আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
734 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (12 points)
আসসালামু আলাইকুম হুজুর।হুরমত নিয়ে আমার কিছু প্রশ্ন আর নিচে বর্নিত ঘটনা পড়ে উত্তর দেয়ার অনুরোধ।

১)স্পর্শের হুরমতের ক্ষেত্রে, মহিলাদের কলব কেপে উঠার কথা বলা আছে। এখন (সেটা শারিরীক ও মানসিক ভাবে উত্তেজিত হওয়ার কথা বলা আছে মানে কামভাব আসার ব্যাপারটা কি??)সহবাসের চিন্তা থেকে?

২) শরীরের উষ্ণতা কি সুতি কাপড়ের উপর বুঝা যাওয়ার মত?  এমন সুতি কাপড় যা বাসায় জামা বানিয়ে পড়া হয় সেটা তো জরজেট বা মসলিন কাপড় এর মত পাতলা হয় না।

আর উষ্ণতা কি যার টাচ লাগে তার হাতের উষ্ণতা হতে হবে?  যাকে টাচ করা তাকে ফিল করতে হবে কিনা?

৩) ২-৪ সেকেন্ড এর ব্যবধানে কি মহিলারে অন্তর কেপে উঠার অবস্থা হয়??
৪) আমাদের এক সাইডে বামপাশে ওয়ারড্রব সাথে আলমারি।ওয়ারড্রব আগে রাখা শেষ এ আলমারি। মাঝে একজনের যাওয়াআসার মত জায়গা আর ডান পাশে  খাট।এখন আমার আব্বু আলমারির ওওইদিক যাবে আমি খাটে পা ঝুলিয়ে বসা। আব্বু বলে কি সরো। পরে আমি সরে একদম কর্নারে আলমারির ওওইদিক যাই।পরে আব্বু বলে কি দেখ অইদিকে নাকি। পরে আমি হেসে বলি তাইলে কই যাবা এই বলে খাটের উপর উঠে যাই।তো আমি মনে হলো কি কিছু স্পর্শের মত ফিল পেলাম পিঠে যেটা হাতের না বাতাসে মত লাগছে আমার প্রবল ধারনা সেটা আমার ওড়না বারি লাগসে কিন্তু আমি ওয়াসওয়াসার আক্রান্ত তাই মনে হচ্ছে বার বার আব্বুর টাচ লাগল কিনা।আর সেটা কয়েক সেকেন্ড এর জন্যই ধাক্কা লাগলেও তো অনেকক্ষন লাগবে না।আর সবচেয়ে বড় কথা আমার আব্বু আমাদের টাচ করে কথা বলে না কখনও। আর খাটে পাশেই আমার আম্মু আর ভাই বসা। ভাই পরতেসিল।সাত বছরের ভাইকে জিজ্ঞেস করলাম আব্বু কি আমাকে ধাক্কা দিল নাকি ভাই বলল না।যেহেতু আমি ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত তাই আমি হুরমত নিয়ে খুব ভয়ে থাকি আব্বু ঘরে আসলেও ভয় করে সাম্নে ত যাই না একদম। তো কাল ঘরে আসলে আমার ভয় করতেসিল আমাকে সরতে বললে আমি ত খাটের উপইর চড়ে যাই খাটে গিয়ে বসার পর পর বার বার মনে আশতেসে হুরমিত হল কিনা? আর আমি পিঠের কথা ভেবে খালি পিঠে কেমন যেন ফিল করছিলাম আর বুক ধুক ধুক করছিল যেটা মুলত ভয়ের কারনেই।আমার হুরমিত নিয়ে ভয় কিন্তু যখন আব্বু আশছিল আমার ত যিনার নিয়ত ছিল না বা কামভাব ছিল না।(যতটুক মনে আসে যে খারাপ চিন্তাও আসে নি।আর খারাপ চিন্তা আসলেও ত যিনার নিয়ত ছিল না ওয়াল্লাহি।)আর আমি শিউর না যে আব্বু হাত কিনা কারন আব্বু টাচ করে কথা বলে না আবার ভাই ও বলল যে আব্বু ধাক্কা দেয়নি। ও’ই  হেসে খাটে উঠা পর্যন্ত ত মনে হচ্চে ঠিক ই ছিলাম যেহেতু হেসে উপরে যাই কিন্তু ভিতরে ভয় কাজ করছিল আর তখনই মনে হয় যে কিছু লাগল আর আমি খাটে উঠার পর দেখলাম যে আব্বু আলমারির সাইড আসল।আর আমি তখন ও ভয়ে বুক কাপ্তেসিল।আর ব্যাপারটা হাল্কা ছোয়া টাইপ তখন আদৌ উষ্ণতা সম্ভব কি? আর অন্তর কেপে উঠার মত অবস্থা কি?

  বিষয় টা ই সন্দেহ আর সন্দেহের কারনে ত হুরমত হয় না।তাও মনেএ অস্থিরতা দূর করার জন্য আপনাদের জিজ্ঞেস করা।আর ওয়ারড্রব থেকে আলমারি ৪/৫ কদম দূর পিঠে বাতাস এর মত অনুভব টা কখন লাগল লাগ্ল সেটাও ঠিক মনে নেই।যতটা মনে হয় খাটে উঠার সময়।(পিঠে ত আব্বু হাত দিবেও না)।

হুরমত হওয়া নিয়ে খুব ভয়ে আর সন্দেহে আছি।প্লিজ সাহায্য করুন।

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


ই'লাউস সুনান ১১/১৩১ তে আছেঃ

أخبرنا أبوحنیفة، عن حماد، عن إبراهیم، قال: إذا قبل الرجل أم أمرأته أو لمسها من شهوةٍ حرمت علیه امرأته، أخرجه محمد في الحجج ورجاله ثقات (إعلاء السنن: ۱۱/۱۳۱)

যার সারমর্ম হলো কেহ যদি তার শাশুড়িকে চুম্বন করে,অথবা উত্তেজনার সাথে স্পর্শ করে,তাহলে স্ত্রী তার উপর চিরজীবনের জন্য হারাম হয়ে যাবে।      
হুরমতে মুসাহারাত সাব্যস্ত হবার জন্য কয়েকটি শর্ত রয়েছে।

স্পর্শের মাধ্যমে হুরমতে মুসাহারাত প্রমাণিত হওয়ার অনেকগুলো শর্ত রয়েছে।   
তার মধ্যে অন্যতম একটি শর্ত হলোঃ

সরাসরি খালি গায়ে বা এমন কাপড়ের উপর দিয়ে স্পর্শ করে, যা এতটাই পাতলা যে, শরীরের উষ্ণতা অনুভব হয়। যদি এমন মোটা কাপড় পরিধান করে থাকে যে, শরীরের উষ্ণতা অনুভূত না হয়, তাহলে নিষিদ্ধতা সাব্যস্ত হবে না।

فى الدر المختار- أو لمس ) ولو بحائل لا يمنع الحرارة
وقال ابن عبدين– ( قوله : بحائل لا يمنع الحرارة ) أي ولو بحائل إلخ ، فلو كان مانعا لا تثبت الحرمة ، كذا في أكثر الكتب (الفتاوى الشامية، كتاب النكاح، فصل فى المحرمات-3/107-108)

যার সারমর্ম হলো যদি কাপড় পরিধান অবস্থায় হয় তাহলে যদি এমন কাপড়ের উপর দিয়ে স্পর্শ করে, যা এতটাই পাতলা যে, শরীরের উষ্ণতা অনুভব হয়। 
তাহলে হুরমতে মুসাহারাত প্রমাণিত হবে।   

( যদি এমন কাপড়ের উপর দিয়ে স্পর্শ করে,যেটা শরীরের গরমি ভাব অনুভব হয়,তাহলে হুরমতে মুসাহারাত প্রমানীত হবে। ) 
অন্যথায় হুরমতে মুসাহারাত প্রমাণিত হবেনা। 
,   
স্পর্শ করার সাথে সাথেই উত্তেজনা আসা,ইত্যাদি।
,  
বিস্তারিত জানুনঃ 
,
(০১)
হ্যাঁ এখানে সহবাসের চিন্তার সাথে কামভাব আসা উদ্দেশ্য।

(০২)
সুতি কাপড় গুলোর মধ্যে অনেকগুলো বেশি হালকা হয়,অনেকগুলো মোটাও হয়।
মাঝামাঝিও হয়।
,
বেশি হালকা যেটি,সেটির মাধ্যমে শরীরের উষ্ণতা অনুভব হয়। 
শরীর বেশি গরম থাকলে বেশি চিকন কাপড় না হলেও   শরীরের উষ্ণতা অনুভব হয়। 

(০৩)
মহিলাদের ক্ষেত্রে এতো অল্প সময়ে এটি সম্ভব নয়।

(০৪)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে হুরমতে মুসাহারাত প্রমাণিত হবেনা। 
আপনি নিশ্চিন্তে থাকুন।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...