আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
104 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (30 points)
edited by
মুফতি ওয়ালি উল্লাহ হুজুরের কাছে জানতে চাই৷ আসসালামু আলাইকুম হুজুর।  বিরক্ত হবেন না হুজুর দয়া করে। আমাকে সাহায্য করুন৷
১।আমি তালাক নিয়ে গুগলে সার্চ করতে  গিয়ে সুস্পষ্ট  তালাকের শব্দ  লিখেছিলাম। কিন্তু শব্দটা লিখার সময় মনে হলো আবার তালাকের নিয়ত করে ফেললাম নাতো?  আমি নিজের উপর নেওয়ার জন্য কোনো নিয়ত করিনি বা চিন্তাও করিনি এইটুকু মনে আছে।  আমিতো নিজের উপর নেইনি,  শুধু মনে হয়েছে তাকে দিয়ে ফেললাম না কি? ।সার্চ করতে গিয়ে সুস্পষ্ট তালাকের শব্দ  লিখার সময় স্বামীর কথা মনে হয়েছিল আর ভয় হয়েছিল।আমার ভয় হচ্ছিল লিখলেই সমস্যা হয়ে যাবে। এমন ভয় মনে আসছিল। তাও মনে সাহস নিয়ে লিখেছি। লিখার পরেই সন্দেহ হয় তা*** হয়ে গেলো নাতো??? আমার মনে বিন্দু পরিমান ইচ্ছা ছিল না,  আমি জানতাম শয়তান আমার মনে এই কথা এনেছে তাই ভাবলাম কিছু হবে না লিখে ফেলি।  লিখার সাথে সাথে আবার ভয় হতে থাকে কিছু হলো নাতো?? ।আমিতো শব্দটা লিখার সময় কোন নিয়ত করিনি শুধু ভয় কাজ করেছে মনে।
এখন লিখার  পরে যদি মনে হয় নিয়ত করেছি বা নানান কথা মনে আসে তাহলে কি পতিত হবে? আমার সুস্পষ্ট কিছুই মনে হচ্ছে না কি ভেবেছিলাম, কিন্তু নিজের উপর নেওয়ার কথা ভাবিনি এইটুকু মনে আছে। এখন সন্দেহ হচ্ছে  স্বামীর থেকে ***  নেওয়ার কথা ভেবে ফেললাম কিনা? একবার মনে হচ্ছে আমি কিছুতেই এই কথা ভাবিনি আবার মনে হচ্ছে ভেবে ফেলেছিলাম কিনা।

২। কেনায়া শব্দ ছাড়া অন্য কোন সাধারণ কথার উত্তর হিসেবে  হ্যাঁ, আচ্ছা, ঠিক আছে। এইগুলা বলার সময় যদি মনে তালাকের চিন্তা আসে তাহলে কোন সমস্যা হবে কিনা? বা কেউ যদি মনে মনে ভাবে  হ্যাঁ/আচ্ছা বলার কারনে  **** হবে তাহলে কি  তা সত্যি হয়ে যাবে কিনা।
৩। কেউ যদি কোন কেনায়া বাক্য বলার সময় কোন নিয়ত না করে। কিন্তু পরবর্তীতে মনে মনে বলে নিয়ত ছিল বা মিথ্যা স্বীকারোক্তি দেয় মনে মনে, তাহলে কি তা পতিত হবে??

৪। আপনার কাছে ২ নাম্বার প্রশ্ন করার সময় লিখেছি " কেউ যদি মনে মনে ভাবে হ্যাঁ/আচ্ছা এইসব বলার কারনে ***** হবে,  এই কথা লিখতে গিয়ে   " তালাক  হবে"  কথাটা  লিখার সময় ভয় হয়েছে এই কথা আমার উপর চলে আসবে কিনা মানে আমি মিথ্যা স্বীকারোক্তি দিয়ে দিলাম কিনা। অর্থাত আমি নিজেকে শর্ত দিয়ে ফেললাম কিনা এইটা লিখার মাধ্যমে??  হ্যাঁ বা আচ্ছা বললে আমার কোন সমস্যা হবে না তো??  এই কথা আমি আপনাকে প্রশ্ন করার জন্য লিখেছি নিজেকে শর্ত দেওয়ার জন্য লিখিনি। এতে কোন সমস্যা হবে না তো??

1 Answer

0 votes
by (686,640 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
হাদীস শরীফে এসেছে-
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ تَجَاوَزَ لِي عَنْ أُمَّتِي مَا وَسْوَسَتْ بِهِ صُدُورُهَا، مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَكَلَّمْ ".

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, (আমার বরকতে) আল্লাহ আমার উম্মতের অন্তরে উদিত ওয়াসওয়াসা (পাপের ভাব ও চেতনা) মাফ করে দিয়েছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত না সে তা কাজে পরিণত করে অথবা মুখে বলে। (সহীহ বুখারী ২৫২৮)
 
অপর এক হাদীসে এসেছে-

عَنْ أَبِي ذَرٍّ الْغِفَارِيِّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّ اللهَ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي الْخَطَأَ وَالنِّسْيَانَ وَمَا اسْتُكْرِهُوا عَلَيْهِ

আবূ যার আল-গিফারী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ আমার উম্মাতের ভুল , বিস্মৃতি ও বলপূর্বক যা করিয়ে নেয়া হয় তা ক্ষমা করে দিয়েছেন। [সুনানে ইবনে মাজাহ, ২০৪৩]
 
অপর এক হাদীসে এসেছে-

عَنْ عَلِيٍّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " رُفِعَ الْقَلَمُ عَنْ ثَلاَثَةٍ عَنِ النَّائِمِ حَتَّى يَسْتَيْقِظَ وَعَنِ الصَّبِيِّ حَتَّى يَشِبَّ وَعَنِ الْمَعْتُوهِ حَتَّى يَعْقِلَ " .

আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তিন ব্যক্তির উপর থেকে দন্ডবিধি রহিত করে দেওয়া হয়েছে, ঘুমন্ত ব্যক্তি যতক্ষণ না সে জাগ্রত হয়, শিশু যতক্ষন না সাবালক হয়, বেহুশ ব্যক্তি যতক্ষণ না তার হুশ ফিরে এসেছে। - ইবনু মাজাহ ২০৪১, ২০৪২, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৪২৩ [আল মাদানী প্রকাশনী]

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি আপনি স্বামী থেকে নিজেকে নিজে তালাক প্রদানের ক্ষমতা পেয়েও থাকেন,তবু প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে কোনো তালাক হবেনা।
স্বামীর থেকে,,, নেওয়ার  কথা ভাবলেও কোনো সমস্যা নেই।
তালাক হবেনা।
আপনি নিশ্চিন্তে থাকুন।
,
(০২)
না,তালাকের প্রশ্ন ব্যাতিত এমনিতেই সাধারণ কোনো বাক্যের জবাবে এগুলো বললে তালাক হবেনা।   
তালাকের চিন্তা আসলেও তালাক হবেনা।

(০৩)
পরবর্তীতে মনে মনে এসব বললে বা মনে মনে মিথ্যা স্বীকারোক্তি দিললে  তালাক হবেনা।
তবে মুখে উচ্চারণ করে জিহবা নাড়িয়ে যদি আওয়াজ করে মিথ্যা স্বীকারোক্তি দেয়,তাহলে তালাক হবে।

(০৪)
এতে কোনো সমস্যা হবেনা।   


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...