আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
2,583 views
in সুন্নাহ-বিদ'আহ (Sunnah and Bid'ah) by (16 points)
আকাশের দিকে তাকিয়ে নিজের কষ্টগুলো আল্লাহ এর কাছে বলা সুন্নাহ এই মর্মে হাদিসটি কি সহিহ?

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোন ভয়াবহ বিপদে পড়লে আকাশে দিকে নিজ মাথা তুলতেনঃ “মহান আল্লাহ খুবই পবিত্র”। আর যখন তিনি আকুতি সহকারে দু'আ করতেন তখন বলতেনঃ “হে চিরঞ্জীব, হে চিরস্থায়ী”।

অত্যন্ত দুর্বল, আলকালিমুত তায়্যিব (১১৯/৭৭), আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গারীব।

null, হাদিস নং ৩৪৩৬
হাদিসের মান: খুবই দুর্বল
Source: আল হাদিস অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ, IRD

আর এই কাজ কি আসলেই সুন্নাহ? দলিল সহ বিস্তারিত জানতে চাই।

1 Answer

0 votes
by (566,280 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا أَبُو سَلَمَةَ، يَحْيَى بْنُ الْمُغِيرَةِ الْمَخْزُومِيُّ الْمَدَنِيُّ وَغَيْرُ وَاحِدٍ قَالُوا حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ الْفَضْلِ، عَنِ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا أَهَمَّهُ الأَمْرُ رَفَعَ رَأْسَهُ إِلَى السَّمَاءِ فَقَالَ " سُبْحَانَ اللَّهِ الْعَظِيمِ " . وَإِذَا اجْتَهَدَ فِي الدُّعَاءِ قَالَ " يَا حَىُّ يَا قَيُّومُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .

আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন ভয়াবহ বিপদে পড়লে আকাশের দিকে নিজ মাথা তুলে বলতেনঃ মহান আল্লাহ খুবই পবিত্র”। আর যখন তিনি আকুতি সহকারে দু’আ করতেন তখন বলতেনঃ “হে চিরঞ্জীব, হে চিরস্থায়ী”।  
(তিরমিজি ৩৪৩৬)
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গারীব।

অন্য হাদীসে এসেছেঃ-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللّهِ ﷺ: لَيَنْتَهِيَنَّ أَقْوَامٌ عَنْ رَفْعِهِمْ أَبْصَارَهُمْ عِنْدَ الدُّعَاءِ فِي الصَّلَاةِ إِلَى السَّمَاءِ أَوْ لَتُخْطَفَنَّ أَبْصَارُهُمْ . رَوَاهُ مُسْلِمٌ

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ লোকেরা যেন সলাতে দু‘আ করার সময় নযরকে আসমানের দিকে ক্ষেপন না করে। অন্যথায় তাদের দৃষ্টিকে ছোঁ মেরে নেয়া হবে।
সহীহ : মুসলিম ৪২৯,মিশকাতুল মাসাবিহ ৯৮৩)

এই হাদীসের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছেঃ   
সলাতরত অবস্থায় আকাশের দিকে তাকানো নিষেধ হওয়ার কারণ এই যে, এতে মুসল্লী সলাতের অবস্থা থেকে বেরিয়ে যায় এবং ক্বিবলামুখী থাকার যে নিয়ম তা থেকেও সে বিমুখ হয়।

সলাতরত অবস্থায় আকাশের দিকে তাকানো হারাম। শাফি‘ঈদের নিকট তা মাকরূহ।

ইবনু হাযম বলেনঃ এতে সলাত (সালাত/নামায/নামাজ) বিনষ্ট হয়। সলাত ব্যতীত সাধারণ দু‘আর সময় আকাশের দিকে তাকানো সম্পর্কে কাযী শুরাইহ বলেনঃ তা মাকরূহ। তবে অধিকাংশ ‘আলিমদের মতে তা বৈধ।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত বিষয়টি হাদীস দ্বারা প্রমানীত। 
তবে এতে আল্লাহর জন্য দিক সাব্যস্ত করা হয়ে যায়,তাই অধিকাংশ উলামায়ে কেরামগন দের মতে নামাজের বাইরেও এভাবে আকাশের দিকে নজর দিয়ে দোয়া করাকে মাকরুহ বলেছেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...