আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
436 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (38 points)
edited by
আসসালামুয়ালাইকুম ওরাহমাতুল্লা। হুজুর স্বামীর সাথে অভিমান করে যদি বলে তুমাকে বিয়ে করে শুখী নয়।যদি স্বামী ও অভিমান করে বলে " ভাল না লাগলে থাকিও নয়/তুমার ভাল না লাগলে চলে যাইও/ যেতে পার/ যাও/কষ্ট হলে কেন থাকবা"আসলে হুজুর ঠিক কোন কথাটা বলেছে মনে নেই।তাই বা দিয়ে দিয়ে লিখছি।এই কথা দ্বারা যে তালাক হয় সেটাও জানতাম না আমরা।তালাকের কথাও হয়েছে কিনা জানি না।মনে হচ্ছে তালাকের কথা হয় নি।তালাকের নিয়ত ও ছিল না। আসলে ঠিক কি বলেছিল মনে নেই।কেনায়া তালাকের ব্যপারে জানার পর থেকে প্রতিটা বিষয়ে সন্দেহ হচ্ছে।মনে হয়,এই ধরনের কিছু।আসলে আমরা এখনও সংসার শুরু করি নি বাপের বাড়িতে থাকি আমি।কম কথা হয় আমাদের ওনি ব্যস্ত থাকে।হয়ত ওটার জন্য  অভিমান করে বলেছিলাম।ফোনে কথা হয় আমাদের।আমি ওয়াওয়াসা রূগী।খুব সন্দেহে এটা নিয়ে।ঘুমাইতে পারি না এটা নিয়ে চিন্তা করতে করতে।স্বামীর তহ কি বলেছে  মনেও নাই স্বামীর।শপথ করে বলেছে তালাকের নিয়ত ছিল না।আমার ও স্পষ্ট মনে নেই মনে হচ্ছে এইরকম বলেছে।এগুলা  দ্বারা কি তালাক হবে আমাদের?হুজুর এখন আমার কি করা উচিত? তালাকের ব্যাপারে ভাবতে ভাবতে পাগল হয়ে যাব মনে হচ্ছে।ঘুমের মধ্যে চমকে চমকে উঠে যাই এই তালাকের বিষয়ে ভাবতে ভাবতে।নামাজ, অযু সবখানেই আমার সন্দেহ হয়।ঠিকভাবে হয়েছে কিনা এইটা ভেবে।কি করা উচিত হুজুর আমার এখন।
by
edited
স্বামীও মনে হয় তাকে বুঝি না তাই অভিমান করে বলেছিল।আমার স্বামী হুজুর খুব ভালবাসে আমাকে।হুজুর আমার সব বিষয়ে এখন সন্দেহ হয়।টেনশন করতে করতে অসুস্থ হয়ে পড়ি।শুধু ভাবি না জেনে গুণাহ হয়ে গেলে কি আল্লাহ মাফ করবে।যদি তওবার সুযোগ না পাই।বার বার মনে হয় ওইরকম কিছু বলেছে।আবার মনে হয় আদৌ কি বলছে? আমি ঠিক ভাবে বুঝে উঠতে পারতেছি না।যদি বলেও থাকে গুণাহ হবে সংসার করলে?না জেনে গুণাহ হলে কি আল্লাহ মাফ করবে এই সব বিষয়ে ভাবতে থাকি।আর খুব টেনশন হয়।অসুস্হ হয়ে পড়ি।তবুও স্বামীকে বার বার জিগ্যেস করলে বলেছিলেন আমাকে তালাক দেওয়ার মন মানসিকতা ওনার কোনদিন ছিল না।এখন আমরা কি করতে পারি হুজুর

1 Answer

0 votes
by (573,960 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


তালাক খুবই মারাত্মক একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

এ ভয়ানক শব্দটি নিয়ত থাকুক বা না থাকুক রাগে বলুক আর ভালবেসে বলুক স্ত্রীকে উদ্দেশ্য নিয়ে মুখ দিয়ে এ শব্দ বের হলেই তালাক পতিত হয়ে যায়। 

হাদীসে এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” ثَلَاثٌ جِدُّهُنَّ جِدٌّ وَهَزْلُهُنَّ جِدٌّ: الطَّلَاقُ، وَالنِّكَاحُ، وَالرَّجْعَةُ “

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, তিনি বিষয় এমন যে, ইচ্ছেকৃত করলে ইচ্ছেকৃত এবং ঠাট্টা করে করলেও ইচ্ছেকৃত বলে ধর্তব্য হয়। তা হল, তালাক, বিবাহ এবং তালাকে রেজয়ীপ্রাপ্তা স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২০৩৯, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২১৯৪}

★তালাক স্পষ্ট বাক্য দ্বারাও হতে পারে,আবার কেনায়া শব্দ,ইঙ্গিতসূচক শব্দ দ্বারাও হতে পারে।
কেনায়া তালাক বলা হয় স্পষ্ট তালাক শব্দ না বলে বরং তালাকের ইঙ্গিতসূচক শব্দ বলে তালাক দেওয়া। 

★★শরিয়তের পরিভাষায় প্রশ্নে উল্লেখিত জাতীয় শব্দে তালাক দেয়াটাকে বলা হয় ‘কেনায়া তালাক’ বা ইঙ্গিতসূচক শব্দ দ্বারা তালাক। আর কেনায়া তালাকের ক্ষেত্রে নিয়ত তথা তালাকের ইচ্ছা থাকা অত্যাবশ্যক। আর কেনায়া তালাক দ্বারা এক তালাকে বায়েন পতিত হয় ৷

সুতরাং যদি কেউ স্ত্রীকে এরূপ কথা বলে এবং তালাকের নিয়ত করে, তবে স্ত্রী তালাক হয়ে যাবে। আর যদি তালাকের নিয়ত না করে তাহলে তালাক হবে না। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া, ১/৩৭৫)

আরো জানুনঃ 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে কোনো তালাক পতিত হয়নি।
আপনাদের বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন হয়নি।
শরীয়াহ নীতিমালা মোতাবেক আপনাদের বৈবাহিক সম্পর্ক আগের মতোই বহাল আছে।
সুতরাং নিশ্চিন্তে থাকুন।   


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
হুজুর কথাগুলো কি কেনায়া বাক্য ছিল? আর নিয়ত নিয়ে কনফিওশন থাকলে কি তালাক হয়?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...