আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
352 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (27 points)
আসসালামু আলাইকুম,
হুজুর,হিপনোটিজম বা সম্মোহনবিদ্যা সম্পর্কে ইসলাম কী বলে?এটা কি ভালো কাজে ইউজ করা জায়েজ হবে নাকি পুরোপুরিরূপে হারাম?

আসসালামু আলাইকুম,

হুজুর,হিপনোটিজম বা সম্মোহনবিদ্যা সম্পর্কে ইসলাম কী বলে?এটা কি ভালো কাজে ইউজ করা জায়েজ হবে নাকি পুরোপুরিরূপে হারাম?

1 Answer

0 votes
by (566,940 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


হিপনোটিজম বা সম্মোহন বিদ্যা জায়েজ এবং নাজায়েজ উভয় উদ্দেশ্যের জন্য ব্যবহার হয়।
এবং ইহা দ্বারা চিকিৎসাও করা হয়।
যদি কোনো ব্যাক্তি ইহা শুধুমাত্র বৈধ চিকিৎসার জন্য শিখে,এবং শেখার ভিতরে কোনো শিরকি বাক্য বলতে না হয়,এবং গায়রুল্লাহ ও শায়তান থেকে সাহায্য সহযোগিতা না চাওয়া হয়,এবং কোনো শরীয়তের খেলাফ কাজে লিপ্ত না হতে হয়,এবং নাজায়েজ কাজে ব্যবহার না করা হয়,বরং শুধুমাত্র বৈধ পদ্ধতিতে মশক ইত্যাদির মাধ্যমে এটি শিখে মানুষের চিকিৎসা করা হয়,এবং এর মধ্যে যেই শব্দ গুলি বলা হয়,তার অর্থও যদি জানা থাকে,তাহলে এমন বিদ্যা অর্জনের সুযোগ আছে।
তবে যদি কোনো নাজায়েজ উদ্দেশ্যে  শেখা হয়,অথবা সেটি শেখার ক্ষেত্রে শিরকি বাক্য বলতে হয়, অথবা আল্লাহ ব্যাতিত গায়রুল্লাহ থেকে সাহায্য চাওয়া হয়,অথবা অন্য শরীয়াহ বিরোধী কাজ পাওয়া যায়,অথবা যেই শব্দ গুলি ব্যবহার করা হয়,তার অর্থ জানা না থাকে,তাহলে এটি শেখা নাজায়েজ এবং হারাম হবে।

জামিয়া বিন নুরি পাকিস্থানের 
143909200010 নং ফতোয়া দ্রষ্টব্য।

আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেছেন,

وَلَا تَدْعُ مِنْ دُونِ اللَّهِ مَا لَا يَنْفَعُكَ وَلَا يَضُرُّكَ فَإِنْ فَعَلْتَ فَإِنَّكَ إِذًا مِنَ الظَّالِمِينَ ﴿106﴾ وَإِنْ يَمْسَسْكَ اللَّهُ بِضُرٍّ فَلَا كَاشِفَ لَهُ إِلَّا هُوَ (يونس: 106-107)

‘‘আল্লাহ ছাড়া এমন কোন সত্তাকে ডেকোনা, যা তোমার কোন উপকার করতে পারবে না এবং ক্ষতিও করতে পারবে না। যদি তুমি এমন কারো তাহলে নিশ্চয়ই তুমি জালিমদের অন্তর্ভুক্ত। আর আল্লাহ যদি তোমাকে কোন বিপদে ফেলেন, তাহলে একমাত্র তিনি ব্যতীত আর কেউ তা থেকে তোমাকে উদ্ধার করতে পারবে না।’’ (ইউনুসঃ ১০৬, ১০৭)

আল্লাহ তাআলা আরো ইরশাদ করেছেন,
فَابْتَغُوا عِنْدَ اللَّهِ الرِّزْقَ وَاعْبُدُوهُ وَاشْكُرُوا لَهُ (ألعنكبوت: 17)

‘‘আল্লাহর কাছে রিযিক চাও এবং তাঁরই ইবাদত করো’’।
(আনকাবুত : ১৭)

আল্লাহ তাআলা অন্য এক আয়াতে ইরশাদ করেছেন,

وَمَنْ أَضَلُّ مِمَّنْ يَدْعُو مِنْ دُونِ اللَّهِ مَنْ لَا يَسْتَجِيبُ لَهُ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ (الأحقاف: 5)

‘‘তার চেয়ে অধিক ভ্রান্ত আর কে হতে পারে, যে ব্যক্তি আল্লাহকে ছাড়া এমন সত্তাকে ডাকে যে সত্তা কেয়ামত পর্যন্ত তার ডাকে সাড়া দিতে পারবে না’’। (আহকাফ : ৫)

★তবে কিছু ইসলামী স্কলারদের মত হলোঃ
হিপনোটিজম বা সম্মোহন বিদ্যা শিক্ষা অর্জন করা জায়েজ নেই।
(আপকে মাসায়েল আউর উনকা হল ৭/৩৬২)

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
সুতরাং সতর্কতা মূলক হিপনোটিজম বা সম্মোহন বিদ্যা শিক্ষা অর্জন না করাই উচিত।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...