আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
316 views
in পবিত্রতা (Purity) by (2 points)
প্রস্রাব করে পানি ব্যবহার করে ওই কাপড় পরেই কি নামাজ পড়া যাবে নাকি কাপড় পাল্টাতে হবে?
পায়খানা ছাড়া প্রস্রাবের ব্যবহৃত পানি কাপড়ে লাগলে ওই কাপড় পরেই নামাজ পড়া যাবে?
শরীর খারাপ অবস্থায় তো শরীর নাপাক থাকে তখন যদি বীর্য বের হয় তাহলে কি সাথে সাথে গোসল ফরজ হবে নাকি গোসল না করলেও চলবে?

1 Answer

0 votes
by (717,920 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
প্রস্রাব করার পর লিঙ্গকে তিনবার পানি দ্বারা ধৌত করতে হবে।যেহেতু প্রস্রাব অদৃশ্যমান নাজাসত।তাই লিঙ্গর আগাকে তিনবার ধৌত করে নিতে হবে।এবং যে হাত দ্বারা লিঙ্গর আগাকে নাড়ানো হবে,সেই হাতকেও তিনবার ধৌত করতে হবে।তিনবার লিঙ্গকে ধৌত করার পর লিঙ্গ থেকে পানি কাপড়ে লাগলে কাপড় নাপাক হবে না। উক্ত কাপড় দ্বারা নামায পড়া যাবে।

(২)
https://www.ifatwa.info/938 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
যদি ঠান্ডা পানি ব্যবহারে জীবন নাশ বা অসুস্থতা বৃদ্ধির আশংকা থাকে,তাহলে গরম পানি দিয়ে গোসল করে নামায আদায় করতে পারবেন।এ ব্যাপারে কোনো প্রকার শীতিলতা নেই।হ্যা গরম পানির যদি কোনো ব্যবস্থা না থাকে অথবা গরম পানি ব্যবহার করলেও অসুস্থতা বৃদ্ধির পূর্ণ আশংকা থাকে, তাহলে এমতাবস্থায় তায়াম্মুম করততে পারবেন।(আহসানুল ফাতাওয়া-২/৫৬)

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ঠান্ডা পানি দ্বারা গোসল করলে যদি শারিরিক ক্ষতি হওয়ার আশংকা থাকে, তাহলে গরম।পানি দ্বারা গোসল করতে হবে।যদি গরম পানি দ্বারাও শারিরিক ক্ষতি হওয়ার আশংকা থাকে, তাহলে তায়াম্মুম করে পবিত্রতা অর্জন করা যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...