ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/36709 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
চিকিৎসার জন্য ঢালাওভাবে হারাম জিনিষ অনুমোদনযোগ্য নয়,বরং তখনই অনুমোদনযোগ্য যখন হালাল কোনো জিনিষ দ্বারা চিকিৎসা সম্ভবপর হবে না।
সুতরাং উক্ত ঔষধে যদি হারাম উপাদান প্রথম থেকে যাচাইবাচাই ব্যতিত তথা হালাল উপাদান অন্বেষণ করা ব্যতিত প্রথম থেকেই হারাম উপাদান যোগ করা হয়ে থাকে, তাহলে এরকম ঔষধ কখনো জায়েয হবে না।
ছবি ডিজাইন করা এবং ছবি সংযোজনের অনুমতি বা আদেশ প্রদাণ করা সম্পূর্ণই হারাম ও নাজায়েয। তবে পণ্য বিক্রেতার জন্য উক্ত হারাম ছবি সম্ভলিত প্রডাক্ট বিক্রি করা হারাম হবে না।এবং ক্রয়কারীর জন্যও হারাম হবে না।হ্যা, ক্রয়কারীর উপর ওয়াজিব যে, তিনি ক্রয় করার পর উক্ত ছবিকে তুলে ফেলবেন।অযথা ছবি সম্ভলিত মোড়ক ঘরে রেখে ফিরিশতার জন্য প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবেন না।
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনার দীর্ঘ বিবরণ পড়ে আমরা বলবো যে,
ঔষধে হারাম উপাদান রয়েছে কি না? সেটা নিশ্চিত না হওয়ার দরুণ বিষয়টির বিধান অস্পষ্ট। আর অস্পষ্ট বিষয় জায়েয হলেও পরিত্যাগ করা তাকওয়ার দাবী।
নু'মান ইবনে বশির বলেন,আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছি-
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,(কোনো জিনিষ)হালাল (হওয়া)পরিস্কার।(এবং কোনো জিনিষ) হারাম(হওয়া) ও পরিস্কার। হ্যা এ দুয়ের মধ্যে কিছু বিধান রয়েছে সাদৃশ্যপূর্ণ। যার সম্পর্কে অধিকাংশ মানুষই জানেনা।যে ব্যক্তি সন্দেহপূর্ণ জিনিষ থেকে বেঁছে থাকল, সে যেন তার দ্বীন এবং ইজ্জতকে হেফাজত করে নিল। আর যে ব্যক্তি সন্দেহপূর্ণ জিনিষে পতিত হল, সে যেন হারামে পতিত হল। যেমন রাখাল ক্ষেতের দেয়াল ঘেষে পশু চড়ালো।এখানে সম্ভাবনা রয়েছে যে, পশু ক্ষেতে নেমে যাবে।
জেনে রাখ! প্রত্যেক বাদশারই একটি সীমান্তরেখা রয়েছে।এবং আল্লাহ যমীনে তার সীমারেখা হল,তার হারাম বিধি-বিধান।জেনে রাখ! শরীরে একটি মাংসপিণ্ড রয়েছে। যখন সেই মাংসপিণ্ড ভাল থাকে তখন সারা শরীর-ই ভাল থাকে।আর যখন সেই মাংসপিণ্ড নষ্ট হয়ে যায়,তখন সমস্ত শরীরই নষ্ট হয়ে যায়। সেই বস্তু হল,ক্বলব বা অন্তর।(সহীহ বুখারী-৫২)
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনি যদি উক্ত জবাব থেকে না বুঝেন, বা আপনার কাছে জবাবটি অস্পষ্ট মনে হয়, তাহলে আপনি কমেন্ট করবেন।আমরা আপনার প্রশ্নের জবাব বিস্তারিত উল্লেখ করার চেষ্টা করবো।