উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান হলো হজ্জের ইহরাম হোক,বা ওমরার ইহরাম হোক,ইহরাম পরিহিত অবস্থায় নিজে দুই একটি উকুন মারলে বা অন্যের দ্বারা নিজের উঁকুন মারালে দুই এক মুষ্টি খাদ্যশস্য সদকাহ করে দিতে হবে।
তিন বা ততোধিক উকুন মারলে বা মারালে একটি ফিতরা পরিমাণ সদকাহ ওয়াজিব হবে। মুহরিম ব্যক্তি অন্যের উকুন মেরে দিলে তার উপর কোনো কিছু ওয়াজিব হবে না। (মানাসিক পৃ.৩৭৮
তুহফায়ে হারামাইন শারিফাইন ২৯২)
★প্রকাশ থাকে যে এক্ষেত্রে ভুলে উঁকুন মারলেও একই হুকুম।
ولو قال لحلال ٳدفع عني هذا القمل ،ٲو ٲمرہ بقتلھا ،ٲو ٲشار ٳلیھا ٲودفع ٳلیه ثوبه لیقتل ما فیه ، فقتلھا فعلیه الجزأء . (غنية الناسک ۲۹۰)
যার সারমর্ম হলো কেহ যদি হালাল ব্যাক্তিকে উকুন মারার কথা বলে,অথবা ইশারা করে,,,তারপর উক্ত হালাল ব্যাক্তি সেই উকুন মেরে দেয়,তাহলে জাযা ওয়াজিব হবে।
ٳذاقتل المحرم قمل غیرہ لا شیء عليه . (غنیۃ الناسک۲۹۰)
যদি মুহরিম ব্যক্তি অন্যের উকুন মেরে দেয়, তাহলে কোনো কিছুই ওয়াজিব হবেনা।
,
من قتل جرادۃ فی الإحرام أو الحرم تصدق بما شاء و تمرۃ خیر من جرادةولو قتل المحرم قملة من بدنه أو ثوبه تصدق بما شاء کجرادة (الدر المختار) مثل کف من طعام (ھدایة) و القملتان والثلاث کالواحدةو فی الزائد علی الثلاث بالغا ما بلغ نصف صاع . (غنیۃ الناسک ص۲۹۰)
যার সারমর্ম হলো যদি কাপড় বা শরীর থেকে একটি,২টি বা ৩ উকুন মারে,তাহলে এক মুষ্টি খাবার ছদকাহ করে দিতে হবে।
আর যদি ৩ ততোধিক উকুন মারে,তাহলে ছদকায়ে ফিতর সমপরিমাণ ছদকাহ করা ওয়াজিব হবে।
۔
,
★★ইহরাম পরিধান করা ছাড়া অন্য সময়ে হারাম শরীফের ফিতর উঁকুন মারা জায়েয আছে।
এতে কোনো সমস্যা নেই।
হারাম শরীফের ভিতর কষ্টদায়ক প্রানী এবং পোকা মাকড় মারা জায়েয আছে।
(উমদাতুল ফিকাহ ১৫৩০,১৫৮১)