ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/973 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
সাহরী খাওয়া সুন্নাত। হাদীসে এসেছে-
ﺗﺴﺤﺮﻭﺍ ﻓﺈﻥ ﻓﻲ ﺍﻟﺴﺤﻮﺭ ﺑﺮﻛﺔ
‘তোমরা সাহরী খাও। কেননা, সাহরীতে বরকত রয়েছে।(সহীহ মুসলিম ১/৩৫০)
অন্য হাদীসে বলা হয়েছে, ‘সাহরী খাওয়া বরকতপূর্ণ কাজ। সুতরাং তোমরা তা পরিত্যাগ করো না। এক ঢোক পানি দিয়ে হলেও সাহরী কর। কারণ যারা সাহরী খায় আল্লাহ তাআলা তাদের উপর রহমত বর্ষণ করেন এবং তাঁর ফেরেশতারা তাদের জন্য রহমতের দুআ করেন।(মুসনাদে আহমদ ৩/১২; মুসান্নাফ ইবনে আবী শায়বা হাদীস : ৯০১০; সহীহ ইবনে হিব্বান ৩৪৭৬)
রাত্রে নফল রোযার নিয়ত করার পর যদি কেউ সুবহে সাদিকের সময় ঘুম থেকে না উঠে,এবং সেহরী না খায়,তাহলে সে সেহরী না খেয়েই রোযা রাখবে।কেননা রাত্রে নফল রোযার নিয়ত করার পর সুবহে সাদিক সেই নিয়তের উপর অতিক্রম হওয়ার দ্বারা নফল রোযা নির্দিষ্ট হয়ে গেছে।এক্ষেত্রে রোযা না রাখলে উক্ত নফলের কাযা আদায় করতে হবে।রোযা রাখার জন্য সেহরী খাওয়া জরুরী নয় বরং সুবহে সাদিকের পূর্বে নিয়ত করাই মূল বিষয়।তবে সুবহে সাদিকের পূর্ব পর্যন্ত নিয়তকে পরিবর্তন করার অবকাশ থাকবে।(আবকে মাসাঈল আউর উনকা হল-৩/৩০৮)
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
যেহেতু বৃহস্পতিবার ঘুমানোর পূর্বে আপনি রোযার নিয়ত করেছিলেন, তাই আপনার রোযা বিশুদ্ধ হয়েছে,যদিও আপনি ঘুম থেকে উঠতে পারেননি।