে দূরে সরে যাব।
এখন যদি অামি ওয়াদা পূর্ণ না করি তাহলে অামি কি মুনাফিক হবো বা গুনাহগার হবো?

১.ইসলামি দল করা ফরজ?

1 Answer

0 votes
by (561,180 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ الضَّبِّيُّ، حَدَّثَنَا الْمُغِيرَةُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، حَدَّثَنِي أَبِيْ عَبْدُ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: لَا نَذْرَ إِلَّا فِيمَا يُبْتَغَى بِهِ وَجْهُ اللَّهِ، وَلَا يَمِينَ فِي قَطِيعَةِ رَحِمٍ

‘আমর ইবনু শু‘আইব (রহঃ) থেকে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও দাদার সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মানত/শপথ শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টিমূলক কাজেই করা যেতে পারে আর আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করার কসম খাওয়া নিষেধ।
(আবু দাউদ ৩২৭৩)

حَدَّثَنَا الْمُنْذِرُ بْنُ الْوَلِيدِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بَكْرٍ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ الأَخْنَسِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم : " لاَ نَذْرَ وَلاَ يَمِينَ فِيمَا لاَ يَمْلِكُ ابْنُ آدَمَ وَلاَ فِي مَعْصِيَةِ اللَّهِ وَلاَ فِي قَطِيعَةِ رَحِمٍ، وَمَنْ حَلَفَ عَلَى يَمِينٍ فَرَأَى غَيْرَهَا خَيْرًا مِنْهَا فَلْيَدَعْهَا وَلْيَأْتِ الَّذِي هُوَ خَيْرٌ، فَإِنَّ تَرْكَهَا كَفَّارَتُهَا " .

মুনযির ইবন ওয়ালীদ (রহঃ) ....... আমর ইবন শু'আয়ব (রাঃ) তার পিতা ও দাদা হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে জিনিস মানুষের ইখতিয়ারে নয়, অথবা আল্লাহ্র নাফরমানী হয়, অথবা আত্নীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য হয় এ সব বিষয়ে মানত/শপথ করা এবং কসম খাওয়া উচিত নয়। যদি কেউ এরুপ কসম,শপথ করে এবং এর বিপরীত ভাল বলে মনে হয়, তবে সে কসম,শপথ পরিত্যাগ করে ভাল জিনিস গ্রহণ করবে। কেননা, এরূপ কাজ পরিত্যাগ করাই এর কাফফারা স্বরূপ।
(আবু দাউদ ৩২৯১)

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি ওয়াদা পূর্ণ না করলে গুনাহগার হবেননা।
আপনি মুনাফিক হবেননা।
বরং জরূরী হলো তাদের সাথে না জড়ানো।
তাদের থেকে ফিরে আসা জরুরি।  
 
(০২)
ইমাম গাজ্জালি রহঃ বলেন –

فرض الكفاية فهو علم لا يستغني عنه في قوام أمور الدنيا كالطب إذ هو ضروري في حاجة بقاء الأبدان وكالحساب فإنه ضروري في المعاملات وقسمة الوصايا والمواريث وغيرهما وهذه هي العلوم التي لو خلا البلد عمن يقوم بها حرج أهل البلد وإذا قام بها واحد كفى وسقط الفرض عن الآخرين
فلا يتعجب من قولنا إن الطب والحساب من فروض الكفايات فإن أصول الصناعات أيضاً من فروض الكفايات كالفلاحة والحياكة والسياسة
[إحياء علوم الدين 1/ 16]

“ফরজে কিফায়া হলো এমন জ্ঞান, যা দুনিয়াবি কাজের সাথে সম্পর্কিত, যেমন চিকিৎসাবিজ্ঞান। শরীরের সুস্থতার জন্যে চিকিৎসাবিজ্ঞান প্রয়োজন। একইভাবে অর্থনীতি শেখাও ফরজে কিফায়া। কারণ, টাকাপয়সার লেনদেন, কাউকে সম্পদ দান করা, এবং মৃত-ব্যক্তির সম্পদ বণ্টন করার জন্যে গণিত লেখা প্রয়োজন। কোনো দেশে এসব জ্ঞানে অভিজ্ঞ কোনো মানুষ না থাকলে দেশের অধিবাসীদের বিপদের অন্ত থাকে না। কিন্তু, কেউ একজন যদি এ জ্ঞান অর্জন করে, তাহলে অন্য মানুষদের আর এ ফরজটি পালন করতে হবে না। আমরা চিকিৎসাবিজ্ঞান ও অর্থনীতিকে ফরজে কিফায়া বলেছি, তাতে অবাক হবেন না। বিভিন্ন শিপ্লকর্মও ফরজে কিফায়া। যেমন, কৃষিকর্ম, গার্মেন্টস শিল্প, এবং রাজনীতি এগুলোও ফরজে কিফায়া।” [১ম খণ্ড, পৃ – ৩৮]

★সুতরাং কুরআন-সুন্নাহ ভিত্তিক রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য একজন ইমাম বা প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করা সকল মুসলমানদের উপর ফরযে কেফায়া।

তবে প্রচলিত গনতান্ত্রিক পদ্ধতিতে যেসব ইসলামী দল তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন,এ পদ্ধতিতে কোনো দলে যুক্ত হওয়ার আবশ্যকীয়তা সম্পর্কে উলামায়ে কেরামদের মতবিরোধ রয়েছে।   

প্রচলিত গনতন্ত্রকে ইসলাম সাপোর্ট  করে কিনা,এ সংক্রান্ত জানুনঃ


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...