শরীয়তের বিধান হলো স্বপ্নের কোনো কাজ দ্বারা,স্বপ্ন দ্বারা শরীয়তের কোনো আহকাম প্রমানিত হয়না।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عن عائشة عن النبي صلى الله عليه وسلم قال رفع القلم عن ثلاثة عن النائم حتى يستيقظ وعن الصغير حتى يكبر وعن المجنون حتى يعقل
হযরত আয়শা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-তিন ব্যক্তি থেকে [হিসাব-নিকাশের] কলম উঠিয়ে রাখা হয়েছে, ১-ঘুমন্ত ব্যক্তি যতক্ষণ না সে জাগ্রত হয়, ২-না বালেগ, যতক্ষণ না সে বালেগ হয়, ৩-পাগল ব্যক্তি, যতক্ষণ না সে সুস্থ্য হয়।
{তাহাবী শরীফ, হাদীস নং-৩০২৮, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৪৪০৫, সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং-১৪২৩, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-১৭৩, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২২৯৬, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-১৪২, সহীহ ইবনে খুজাইমা, হাদীস নং-১০০৩, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৯৪০}
عن أبي قتادة قال قال رسول الله صلى الله عليه و سلم : ليس في النوم تفريط إنما التفريط في اليقظة
হযরত কাতাদা রাঃ বলেন-রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-ঘুমন্ত অবস্থার কোন ভুল হলে এতে কোন গোনাহ নেই, তবে সজাগ অবস্থায় হলে গোনাহ হবে।
{সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৫৯৪, সহীহ ইবনে খুজাইমা, হাদীস নং-৯৮৯, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-১৪৬০, তাহাবী শরীফ, হাদীস নং-৯০২, সুনানে সাগীর লিল বায়হাকী, হাদীস নং-৭৩৭, সুনানে নাসায়ী কুবরা, হাদীস নং-১৫৮৩, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৪৪১, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৬৯৮, সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং-১৭৭, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-১৪, মুসনাদে আবী আওয়ানা, হাদীস নং-২১০১, মুসনাদে ইবনুল জিদ, হাদীস নং-৩০৭৫}
ঘুমের মধ্যে যা কিছুই করেন এর দ্বারা দুনিয়া আখেরাতের কোন কিছুই প্রমাণিত হয় না।
ঘুমের মাঝে মানুষ কত কিছুই করে। এর দ্বারা যেমন দুনিয়ার কোন কিছু অর্জিত হয় না। তেমনি শরয়ী কোন বিধানও আরোপিত হয় না। সেই হিসেবে ঘুমের মাঝে আপনি যেই মান্নত করেছেন,সেটির কোনো ধর্তব্য নেই।
আপনাকে কোনো সদকাহ দিতে হবেনা।
মান্নতের নিয়তেও নয়,ওয়াজিব সাদাকাহও নয়।
আপনাকে কোনো সদকাহ দিতে হবেনা।