আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
155 views
in পবিত্রতা (Purity) by (49 points)
আসসালামুয়ালাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ্ ,
উস্তাদজী ,
১/  কোন মেয়ের হায়েজ শেষ হওয়ার পর ১২ দিন সুস্থ ছিলো তাহলে এটা কি ইস্তেহাযা? এ ক্ষেত্রে সালাতের হুকুম কি?

পবিত্রতা হুকুম?
২/ নামাজের জন্য আলাদা ড্রেস রেখে,ঐ ড্রেস শুধু নামাজের সময় পড়বে ইস্তেহাযা কালীন সময়ে,একই ড্রেস দিয়ে কি নামাজ পড়া যাবে প্রতি ওয়াক্ত? শুধু নামাজের সময় পড়ে পরে আবার খুলে রাখবে ? নাকি নতুন নতুন ড্রেস পরিবর্তন করতে হবে ?

অনবরত হচ্ছে না , অর্থাৎ ইস্তেহাযা হচ্ছে কিন্তু মাযূর না ।


৩/ জ্বীন কি ফোন ব্যবহার করে ?
জ্বীন কি আমাদের সাথে ঘুমায় ?
জ্বীনদের কি ঘর আছে ,?
জ্বীনেরা কি পড়ালেখা করে?

জ্বীনদের জীবন সম্পর্কে জানতে চাই ।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
واقل الطہر بین الحیضتین او النفاس والحیض خمسۃ عشر یومًا ولیالیھا اجماعًا۔
দুই হায়েজ বা নিফাস ও হায়েজের মধ্যে   
পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমা সর্বসম্মতিক্রমে পনেরো দিন পনেরো রাত।(রদ্দুল মুহতার-১/২৮৫)
:ومن جملۃذٰلک الدم المتخلل فی اقل مدۃ الطھرولا یمکن معرفقہ ذٰلک الّا بعد معرفۃ اقل الطھرواقلہ خمسۃ عشر یوماً عندنا۔
পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমার মধ্যে
 দমে মুতাখাল্লিল এর বিধানের সারাংশ হলো পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমা পনেরো দিন হিসেবে ধরে তার পরিচয় জানা যাবে। (তাতারখানিয়া-১/৩২১)
وأقل الطہر بین الحیضتین أو النفاس والحیض خمسة عشر یوماً ولیالیہا إجماعاً (درمختار: ۱/۴۷۷، ط: زکریا دیوبند) 
والناقص عن أقلہ والزائد علی أکثرہ أو أکثر النفاس أو علی العادة وجاوز أکثرہما ․․․․․․ استحاضة ۔ (المصدر السابق)
হায়েজের সর্বনিম্ন সীমার থেকে কম বা বেশি,নেফাসের 
সর্বোচ্চ সীমার থেকে বেশি ইস্তেহাজা।

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
১৫ দিনের চেয়ে কম কেউ সুস্থ থাকলে সেটা ইস্তেহাযা হিসেবেই গণ্য হবে।

(২)
যদি নিয়মিত ধারাবাহিক রক্তস্রাব নির্গত না হয়, তাহলে কোনো এক কাপড়কে নামাযের জন্য রাখা যাবে।এই একই কাপড় দ্বারা অনেকগুলো নামায পড়া জায়েয হবে। তবে যদি উক্ত কাপড়ে এক দিরহামের চেয়ে বেশী নাপাকি লেগে যায়, তাহলে উক্ত কাপড় দ্বারা একাধিক নামায পড়া জায়েয হবে না।

(৩)
জ্বীন ফোন ব্যবহার করে না। জ্বীন আমাদের সাথে ঘুমায় না।হ্যা, কোনো মানুষের উপর আছর বা কুদৃষ্টি দিয়ে দিলে তার আশেপাশে সেই জ্বীন সর্বক্ষণ থাকে।জ্বীনদের কোনো বাড়িঘর মানুষের দৃষ্টিগোচর হবে না।তাদের জায়গা সাগর বা জলাশয়। তাদের রীতিনীতি অনুযায়ী তাদের বাড়িঘর রয়েছে,রাজ্য রয়েছে,রাজ্যপরিচালনা পরিষদও রয়েছে। জ্বীনদের আমাদের মত লেখাপড়ার কোনো ব্যবস্থা নেই।তবে মানুষদের সাথে তারা পড়তেও পারে।জ্বীনদের সম্পর্কে জানতে আল্লামা সুয়ুতি রাহ লিখিত আজাইবুলুল মাখলুকাত কিতাব পড়বেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...