আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
551 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (0 points)
১)আমার ঘরে আলমারিতে অনেক গুলো শামুকের তৈরি পাখির মুর্তির শো পিস আছে,যদিও আলমারি টা একটা কাপড় দিয়ে ঢাকা।এখন এইটা কী আমার জন্য হারাম হবে ঐসব শো পিস রাখা?  ঐ ঘরে নামায পরলে কী নামায হবে?

২)আমার ছোট ভাই(বয়স ২ বছরের কম) কী পুতুল জাতীয় খেলনা দিয়ে খেলতে পারবে?যেমনঃটুথব্রাশে পুতুলের ডিজাইন,পুতুলের মতো খেলনা,এইসব?

৩)১ নং ক্ষেত্রে যদি হারাম হয়,তাহলে আমার করণীয় কী ঐসব জিনিস নিয়ে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
বিসমিল্লাহির রাহিমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
ঘরে মুর্তি রাখা হারাম।চায় বড় হোক বা ছোট্ট হোক।তবে যদি এত ছোট্ট হয় যে জমিনে থাকলে দাড়ানো অবস্থা থেকে আকৃতিকে বুঝা যায় না তাহলে সেটা হারাম হবে না।ঠিক তেমনি ভাবে কোনো কিছু দ্বারা ঢাকা থাকলে সেটাও হারাম হবে না।

যেহেতু আপনি আলমারিতে ঢেকে রেখেছেন।তাই এটা ফিরিস্তাদের জন্য প্রতিবন্ধক হবে না।এবং নামাযের জন্যও প্রতিবন্ধক হবে না।তবে ঘরের মধ্যে রাখা আপনার জন্য উচিৎ না।যথাসম্ভব সেটা ভেঙ্গে ফেলাই তাকওয়ার দাবী। বিস্তারিত জানুন-2377

(২)
সারকথাঃ
অধিকাংশ উলামায়ে কেরাম বাচ্ছাদের জন্য ফটো-ভাস্কর্য কে বৈধ মনে করেন।এবং কিছুসংখ্যক উলামায়ে কেরাম হারাম মনে করেন।আল্লামা হালিমী রাহ বলেন,মুর্তির মত হলে নাজায়েয নতুবা জায়েযই হবে।আমি মনে করি হালিমী রাহ এর কথাই বিশুদ্ধ। (তুহফাতুল আহওয়াযি-৫/৩৫)

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!
কেউ বলেন জায়েয,আবার কেউ বলেন নাজায়েয।
সুতরাং উত্তম হল, খেলনার পুতুল থেকে সন্তানাদিকে বাঁচিয়ে রাখা।এবং এটাই তাকওয়ার সর্বাদিক নিকটবর্তী ও সার্বিক বিবেচনায় অধিক কল্যাণকর।
কেননা সন্দেহ মূলক জিনিষ থেকে বেঁচে থাকাই মু'মিন দের জন্য উচিৎ ও কাম্য।বিস্তারিত জানুন-669

উপরোক্ত কারণ ছাড়াও
প্রচারিত টম-জেরি চ্যানেল এবং পগো চ্যানেল সহ ইত্যাদি চ্যানেল সমূহ অযথা সময় নষ্ট এবং বিজাতীয় সংস্কৃতিতে ভরপুর থাকায় তা কখনো জায়েয হবে না।বিস্তারিত জানুন- 320

(৩)
এখনই এগুলোকে ভেঙ্গে ফেলে দেয়া।যাতে করে মুর্তির প্রতি মহব্বত সৃষ্টির সকল রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (0 points)
জাযাকাল্লাহ ওস্তাদ

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...