হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا أَبُو سَلَمَةَ، يَحْيَى بْنُ الْمُغِيرَةِ الْمَخْزُومِيُّ الْمَدَنِيُّ وَغَيْرُ وَاحِدٍ قَالُوا حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ الْفَضْلِ، عَنِ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا أَهَمَّهُ الأَمْرُ رَفَعَ رَأْسَهُ إِلَى السَّمَاءِ فَقَالَ " سُبْحَانَ اللَّهِ الْعَظِيمِ " . وَإِذَا اجْتَهَدَ فِي الدُّعَاءِ قَالَ " يَا حَىُّ يَا قَيُّومُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন ভয়াবহ বিপদে পড়লে আকাশের দিকে নিজ মাথা তুলে বলতেনঃ মহান আল্লাহ খুবই পবিত্র”। আর যখন তিনি আকুতি সহকারে দু’আ করতেন তখন বলতেনঃ “হে চিরঞ্জীব, হে চিরস্থায়ী”।
(তিরমিজি ৩৪৩৬)
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গারীব।
অন্য হাদীসে এসেছেঃ-
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللّهِ ﷺ: لَيَنْتَهِيَنَّ أَقْوَامٌ عَنْ رَفْعِهِمْ أَبْصَارَهُمْ عِنْدَ الدُّعَاءِ فِي الصَّلَاةِ إِلَى السَّمَاءِ أَوْ لَتُخْطَفَنَّ أَبْصَارُهُمْ . رَوَاهُ مُسْلِمٌ
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ লোকেরা যেন সলাতে দু‘আ করার সময় নযরকে আসমানের দিকে ক্ষেপন না করে। অন্যথায় তাদের দৃষ্টিকে ছোঁ মেরে নেয়া হবে।
সহীহ : মুসলিম ৪২৯,মিশকাতুল মাসাবিহ ৯৮৩)
এই হাদীসের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছেঃ
সলাতরত অবস্থায় আকাশের দিকে তাকানো নিষেধ হওয়ার কারণ এই যে, এতে মুসল্লী সলাতের অবস্থা থেকে বেরিয়ে যায় এবং ক্বিবলামুখী থাকার যে নিয়ম তা থেকেও সে বিমুখ হয়।
সলাতরত অবস্থায় আকাশের দিকে তাকানো হারাম। শাফি‘ঈদের নিকট তা মাকরূহ।
ইবনু হাযম বলেনঃ এতে সলাত (সালাত/নামায/নামাজ) বিনষ্ট হয়। সলাত ব্যতীত সাধারণ দু‘আর সময় আকাশের দিকে তাকানো সম্পর্কে কাযী শুরাইহ বলেনঃ তা মাকরূহ। তবে অধিকাংশ ‘আলিমদের মতে তা বৈধ।
তবে এতে আল্লাহর জন্য দিক সাব্যস্ত করা হয়ে যায়,তাই অধিকাংশ উলামায়ে কেরামগন দের মতে নামাজের বাইরেও এভাবে আকাশের দিকে নজর দিয়ে দোয়া করাকে মাকরুহ বলেছেন।