আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
239 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (2 points)
Assalamu Alikum.

মুফতী সাহেব,

আমি একজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার । আমাদেরকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ওয়েবসাইট থেকে প্রোডাক্টের একটি অ্যাফিলিয়েট লিংক দেওয়া হয় । প্রথমত, আমরা সেই প্রোডাক্ট সম্পর্কে সোশ্যাল মিডিয়াতে লেখা-লেখি করি ও সর্বশেষ এই লিখি যে, যার এই প্রোডাক্টটি পছন্দ হয়েছে এই লিংক থেকে কিনে নিতে পারে । এফিলিয়েট লিংক টি আসলে এই প্রোডাক্টের অর্ডারের ওয়েবসাইট লিংক । যদি এই অ্যাফিলিয়েট লিংকটির ওয়েবসাইটে কোন মহিলাদের ছবি থাকে তাহলে এর জন্য কি আমার আয় হারাম হবে ? (কিন্তু আমি এই সাইটে কোন ছবি যোগ করিনি , এটা প্রোডাক্টের মালিক নিজেই যোগ করে রেখেছে)।

1 Answer

0 votes
by (589,170 points)
edited by


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/36709 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,

চিকিৎসার জন্য ঢালাওভাবে হারাম জিনিষ অনুমোদনযোগ্য নয়,বরং তখনই অনুমোদনযোগ্য যখন হালাল কোনো জিনিষ দ্বারা চিকিৎসা সম্ভবপর হবে না।
সুতরাং উক্ত ঔষধে যদি হারাম উপাদান প্রথম থেকে যাচাইবাচাই ব্যতিত তথা হালাল উপাদান অন্বেষণ করা ব্যতিত প্রথম থেকেই হারাম উপাদান যোগ করা হয়ে থাকে, তাহলে এরকম ঔষধ কখনো জায়েয হবে না।

ছবি ডিজাইন করা এবং ছবি সংযোজনের অনুমতি বা আদেশ প্রদাণ করা সম্পূর্ণই হারাম ও নাজায়েয। তবে পণ্য বিক্রেতার জন্য উক্ত হারাম ছবি সম্ভলিত প্রডাক্ট বিক্রি করা হারাম হবে না।এবং ক্রয়কারীর জন্যও হারাম হবে না।হ্যা, ক্রয়কারীর উপর ওয়াজিব যে, তিনি ক্রয় করার পর উক্ত ছবিকে তুলে ফেলবেন।অযথা ছবি সম্ভলিত মোড়ক ঘরে রেখে ফিরিশতার জন্য প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবেন না।

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনার দীর্ঘ বিবরণ পড়ে আমরা বলবো যে,
ঔষধে হারাম উপাদান রয়েছে কি না? সেটা নিশ্চিত না হওয়ার দরুণ বিষয়টির বিধান অস্পষ্ট। আর অস্পষ্ট বিষয় জায়েয হলেও পরিত্যাগ করা তাকওয়ার দাবী।

নু'মান ইবনে বশির বলেন,আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছি-
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,(কোনো জিনিষ)হালাল (হওয়া)পরিস্কার।(এবং কোনো জিনিষ) হারাম(হওয়া) ও পরিস্কার। হ্যা এ দুয়ের মধ্যে কিছু বিধান রয়েছে সাদৃশ্যপূর্ণ। যার সম্পর্কে অধিকাংশ মানুষই জানেনা।যে ব্যক্তি সন্দেহপূর্ণ জিনিষ থেকে বেঁছে থাকল, সে যেন তার দ্বীন এবং ইজ্জতকে হেফাজত করে নিল। আর যে ব্যক্তি সন্দেহপূর্ণ জিনিষে পতিত হল, সে যেন হারামে পতিত হল। যেমন রাখাল ক্ষেতের দেয়াল ঘেষে পশু চড়ালো।এখানে সম্ভাবনা রয়েছে যে, পশু ক্ষেতে নেমে যাবে।
জেনে রাখ! প্রত্যেক বাদশারই একটি সীমান্তরেখা রয়েছে।এবং আল্লাহ যমীনে তার সীমারেখা হল,তার হারাম বিধি-বিধান।জেনে রাখ! শরীরে একটি মাংসপিণ্ড রয়েছে। যখন সেই মাংসপিণ্ড ভাল থাকে তখন সারা শরীর-ই ভাল থাকে।আর যখন সেই মাংসপিণ্ড নষ্ট হয়ে যায়,তখন সমস্ত শরীরই নষ্ট হয়ে যায়। সেই বস্তু হল,ক্বলব বা অন্তর।(সহীহ বুখারী-৫২)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনি যদি উক্ত জবাব থেকে না বুঝেন, বা আপনার কাছে জবাবটি অস্পষ্ট মনে হয়, তাহলে আপনি কমেন্ট করবেন।আমরা আপনার প্রশ্নের জবাব বিস্তারিত উল্লেখ করার চেষ্টা করবো।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,170 points)
+2
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...