ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
واقل الطہر بین الحیضتین او النفاس والحیض خمسۃ عشر یومًا ولیالیھا اجماعًا۔
দুই হায়েজ বা নিফাস ও হায়েজের মধ্যে
পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমা সর্বসম্মতিক্রমে পনেরো দিন পনেরো রাত।(রদ্দুল মুহতার-১/২৮৫)
:ومن جملۃذٰلک الدم المتخلل فی اقل مدۃ الطھرولا یمکن معرفقہ ذٰلک الّا بعد معرفۃ اقل الطھرواقلہ خمسۃ عشر یوماً عندنا۔
পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমার মধ্যে
দমে মুতাখাল্লিল এর বিধানের সারাংশ হলো পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমা পনেরো দিন হিসেবে ধরে তার পরিচয় জানা যাবে। (তাতারখানিয়া-১/৩২১)
وأقل الطہر بین الحیضتین أو النفاس والحیض خمسة عشر یوماً ولیالیہا إجماعاً (درمختار: ۱/۴۷۷، ط: زکریا دیوبند)
والناقص عن أقلہ والزائد علی أکثرہ أو أکثر النفاس أو علی العادة وجاوز أکثرہما ․․․․․․ استحاضة ۔ (المصدر السابق)
হায়েজের সর্বনিম্ন সীমার থেকে কম বা বেশি,নেফাসের
সর্বোচ্চ সীমার থেকে বেশি ইস্তেহাজা।
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
১৫ দিনের চেয়ে কম কেউ সুস্থ থাকলে সেটা ইস্তেহাযা হিসেবেই গণ্য হবে।
(২)
যদি নিয়মিত ধারাবাহিক রক্তস্রাব নির্গত না হয়, তাহলে কোনো এক কাপড়কে নামাযের জন্য রাখা যাবে।এই একই কাপড় দ্বারা অনেকগুলো নামায পড়া জায়েয হবে। তবে যদি উক্ত কাপড়ে এক দিরহামের চেয়ে বেশী নাপাকি লেগে যায়, তাহলে উক্ত কাপড় দ্বারা একাধিক নামায পড়া জায়েয হবে না।
(৩)
জ্বীন ফোন ব্যবহার করে না। জ্বীন আমাদের সাথে ঘুমায় না।হ্যা, কোনো মানুষের উপর আছর বা কুদৃষ্টি দিয়ে দিলে তার আশেপাশে সেই জ্বীন সর্বক্ষণ থাকে।জ্বীনদের কোনো বাড়িঘর মানুষের দৃষ্টিগোচর হবে না।তাদের জায়গা সাগর বা জলাশয়। তাদের রীতিনীতি অনুযায়ী তাদের বাড়িঘর রয়েছে,রাজ্য রয়েছে,রাজ্যপরিচালনা পরিষদও রয়েছে। জ্বীনদের আমাদের মত লেখাপড়ার কোনো ব্যবস্থা নেই।তবে মানুষদের সাথে তারা পড়তেও পারে।জ্বীনদের সম্পর্কে জানতে আল্লামা সুয়ুতি রাহ লিখিত আজাইবুলুল মাখলুকাত কিতাব পড়বেন।