1.আসসালামুয়ালাইকুম ওরাহমাতুল্লা। হুজুর আমি কেনায়া তালাকের ব্যপারে জানার পর থেকে চিন্তায় আছি।স্বামীও জানত না আগে।স্বামীকে অনেকবার জিগ্যেস করেছি কেনায়া তালাকের ব্যাপারে, কোনদিন বলেছে কিনা।সে বার বার আমার কথা শুনতে শুনতে বিরক্ত হয়ে গেছে। বলতেছে আর কোনদিন তালাকের ব্যপারে কথা বলবে না। কারণ বার বার জিগ্যেস করেছি।সে প্রতিবার ওই উত্তর দিয়েছে সে তালাকের উদ্দেশ্যে কিছু বলে নি।শপথ করে বলতেছে।আর বলতেছে ওনার মনেও নাই কি কি বলছে।।হুজুর আমাদের বিয়ে হয়েছে কিন্তুু বাসায় জানে না।মোবাইলে কথা হয়।আমি আমার বাবার বাড়িতে আছি।আমার মা বাবা ওনি চাকরি করে না তাই মেনে নিচ্ছে না।ব্যবসা করে তাই মেনে নিচ্ছে না।তহ একদিন স্বামী বলতেছিল আগে আর কি"এখন মা বাবা বেশি আপন হয়ে গেছে না? তুমার মা বাবা যা বলে করিও।আসিও না আমার বাসায় ।আমি আমার পথ ঠিকি খুজে নিব।আমি তহ ফকির।কিছু নেই আমার কাছে"। আগের কথা হঠাত মনে পরছে।হুজুর ওনাকে কিছুই বলতে পারতেছি না।ওনি বলতেছে এই ব্যাপারে কোন কথাই নাই।কারণ তালাকের ব্যপারে চিন্তা করতে করতে আমি অসুস্থ হয়ে গেছি।হুজুর ওনার কথাটা শুনে আমার মনে হয়েছে অভিমান করে বলেছে।তাই বলেছে আমি ফকির,কিছু নেই।আসলে আমার ফ্যমিলির ও কয়েকজন বলেছিল আমার স্বামীর স্টাটাস নাই,ফকিরের ছেলেও বলেছিল।তাই অভিমান করে বলেছিল মনে হয়।আপনার কি মনে হয়? ওনার কথাটা শুনার পর আমি ভয় পেয়ে বলেছিলাম তালাক দিও না আমাকে কোনদিন প্লিজ।কারণ আমি ওনাকে হারাতে চাই না। সে আর কিছুই বলে নি।ওনি বার বার বলত আগে যে তালাক দেওয়ার মন নাই ওনার। হুজুর ওনাকে জিগ্যেস করতেও পারতেছি না।আপনার কি মনে হয় হুজুর? আমাদের কি তালাক হয়েছে একটাও?কথাটা যখন হয়েছিল তখন আমরা কেউ কেনায়া তালাকের ব্যাপারে জানতামও না।স্বামীও জানত না।এখন উপায় কি হুজুর?আমাদের কি একসাথে থাকলে গুণাহ হবে?
2.হুজুর আরেকটা প্রশ্ন আমার স্বামীর সাথে আমি এস এম এসের মাধ্যমে কথা বলি।তহ কিছুদিন পর পর ডিলেট করে দি এস এম এস
তহ হুজুর আমার তহ কেনায়া বাক্য বলেছে কিনা সন্দেহ হয়।তহ আমার মনে হয়ছে এখন যা এস এম এস ডিলেট করা নাই ওইখানে ওইধরনের কেনায়া তালাকের ব্যাপারে নাই।কয়েক টা টেনে টেনে দেখেছিলাম ও।অত গুলো কেমনে দেখব আর? সবসময় এই বিষয়টা নিয়ে চিন্তা করি ভয়ে এস এম এস গুলো ডিলেট করে দি।হুজুর আমার মনে হচ্ছিল কেনায়া বাক্য ছিল না, আবার মনে হচ্ছে ছিল।হুজুর ওই এস এম এস গুলোতে যদি থেকেও থাকে আমার কি গুণাহ বা তালাক হবে? মনে হচ্ছিল যে এস এম এস ওইগুলো আগেও চেক করেছিলাম জানি না।মনে একটা ভয়ও ছিল যদি থেকে থাকে? চিন্তা করতে করতে একসময় ডিলেট করে দিই।হুজুর আমার কি কোন গুণাহ বা তালাক হবে?হুজুর দয়া করে উত্তর দিয়েন খুব জানার প্রয়োজন।হুজুর আপনাকেও যখন
অনেকবার প্রশ্ন করেছিলাম টেনশন হয়,ওয়াসওয়াসা নিয়ে।তখন আপনি বলেছিলেন এইসব বিষয়ে ফতোয়া না নিতে,কাউকে জিগ্যেস না করতে।হুজুর এইসব ভেবে ডিলেট করে দিছি।স্বামীকেও বলছি ডিলেট করে দিতে ওনার এস এম এস।কারণ হুজুর টেনশনে আর পারতেছি না।যেহেতু বলেছিলাম কিনা জানিও না টেনে টেনে অনেক আগের এস এম এস দেখা কি ভাল হবে?স্বামী নাকি ডিলেট করে না।আমি বলেছি ডিলেট করে দিতে।আমার স্বামী এই তালাকের বিষয়ে শুনতেও চাচ্ছে না।আমার টেনশন লেগেই আছে।ওনি আমার কাছে নেই।যদি ৪ বছর পর গেলেও ওনার কাছে ওই মেসেজ গুলো টেনে টেনে পড়া যাবে।ততদিন আমি টেনশনে শেষ হয়ে যাব। আমার কি ওই মেসেজ গুলো দেখা ওচিত হবে?কি করা উচিত হুজুর আমার বুঝতেছিনা।মারাত্বক টেনশনে আমি। আমার কি গুণাহ হবে? সারাজীবন যিনার গুণাহ হবে?যদি থেকে থাকে?দয়া করে উত্তর দিয়েন হুজুর।